খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি বাড়ানো নিয়ে প্রবল রাজনৈতিক বিরোধিতা। ইউরোপের আর্থিক সঙ্কট কাটা নিয়ে অনিশ্চয়তা। বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলির ভারতের বাজার থেকে এখনও মুখ ফিরিয়ে থাকা। এই ত্র্যহস্পর্শের জেরেই মঙ্গলবার ফের পড়ল সেনসেক্স।
মুম্বই বাজারের এই সূচক দিনের শেষে প্রায় ১৫৯ পয়েন্ট পড়ে গেলেও অবশ্য ১৬ হাজারের নীচে নেমে যায়নি। তা থিতু হয় ১৬,০০৮.৩৪ পয়েন্টে। যদিও ইউরোপের বাজারে মন্দা ভাবের প্রভাবে এক সময়ে তা নেমে গিয়েছিল ১৫ হাজারের ঘরে। ভারতীয় বাজারে শেয়ার কেনার উৎসাহ কম থাকার জেরেই এ দিন কিছুটা পড়েছে ডলারের তুলনায় টাকার দামও। আমদানিকারীদের তরফেও ছিল বাড়তি ডলারের চাহিদা। সব মিলিয়ে বাজার বন্ধের সময়ে ডলারে টাকার দাম পড়ে যায় ৭ পয়সা। প্রতি ডলার দাঁড়ায় ৫২.০২/০৩ টাকা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গত বৃহস্পতিবারই বহু ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসায় ৫১ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশি লগ্নির অনুমোদন দিয়েছে। পাশাপাশি, এক ব্র্যান্ডের পণ্যের খুচরো ব্যবসায় এত দিন ৫১ শতাংশ বিদেশি লগ্নির অনুমতি ছিল। সেই সীমা বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করা হয়েছে। আর্থিক সংস্কারকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের এই বড়সড় পদক্ষেপে উৎফুল্ল শেয়ার বাজার ওই দিনই বেড়েছিল ১৫৯ পয়েন্ট। মুনাফা ঘরে তোলার জন্য শুক্রবার বাজার কিছুটা পড়লেও সোমবার এক ধাক্কায় তা বেড়ে যায় ৪৭২ পয়েন্ট। কিন্তু খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর আর্থিক সংস্কারের গতি থমকে দিতে পারে, সেই আশঙ্কাতেই মঙ্গলবার ফের শেয়ার সূচক ছিল নিম্নমুখী। আর আই এল, ইনফোসিস, আই সি আই সি আই ব্যাঙ্ক, টাটা মোটরস-সহ বেশির ভাগ নামী-দামি সংস্থার শেয়ার দরই এ দিন পড়েছে। প্যান্টালুন রিটেল, ট্রেন্ট, বিশাল, শপার্স স্টপ, প্রভোগ-এর মতো খুচরো বিপণন সংস্থার শেয়ার দরও পড়ে গিয়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। বাজারের পতন রুখতে বিদেশি লগ্নিকারীরাও এগিয়ে আসেনি। ১৫ নভেম্বর থেকে গত ১০টি লেনদেনে তাদের মোট শেয়ার বিক্রি ১২০ কোটি ডলার। উপরন্তু ইউরোপীয় সঙ্কট ঘোরালো হতে পারে, এই আশঙ্কাও পতনে ইন্ধন জুগিয়েছে। |