বিজু জনতা দল খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির বিরোধিতা করায় উৎসাহিত বিজেপি। এই সুযোগে প্রাক্তন এই শরিকের সঙ্গে সম্পর্ক জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছে তারা।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই বিরোধিতার কথা জানিয়েছেন। তাঁর মতে, এতে শুধু বহুজাতিক সংস্থাগুলিরই লাভ হবে। দু’বছর আগে যে বিজু জনতা দল বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল, তারা এই বিষয়ে বিরোধিতার মঞ্চে আসায় আশার আলো দেখছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের আগে এনডিএ-র বিস্তার ঘটাতে চায় কেন্দ্রে প্রধান বিরোধী দল। অরুণ জেটলির মতো নেতা নবীনের সঙ্গে যোগাযোগও রাখছেন। এখন খুচরো ব্যবসার বিষয়ে নবীন বিরোধিতার অবস্থান নেওয়ায় খুশি বিজেপি শিবির। বিজু জনতা দলের বক্তব্য, সরকার আপাতত দশ লক্ষের বেশি জনসংখ্যার শহরে এই ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে। ওড়িশায় ভুবনেশ্বরের মতো বড় শহরেও দশ লক্ষের বেশি জনসংখ্যা নেই। ফলে এই নিয়মে ওড়িশায় বহুজাতিক খুচরো বিপণন সংস্থা খোলার সম্ভাবনাও নেই। তবুও নবীন এর বিরোধিতা করায় উৎসাহিত বিজেপি। সম্প্রতি রথযাত্রার সময়েও নবীনের সপক্ষেই সওয়াল করেছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। তাতে রাজ্য স্তরে বিজেপি নেতাদের কিছুটা অসন্তোষ হলেও কেন্দ্রীয় স্তরে দলের নেতৃত্ব মনে করছেন, ভবিষ্যতে এনডিএ বাড়াতে হলে পুরনো শরিকদের ফিরিয়ে আনতে হবে।
যদিও বিদেশি লগ্নি প্রশ্নে গত কয়েক বছরে বিজেপির অবস্থান নিয়েই এখন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, ২০০৪-এ বিজেপি খুচরো ব্যবসায় বিদেশি পুঁজির পক্ষে সওয়াল করেছিল। এখন জনপ্রিয় রাজনীতির চক্করে তারা বেঁকে বসেছে। জেটলির সাফাই, ২০০৪-এ এনডিএর ইস্তাহারে ২৬% বিদেশি পুঁজির কথা লেখা ছিল। বিজেপির ‘ভিশন ডকুমেন্টে’ এর উল্লেখই ছিল না। পরের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ইস্তাহারে খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির বিরোধিতা করা হয়েছিল। এখনও দল সেই অবস্থান নিয়েই চলছে। |