গার্লস হস্টেল নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন দু’বছর আগে টাকা অনুমোদন করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হস্টেল নির্মাণ হয়নি রামপুরহাট কলেজে। ফলে ইচ্ছে থাকলেও দূরদূরান্ত থেকে আসা ছাত্রীরা বাড়ি ভানা করে থাকছেন।
৩ বছর আগে রামপুরহাট শহরে কলেজ বলতে একটাই ছিল। সেখানে ছেলে ও মেয়েরা এক সঙ্গে পড়াশোনা করে। সম্প্রতি রামপুরহাটে একটি গার্লস কলেজ হয়েছে। তার পরেও রামপুরহাট কলেজে মেয়েদের ভর্তি হওয়ার সংখ্যা কমেনি। তাই দীর্ঘদিন আগে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে রামপুরহাট কলেজে একটি গার্লস হস্টেল নির্মাণের জন্য আবেদন করেন। দু’বছর আগে হস্টেলের জন্য ৪৯ লক্ষ টাকা অনুমোদন পায় কলেজ। কলেজের অধ্যক্ষ শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “হস্টেল নির্মাণের জন্য যে জায়গা দরকার তা আছে। কিন্তু কোন জায়গায় হবে তা এখনও সিদ্ধান্ত করা যায়নি। জায়গা সংক্রান্ত জটিলতা ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী হস্টেল নির্মাণের ক্ষেত্রে বাস্তুকার নিয়োগেও জটিলতা দেখা গিয়েছে। ফলে টাকা কাজে লাগানো যায়নি।” তাঁর দাবি, একাধিক বার জায়গা ও বাস্তুকার নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা কাটানোর জন্য কলেজ পরিচালন কমিটির সঙ্গে বৈঠকও করা হয়েছে। তবুও সমস্যার সমাধান হয়নি। এসএফআই পরিচালিত রামপুরহাট কলেজের ছাত্রসংসদের সহসভাপতি জাহিদুল ইসলামের পাল্টা দাবি, “হস্টেলের জন্য বরাদ্দ টাকা কাজে লাগানোর দাবিতে অধ্যক্ষকে বলা হয়েছে। কিন্তু সদর্থক ভূমিকা দেখা যায়নি।” ছাত্রপরিষদ ও তৃণমূল ছাত্রপরিষদের পক্ষে ইউনিট সভাপতি সুমন মণ্ডল বলেন, “এর জন্য দায়ী যেমন অধ্যক্ষ, তেমনি বর্তমান ছাত্র সংসদ।”
|