পাওনা টাকার দাবিতে পঞ্চায়েতে তালা দিল পঞ্চায়েতের এক ঠিকাদার। মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির নারায়ণপুর পঞ্চায়েতে। পরে পুলিশ গিয়ে তালা খোলার ব্যবস্থা করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ঠিকাদারকে থানায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু কোনও লিখিত অভিযোগ না থাকার জন্য ওই ঠিকাদারকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অন্য দিকে, রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও শান্তিরাম গড়াই পঞ্চায়েতে কাজকর্ম চলাকালীন তালা দেওয়ার ঘটনাকে তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, “প্রধানকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে ঠিকাদারকে টাকা দেওয়া হবে কি না পরের ব্যাপার। তার আগে পঞ্চায়েতে কেন তালা দেওয়া হল তার তদন্ত করা হোক।” পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পঞ্চায়েতের কুসুমদই গ্রামে রাস্তা সংস্কারের জন্য মোরাম ফেলা হয়। সেই সময় অভিযোগ উঠেছিল, রাস্তা সংস্কারে নিম্নমানের মোরাম ফেলা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিডিও-র কাছে স্মারকলিপিও জমা পড়েছিল। বিডিও এ ব্যাপারে পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ককে তদন্ত করে দেখতে বলেছিলেন। ওই ঠিকাদার নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা লাল্টু শেখের দাবি, “নিম্ন মানের মোরাম দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। গ্রামবাসীরা আমার পক্ষেই আছেন। ওই গ্রামের অন্য এক জন ঠিকাদার আমার নামে ব্লক অফিসে মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন। আমি দীর্ঘদিন ধরে টাকার জন্য পঞ্চায়েতে ঘুরছি। কিন্তু টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করছে না প্রধান। সোমবার ফের পঞ্চায়েতে টাকা চাইতে যাই। কিন্তু কর্মীরা এখনই দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন। এর পরেই মাথা ঠিক রাখতে না পেরে তালা দিয়ে দিই।” গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, সিপিএমের জয়দেব চৌধুরী বলেন, “কাজের রিপোর্ট ব্লক অফিসে পাঠিয়েছিলাম। পক্রিয়াগত কারণে দেরি হওয়ায় টাকা দেওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় সমস্যা বলে কোনও অভিযোগ করিনি।”
|