যত দ্রুত সম্ভব স্থানীয় বুড়ি তিস্তা নদীর উপর সেতুটির সংস্কার করা হবে বলে প্রশাসন থেকে আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে অভিযোগ। কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ির দেওয়ানগঞ্জ এলাকায় এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বহুবার প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে দাবি জানিয়েও দেওয়ানগঞ্জ হাইস্কুলে ঢোকার মুখে সেতু সংস্কার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। সেতুটির সংস্কারে টাকাও বরাদ্দ হয়েছে। প্রশাসন দফতরে টাকাও এসে গিয়েছে। কাজও শুরু করার কথা বলাও হয়েছিল। কিন্তু পরে জানানো হল, ওই হাইস্কুলের রাস্তায় সেতুর জন্য নাকি ওই টাকা আসেনি। দেওয়ানগঞ্জ এলাকারই অন্য একটি প্রাথমিক স্কুলে যাওয়ার রাস্তায় সেতুর সংস্কারের ওই টাকা এসেছে। এই নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে আরও ক্ষোভ বেড়ে গিয়েছে। ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ওই হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়াদের মধ্যেও। বাসিন্দাদের ক্ষোভের আঁচ বুঝতে পেরে ব্লক প্রশাসন দেওয়ানগঞ্জ হাইস্কুলের রাস্তায় সেতুর সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হদিবাড়ির বিডিও দিব্যেন্দু মজুমদার দাবি করেন, “দেওয়ানগঞ্জ হাইস্কুলে ঢোকার সেতুটির সংস্কারের জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সুপারিশ করে কোচবিহার জেলা প্রশাসনের কাছে ফের প্রস্তাব পাঠানো হবে।” বাসিন্দাদের অভিযোগ, দেওয়ানগঞ্জ হাইস্কুলের সামেন বুড়ি তিস্তা নদীর উপর কাঠের তৈরি সেতুটি কয়েক বছর ধরে বেহাল হয়ে পড়েছে। পুরো সেতুটি নড়েবড়ে অবস্থা। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বাসিন্দারা ওই নড়েবড়ে সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করছে। চলাচল করছে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীরাও। সেতুটিতে রেলিং না থাকায় হামেশাই দুর্ঘটনা ঘটছে। লোহার বিমগুলিও ক্ষয়ে গিয়েছে। কয়েকজন বলেন, “সেতুটির সংস্কারের দাবিতে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলনও করেছিল। আগের বিডিও সুকান্ত সাহা ও কোচবিহারের জেলাশাসক স্মারকি মহাপাত্র উদ্যোগও নেন। ঠিক হয়, সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের টাকায় তা সংস্কার করা হবে। কিন্তু তার মধ্যে তাঁরা বদলি হয়ে যান। তাদের বদলির পরে সেতু সংস্কারে ৩৫ লক্ষ টাকাও আসে।” কিন্তু ওই টাকা আসে এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলের যাওয়ার রাস্তার জন্য। এটা জানার পরে বাসিন্দারা হতাশ হয়ে পড়েন। হলদিবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি কমল রায় বলেন, “পরেশ অধিকারী খাদ্যমন্ত্রী থাকার সময় এই সেতু সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।” এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ দেওয়ানগঞ্জ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কমলেন্দু প্রামাণিক বলেন, “আমাদের স্কুলের সেতুটির যা হাল, তাতে এটা আগে সংস্কার হওয়া জরুরি।” |