হামলায় অভিযুক্ত কংগ্রেস
মালদায় জখম ৫ তৃণমূল কর্মী
লাকা দখল করতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে জোট সঙ্গী কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ইংরেজবাজার থানার যদুপুর এলাকায় ওই ঘটনায় ৫ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী জখম হয়েছেন। জখমদের মালদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ইউসুফ বারির অবস্থা আশঙ্কাজনক। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর পেট চিরে দিয়েছে। তাঁকে কলকাতায় রেফার করেছেন চিকিৎসকেরা। কংগ্রেসিদের লাগাতার হামলায় দলের কর্মীরা আক্রান্ত হওয়ায় ঘটনায় জেলা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে নালিশ জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। উল্টোদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ তুলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও কংগ্রেস হাইকমান্ড সনিয়া গাঁধীর কাছে পাল্টা নালিশ জানিয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “এখন পযর্ম্ত একজনও অভিযুক্ত ধরা পড়ে নি। তবে জোরদার তল্লাশি চলছে।” সম্প্রতি গাজলে কংগ্রেসিদের হামলায় দলের অঞ্চল সম্পাদক প্রেমচাঁদ বল খুন হন। ফের যদুপুরে দলের কর্মীদের উপর ফের কংগ্রসিদের হামলায় দলের পাঁচ কর্মী জখম হওয়ায় ক্ষুব্ধ মন্ত্রী সাবিত্রী দেবী। তিনি বলেন, “দলের কর্মীদের উপর মালদহ জেলায় কংগ্রেসিদের লাগাতার হামলার ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কংগ্রেস,তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা নাগাদ যদুপুর এলাকার ইউসুফ বরি , এজাবুদ্দিন, অবদুস সাত্তার , আবদুল সালাম, হাসু সেখরা পাড়ার একটি চায়ের দোকানে গল্প করছিলেন। সেই সময় ২৫-৩০ জন হাসুয়া, লাঠি, বাঁশ, লোহার রড নিয়ে হামলা করে। মালদহ সদর হাসপাতালে জখম এসাবুদ্দিন শেখ বলেন, “আমরা কংগ্রেস করতাম। দুমাস আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি। কেন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি,। সে জন্য হামলা হয়েছে। আশেপাশের লোকজন এলে হামলাকারীরা পালায়।” এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলার ঘটনাকে রাজনৈতিক হামলা বলেতে নারাজ ইংরেজবাজারের বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। তিনি বলেন, মসজিদ দখলকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে উত্তেজনা চলছে। এখন ছোটখাট ঝগড়া হলেও তাকে তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক রং লাগিয়ে দিচ্ছে।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরীর অভিযোগ, সংগঠন নেই বলে কংগ্রেস ভাঙাতে আসরে নেমেছে তৃণমূল। সে জন্যই গোলমাল হচ্ছে বলে কংগ্রেসের জেলা সভাপতির অভিযোগ। তাঁর আশঙ্কা, তৃণমূল কংগ্রেস কংগ্রেস ভাঙ্গার খেলা বন্ধ না করলে জেলায় অশান্তি বাড়বে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.