|
একখান আরামের ঢেকুর |
খেতে বসলে হাজারও আদবকায়দা। না মানলে অবশ্য ক্ষতি নেই।
কারণ এ দেশে যাহা অভদ্রতা, অন্য কোনওখানে তাহাই যে গুড ম্যানার! |
••• খাওয়ার পর শব্দ করে ঢেকুর তোলা ভীষণ খারাপ অভ্যেস। সৌদি আরব কিন্তু এর ব্যতিক্রম। নেমতন্ন বাড়িতে খেয়েদেয়ে আরাম করে একখানা ঢেকুর তুললে তার মানে দাঁড়ায়, খাবারের মান খুব ভাল। গৃহকর্তা বা কর্ত্রীর কাছে এর চেয়ে বড় প্রশংসা আর কী-ই বা হতে পারে!
|
|
••• রাশিয়ার মানুষরা বিখ্যাত তাঁদের আতিথেয়তার জন্য। এই দেশে কিন্তু খাওয়ার পর প্লেটে একটু করে খাবার রেখে দেবেন। এতে পরিবেশনকারী আশ্বস্ত হবেন এটা ভেবে যে, পর্যাপ্ত খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল। অতএব, ওখানে হামলে পড়ে চেটেপুটে খাওয়া একদম বন্ধ। |
|
••• গৃহস্বামী আপনাকে নৈশাহারে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ন’টার মধ্যে নৈশাহার পরিবেশন করা হবে। আপনিও ঠিক সময়ে হাজির। উঁহু, তানজানিয়ায় এটা একেবারে চলবে না। মিনিট ১৫-২০ দেরি তো করতেই হবে! তবে? শুধু শুধু সবাই বাঙালিদের সময়জ্ঞানকে গাল দেয়।
|
••• জাপানে কেউ আপনাকে নুডল খেতে দিলে দিব্যি সুড়ুৎ সুড়ুৎ শব্দ করে খেতে পারেন। এই দেশের এটাই প্রথা। এর অর্থ, খাবারের স্বাদ এতটাই ভাল যে, এটা ঠান্ডা হওয়া অবধি আর ধৈর্য রাখা যাচ্ছে না। আরও আছে। ভাত বা স্যুপ খাওয়ার পাত্রটা ছোটখাটো হলে দু’হাতে তুলেই চুমুক দিতে পারেন। জাপানিরা বিশ্বাস করে, খাওয়ার সময় খাবারের গন্ধ নাকে ঢুকলে তার স্বাদটা বেশি ভাল হয়। |
|
••• টেবিলে চামচ নেই? স্পেনে এটা কোনও সমস্যাই নয়। এক টুকরো রুটি আছে তো! ডান হাতে কাঁটা আর বাঁ হাতে রুটির টুকরো নিন। রুটি দিয়ে কাঁটার ওপর খাবার ঠেলে দিতে পারবেন।
|
|
••• মাখন-চা তিব্বতিদের ভারী পছন্দের পানীয়। তবে যেমনতেমন করে এই চা খেলে হবে না। নিয়ম আছে। আস্তে আস্তে ফুঁ দিয়ে প্রথমে চায়ের ওপর ভেসে থাকা মাখন সরিয়ে দিতে হবে। অর্ধেক চা খাওয়ার পর পাত্রটি টেবিলে নামিয়ে রাখতে হবে। গৃহকর্ত্রী আবার পাত্রটিকে পূর্ণ করে দেবেন। এই রকম তিন পাত্র চা খেতে হবে। আর হ্যাঁ, চায়ের স্বাদ যতই খারাপ লাগুক না কেন, গোঁজ মুখে চা খাওয়া চলবে না! চা খেতে খেতে গল্প করা এখানে ভদ্রতার মধ্যে পড়ে। |
|
|