স্কুল শিক্ষকদের ‘কর্তব্য সচেতন’ করতে এ বার থেকে তাঁদের ‘মূল্যায়ন’ করবে ছাত্ররাই।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু শুক্রবার মুর্শিদাবাদের অরঙ্গাবাদ হাইস্কুলের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে এসে এমনই জানিয়েছেন। তিনি জানান, শিক্ষকদের একাংশের ‘দায় এড়ানো’ মনোভাবই শিক্ষার পরিবেশ ‘নষ্ট’ করছে। ব্রাত্যবাবু বলেন, ‘‘কিছু শিক্ষক তাদের কর্তব্য সম্পর্কে এখনও সচেতন নন। ফলে গোটা শিক্ষক সমাজেরই বদনাম হচ্ছে। এই অবস্থা পাল্টাতে হবে। শিক্ষকদের ঠিক সময়ে স্কুলে আসার পাশাপাশি, নিয়মিত ক্লাস নেওয়া, তাঁরা স্কুলের বাইরে প্রাইভেট টিউশন পড়াচ্ছেন কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে। সরকার চায়, এ বার থেকে শিক্ষকদের মূল্যায়ন করুক ছাত্রছাত্রীরাই। মূল্যায়নের বিষয় হবে ওই শিক্ষকদের ক্লাসে যাওয়া, পড়ানো, টিউশনি সবকিছুর ভিত্তিতেই।’’ কিন্তু, নিচু ক্লাশের ছেলেমেয়েদের পক্ষে যতাযথ মূল্যায়ন কী সম্ভব হবে? ব্রাত্যবাবু তা স্পষ্ট না করলেও তাঁর কড়া বার্তা, ‘‘ওইসব শিক্ষকেরা যদি তাদের কর্তব্যে সচেতন না হন তাহলে প্রয়োজনে সেই সচেনতা ফেরাতে আইন প্রণয়ন করবে রাজ্য সরকার।’’
স্থানীয় ছেলে-মেয়েদের এলাকার স্কুলে ভর্তির ব্যাপারেও ‘নিশ্চয়তা’ দিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘‘স্থানীয় ছেলে-মেয়েরা এলাকার স্কুলেই পড়বে। বিদ্যালয় সংলগ্ন দেড় কিলোমিটারের মধ্যে থাকে এমন প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে স্থানীয় স্কুলে ভর্তির নিশ্চয়তা দিতে হবে। তাদের ফেরানো যাবে না। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ওই ছাত্রছাত্রীদের লটারির মাধ্যমে ভর্তির আওতায়-ও আনা যাবে না। দেড় কিলোমিটার এলাকার বাইরের ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির ক্ষেত্রেই একমাত্র লটারি বিধি প্রযোজ্য হবে।’’
পাশ-ফেল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাশ ফেল প্রথা তুলে দিলেও রাজ্য সরকার এই রাজ্যে পরীক্ষা এবং পাশ ফেল, দুটোই চালু রাখবে। বিদ্যালয়গুলি এর মাধ্যমে কৃতী ছাত্রছাত্রী চিহ্নিত করতে পারবে।”
জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ভাষাগত প্রশ্নে যে যথেষ্ট বিভ্রান্তি রয়েছে তা এ দিন মেনে নিয়েছেন তিনি। ব্রাত্যবাবুর কথায়, ‘‘এই বিভ্রান্তি কাটাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। শীঘ্র রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করবেন মুখ্যমন্ত্রী।’’ |