সরকারের কাছে সহায়ক মূল্যে ছয় কুইন্টাল পর্যন্ত ধান বিক্রির ক্ষেত্রে চেকের বদলে নগদ টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারি সংস্থা বেনফেড, কনফেড ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিগমকে ধান কিনতে নামানো হচ্ছে। শুক্রবার পুরুলিয়ায় খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “মঙ্গলবার থেকেই এই দুই ব্যবস্থা চালু হবে। এ ব্যাপারে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” মন্ত্রী জানান, প্রান্তিক চাষিরা যাতে সমস্যায় না পড়েন তা দেখতে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে কথা মাথায় রেখে ১০ কুইন্টাল পর্যন্ত ধান নগদে কেনার প্রস্তাব দেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার কৃষি দফতরের সচিব নয়াদিল্লিতে গিয়ে খাদ্য মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলেন। শেষমেশ ছয় কুইন্টাল পর্যন্ত ধানের দাম নগদে দেওয়ার অনুমতি মিলেছে।
অগস্টের শেষে সহায়ক মূল্যে ধান কিনতে নামলেও এত দিন কেবল মাত্র চালকল থেকে চেক দিয়ে তা কেনা হচ্ছিল। তার জন্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের ব্যাঙ্কে ‘জিরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্ট’ খুলে দিতে বলেছিল কেন্দ্র। কিন্তু যাঁরা অল্প ধান বিক্রি করবেন, তাঁরা অত হ্যাপা পোহাতে চাইছিলেন না। বহু জায়গাতেই গ্রামের কাছাকাছি চালকল না থাকায় চাষিরা পরিবহণ খরচ দিয়ে ধান নিয়ে যেতে আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন না।
খাদ্যমন্ত্রী জানান, মঙ্গলবার থেকে চালকলের পাশাপাশি গ্রামে-গ্রামে শিবির করে ধান কিনবে সরকারি সংস্থাগুলি। এ দিন হুড়া ব্লক অফিস চত্বরে ধান কেনার শিবির উদ্বোধন করে মন্ত্রী বলেন, “রাজ্য সরকারের ৩ লক্ষ ১৮ হাজার টন খাদ্যপণ্য মজুত রাখার জায়গা রয়েছে। আরও ৫ লক্ষ টন রাখার জায়গা দরকার। পুরুলিয়া জেলার চার প্রান্তে আরও চারটি গুদাম (প্রতিটির ধারণক্ষমতা ৫ হাজার টন) তৈরি করা হবে। গুদাম ভাড়া পাওয়া যায় কি না, তা-ও খোঁজ করে দেখা হচ্ছে।” |
উদ্যোগী রাজ্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
রায়গঞ্জে নির্মীয়মাণ রবীন্দ্রভবনের কাজ দ্রুত শেষ করার ব্যাপারে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় মাল্টিপারপাস হলে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান রাজ্য বিধানসভার অর্থ, আবগারি, পৌর-নগরোন্নয়ন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ ও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান জটু লাহিড়ী। চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এদিন স্ট্যান্ডিং কমিটির এক প্রতিনিধি দল উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের আধিকারিক ও জেলার বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ১৯৯৮ সালে রবীন্দ্রভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। |