স্ত্রীকে গলা টিপে খুন করার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডল হল এক শিক্ষকের। শুক্রবার খাতড়া ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অপরাজিতা ঘোষ বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার বাদাগেড়িয়া গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক মুরলী মাসান্তকে এই সাজা দেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে সিমলাপাল ব্লকের বাদাগেড়িয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে কৃষ্ণা মাসান্ত নামে এক বধূর মৃত্যু হয়েছিল। মৃতার দাদা সুশান্ত পাল ওই দিনই কৃষ্ণাদেবীর স্বামী মুরলী মাসান্ত, শ্বশুর আদিত্য মাসান্ত, ভাসুর হিমাংশু মাসান্ত, জা উর্মিলা মাসান্ত-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে গলা টিপে খুন করার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। পরে অবশ্য পাঁচ জনই জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোতুলপুরের বালিঠ্যা গ্রামের বাসিন্দা মুরলী মাসান্তের বিয়ে হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। দম্পতির দুই মেয়ে ও এক ছেলে আছে। আদালতে পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ দিন বিরোধ চলছিল মুরলীর। ঘটনার দিন রাতে বাড়িতে চার বছরের ছেলে সৌরভকে নিয়ে কৃষ্ণাদেবী ঘুমোচ্ছিলেন। হঠাৎ তাঁর গলা টিপে ধরেন মুরলী। ছোট ছেলে সৌরভ ঘটনাটি দেখে ফেলেছিল। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই খুনের ঘটনায় দম্পতির ছেলে-মেয়ে-সহ কয়েক জনের সাক্ষ প্রমাণের ভিত্তিতে মুরলী মাসান্তকে বৃহস্পতিবার দোষি সাব্যস্ত করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অপরাজিতা ঘোষ। বাকিদের বেকসুর খালাস দেন বিচারক। শুক্রবার বিচারক যাবজ্জীবন কারদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সাজাপ্রাপ্তের আইনজীবী চঞ্চল রায় বলেন, “ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন জানানো হবে।” |