প্রায় দু’মাস পর মেহতাব হোসেন মাঠে নামতে চলেছেন রবিবার। কলকাতা লিগের এই ম্যাচে বিপক্ষ পুলিশ এসি। তাঁর আশা, ম্যাচ ফিট হয়ে গেলে গোয়ায় ৫ ডিসেম্বর এ মরসুমে প্রথম আই লিগে খেলবেন। প্রতিপক্ষ স্পোর্টিং ক্লুব গোয়া। শেষ বার পুরো ম্যাচ খেলেছিলেন ফেড কাপের গ্রুপ লিগে। ডেম্পোর বিরুদ্ধে সেই ম্যাচের পরে মেহতাবের কুঁচকির ব্যথা বেড়ে যায়। প্রয়াগের সঙ্গে সেমিফাইনাল বাদ দিয়ে ফাইনালে নেমে পড়েছিলেন চোট উপেক্ষা করে। কিন্তু সালগাওকরের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে দু’মিনিটের বেশি মাঠে থাকতে পারেননি জাতীয় দলের মিডফিল্ডার।
কোচ ট্রেভর মর্গ্যান বললেন, “মেহতাব এখনও পুরো ম্যাচ ফিট হয়নি। তবে রবিবার ওকে খেলাব। কিন্তু পুরো ম্যাচ নয়।” মেহতাব নিজে কতটা উৎসাহী? বললেন, “এ রকম ভাবছি না যে, নেমেই সাঙ্ঘাতিক ভাল খেলব। আসলে এই ম্যাচটাতে নিজে বুঝতে পারব, কতটা ম্যাচ ফিট হয়েছি।” এ দিন সকালে অনুশীলন করেছেন মেহতাব। রবিবারের ম্যাচে মেহতাবের দলে ফিরে আসা নিয়ে উৎসাহী অধিনায়ক সঞ্জু প্রধানও। বললেন, “মেহতাবকে পেলে টিমটা অনেক ভাল হ য়ে যাবে।”
এ দিকে, বড় ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে বিতর্কিত পেনাল্টির প্রতিবাদে কালো ব্যাজকে সমর্থন জানালেন মর্গ্যান। তাঁর মন্তব্য, “শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে তো কোনও অসুবিধা নেই।” মর্গ্যান মনে করেন, রেফারি ভুল স্বীকার করলে ভালই হত। “রেফারি ভুল করতেই পারেন। কিন্তু সেটা স্বীকার করে নিলে ফুটবলারদের সঙ্গে রেফারির সম্পর্ক ভাল থাকে।”
এ দিন ফুটবল মাঠেও সচিন নিয়ে আগ্রহ ছিল সকাল থেকে। অনুশীলন শেষ হতেই অ্যালভিটো ডি’কুনহা জানতে চান, সচিনের শততম সেঞ্চুরি হল কি না। তার কিছু আগেই আউট হয়ে গিয়েছেন সচিন। সে খবর শুনে অ্যালভিটোর আক্ষেপ, “ইস, চুরানব্বইয়ে আউট হয়ে গেল!” কলকাতা লিগের ম্যাচের আগে চোটের অল্প ছায়া পড়েছে লাল-হলুদে। অ্যালান গাওয়ের গোড়ালিতে চোট। টোলগের উরুর পিছন দিকে কেটে যাওয়ায় সংক্রমণের ভয়ে মর্গ্যান তাঁকে প্র্যাক্টিসে নামাননি। রবিন সিংহ বিশ্রাম নিলেন মাঠের ধারে বসে। তাঁর হাতের আঙুলে অল্প চোট রয়েছে। জাম্বিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে গোয়ায় জাতীয় দলের ক্যাম্পে বেঙ্গালুরু থেকেই চলে গিয়েছেন বলজিৎ সিংহ, নির্মল ছেত্রী এবং গুরপ্রীত সিংহ। মর্গ্যান জানালেন, রবিবারের ম্যাচে কয়েক জন আই লিগের ফুটবলার নামাবেন। যাঁদের পাশে খেলবেন দ্বিতীয় দলের ফুটবলাররা।
যাঁদের অন্যতম অনূর্ধ্ব উনিশের নবীন হেলা, সৌরভ রায়রাও অনুশীলন করলেন এ দিন। শেষের দিকে আবার দেখা গেল উগা ওপারা রীতিমতো গ্লাভস হাতে গোল কিপিং করছেন। সঞ্জু মজা করে বলছিলেন, “গোলকিপার লাল কার্ড দেখলে ওকে কাজে লাগবে।” পাশাপাশি অধিনায়ক আবার আট গোলের আনন্দে ভেসে থাকতে চাইছেন না। “আট গোল প্রতি সপ্তাহে হবে না। তবে একটা ব্যাপার বোঝা গিয়েছে। টিমে এই মুহূর্তে গোল করার লোকের অভাব নেই,” বললেন সঞ্জু। |