ব্যারেটোর হাত ধরেই জয়ে ফিরল বাগান
মোহনবাগান-৩ (স্নেহাশিস-২, ওডাফা)
পিয়ারলেস-১ (ওয়াহিদ)
য়ধ্বনি দিতে দিতে স্নেহাশিস চক্রবর্তীর পিছনে সবুজ-মেরুন পতাকা নিয়ে যাঁরা ছুটছিলেন, তাঁদের মুখে একটাই নাম বারবার ভেসে উঠছিল, ‘ব্যারেটো, ব্যারেটো’।
মোহনবাগান মানেই হোসে রামিরেজ ব্যারেটো। সবুজ-মেরুন জনতার হৃদয়েও এটাই গেঁথে রয়েছে। কিন্তু তাঁকে নিয়ে এত মাতামাতি করার সত্যিই কোনও কারণ আছে কি? আছে। আগের ম্যাচে তিনি ছিলেন না। দল ডুবেছিল আই লিগে। শুক্রবার কলকাতা লিগেও যখন দলের বাকিরা বিশ্রী খেলছিলেন, তখন তিনি একজন অনুগত যোদ্ধার মতো একাই লড়ে গেলেন গোটা নব্বই মিনিট। কখনও পিয়ারলেসের ছোট বক্সে ঝড় তুললেন, কখনও আবার দলের প্রয়োজনে নেমে এলেন রক্ষণে। ড্যানিয়েল-কিংশুকদের সাহায্যে। স্নেহাশিসের প্রথম গোলে তাঁর অবদানই বেশি। মাঝমাঠ থেকে ওডাফার পাস যখন ব্যারেটোর কাছে এসে পড়ল, তখন তাঁর চার পাশে পায়ের জঙ্গল। কিন্তু দুর্ভাগ্য, বিপক্ষের তিন জন ডিফেন্ডারকে ডজ করে শট নেওয়ার সময়ই মাটিতে পড়ে গেলেন তিনি। ফাঁকতালে সেই বলটাই সোজা গোলে ঢোকালেন স্নেহাশিস।
বাগানের প্রাণভোমরার বুকে দিনের নায়ক।
ব্যারেটো ও স্নেহাশিস। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
জয়ের অভ্যাসে ফেরার জন্য শুক্রবার পুরো শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য। ড্যানিয়েলকেও বেশ কিছুক্ষণ মাঝমাঠে ব্যবহার করে দেখে নিলেন। সুব্রত বলছিলেন, “ড্যানিয়েলের আসল জায়গাটা এখনও ঠিক করে উঠতে পারিনি। তাই বিভিন্ন জায়গায় ওকে খেলিয়ে দেখে নিচ্ছি।” কিন্তু রক্ষণের গা-ছাড়া মনোভাব আর মাঝমাঠের ছন্নছাড়া ফুটবল দারুণ চোখে পড়ল। ময়দানের অভিজ্ঞ কোচ শঙ্কর মৈত্র যার সুবিধা তুলতে দেরি করেননি। মোহনবাগানের প্রথম গোলের দশ মিনিটের মধ্যেই ১-১ করে ফেলে পিয়ারলেস। দূরপাল্লার একটা নিরামিষ ফ্রি-কিক ওয়াহিদ জটলার মধ্য দিয়ে গোলে ঢুকিয়ে দিলেন। কিংশুক আর ধনরাজন তখন অন্য গ্রহে ব্যস্ত। বিরতির পরেও বেশ কিছুক্ষণ এই চাপটা মোহনবাগানের ওপর বজায় রাখেন শঙ্কর। তবে জোড়া-তাপ্পি দিয়ে কি আর নদীর স্রোত আটকানো যায়? ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট পনেরো আগে স্নেহাশিসের একটা কর্নার কিক পিয়ারলেস গোলকিপার সঞ্জীব মণ্ডলের হাত ফস্কে গোলে ঢুকে যায়। ব্যাস! এর পরেই ভেঙে পড়ল শঙ্করের রক্ষণ। ৩-১ করতে দেরি করলেন না ওডাফা। ম্যাচ শেষে পিয়ারলেস কোচ বললেন, “এই সব ম্যাচে গোলকিপারের ভূমিকাই আসল হয়। আমাদের আজকে ডোবাল গোলকিপারই।”
পিয়ারলেসকে ডোবালেন কিপার। আর মোহনবাগানকে জয়ে ফেরালেন সেই ব্যারেটোই। ওপরের স্কোরলাইন যাই দেখাক না কেন?

মোহনবাগান: সুদীপ্ত, কিংশুক, ধনরাজন, ড্যানিয়েল, সুরকুমার, স্নেহাশিস (মণীশ), গৌতম (সৌরভ), গৌরাঙ্গ, শৌভিক (অসীম), ব্যারেটো, ওডাফা।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.