|
|
|
|
তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জগৎবল্লভপুর |
তৃণমূল-কংগ্রেস জোট পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন কংগ্রেস সদস্যেরা। প্রস্তাবটিকে সমর্থন করেছেন তৃণমূল সদস্যদের একাংশও। ঘটনাটি জগৎবল্লভপুরের ইসলামপুর পঞ্চায়েতের। শুক্রবার যৌথ ভাবে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের চার সদস্য বিডিও-র কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। বিডিও সলমন হুসনি বলেন, “প্রস্তাবটি জমা পড়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ হবে।”
এই পঞ্চায়েতে মোট সদস্য ১১ জন। কংগ্রেস এবং তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা যথাক্রমে ২ এবং ৬ জন। অন্য দিকে, সিপিএমের সদস্য সংখ্যা ৩ জন। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখানে জোট করেই লড়াই করে কংগ্রেস এবং তৃণমূল। তবে প্রধান এবং উপ-প্রধান দু’টি পদই রয়েছে তৃণমূলের হাতে।
অনাস্থা প্রস্তাবটি মূলত আনা হয়েছে কংগ্রেসের দুই সদস্যের উদ্যোগে। প্রস্তাবটিতে সই করেছেন তৃণমূলের দুই সদস্য। যাঁর নেতৃত্বে অনাস্থা প্রস্তাবটি আনা হয়েছে সেই কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য জাকির আহমেদ খানের অভিযোগ, প্রধান নিজের মতে চলছেন। জাকিরের কথায়, “জোট গড়ে আমরা যৌথ ভাবে ক্ষমতায় এসেছি। কিন্তু আমাদের কংগ্রেসের সংসদগুলিতে তিনি কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করেননি। আয়লায় ক্ষতিগ্রস্তদের যে টাকা বিলি হয়েছে তাতে প্রকৃত গরিবদের নাম বাদ গিয়েছে। আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। তৃণমূলের কিছু কিছু বুথেও প্রধান উন্নয়নমূলক কোনও কাজ করেননি। ফলে দু’জন তৃণমূল সদস্য আমাদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবটিকে সমর্থন করেছেন।”
উন্নয়নের কাজে ‘পক্ষপাতমূলক’ আচরণ করা হয়েছে বলে প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের যে দু’জন সদস্য অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেছেন তাঁদের অন্যতম বিভাস সামন্তও।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান গৌতম বেরা বলেন, “আমি সবাইকে নিয়ে চলার চেষ্টা করেছি। আয়লার টাকা বিলি করার জন্য চার সদস্যের কমিটি ছিল। কমিটিই প্রাপকদের নাম ঠিক করেছে। যাঁরা অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেছেন তাঁদের এলাকাতেও টাকা বিলি করা হয়েছে। তাঁদের পরামর্শও নেওয়া হয়েছে।”
তবে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। জেলা পরিষদের সদস্য তথা তৃণমূল নেতা গৌর ঘাঁটি বলেন, “বিষয়টি বিস্তারিত জানি না। খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি।” অন্য দিকে জগৎবল্লভপুর ব্লক কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি সরিফুল ইসলাম বলেন, “তৃণমূল নেতারা চাইলে তাঁদের সঙ্গে বসে সমস্যাটি মিটিয়ে নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|