গড়ে ওঠেনি নিকাশি, মমতার দ্বারস্থ বাসিন্দারা
নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরব আরামবাগ পুরসভার বেনেপুকুরের ওলাইবিবিতলা এলাকার বাসিন্দারা। এ নিয়ে পুরসভা এবং মহকুমাশাসকের দফতরে তাঁরা একাধিকবার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। স্মারকলিপি দিয়েছেন। মহকুমাশাসকের তত্ত্বাবধানে বৈঠকও হয় কয়েক বার। কিন্তু সমস্যার সুরাহা হয়নি। সম্প্রতি ওই এলাকার বাসিন্দারা সমস্যা মেটানোর দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন। গণস্বাক্ষর সংবলিত দাবিপত্র পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
১৪ নম্বর এবং ৫ নম্বর ওলাইবিবিতলা এলাকায় পড়ে আরামবাগ পুরসভার এই দু’টি ওয়ার্ড। দু’টি ওয়ার্ডে প্রায় ২০০টি পরিবারের বসবাস। বছরভর ভুগতে হয় তাঁদেরই। সমস্যা চরমে ওঠে বর্র্ষায়। ওই দুই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অল্প বৃষ্টিতেই ওলাইবিবিতলা এবং সংলগ্ন এলাকায় জল জমে যায়। নিচু হওয়ায় আরামবাগের হাসপাতাল মোড় থেকে বসন্তপুর মোড় পর্যন্ত লিঙ্ক রোডের সমস্ত জল ওলাইবিবিতলা এলাকায় এসে জমা হয়। দূষিত জল ঢুকে পড়ে বাড়িতেও। তা নামতে দীর্ঘদিন সময় লাগে। তা ছাড়া বছরভর বিভিন্ন লজ, সব্জি বাজার, ছানা বাজার এবং নার্সিংহোমের দূষিত জলও এলাকায় জমে। বছরের পর বছর এই অবস্থা চলছে। কিন্তু কোনও প্রতিকার নেই।
ওই দুই ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুশীলকুমার যশ, পলাশ পাল, সীমা দেব বা চন্দ্রা সরকারের অভিযোগ, “বেনেপুকুরের সিনেমাতলার কাছে একটি জলাভূমিতে পাড়ার সব দূষিত জল বছর চারেক আগে জমা হত। কিন্তু পুরসভার উদাসীনতায় ওই জলাভূমি ভরাট হয়ে গিয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষ কিছুটা জায়গায় একটি নিকাশি-নালা অসম্পূর্ণ ভাবে করায় পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়েছে।” তাঁদের দাবি, মাত্র হাফ কিলোমিটার একটি নিকাশি নালা করা হলেই শহরের মূল নালার সঙ্গে তার সংযোগ ঘটানো যাবে। সে ক্ষেত্রে ওই নালার দূষিত জল কানা দ্বারকেশ্বর নদীতে সহজেই গিয়ে পড়বে।
দু’টি ওয়ার্ডে এই সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল কচ। তবে উদাসীনতার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “জমা জল স্থানীয় বেনেপুকুরে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু পুকুরটি ওয়াকফ সম্পত্তি। দূষিত জল ওই পুকুরে ফেলা নিয়ে আপত্তি উঠেছে। ইতিমধ্যে ওই এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ৩২ লক্ষ টাকা লাগবে। পুরসভার কাছে ওই টাকা নেই। রাজ্য সরকারের কাছে তদ্বির করা হয়েছে।” যে জলাভূমি ভরাটের কথা সাধারণ মানুষ জানিয়েছেন, তা ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং বাস্তু হিসাবে নথিভুক্ত থাকায় ভরাটের সময় বাধা দেওয়া যায়নি বলে গোপালবাবুর দাবি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.