|
মনোরঞ্জন ২... |
|
প্যারিসে আমরা |
দেব আর শুভশ্রী। ঘুরে এলেন। ‘খোকাবাবু’র জন্য।
রোমান্সের আখড়ায় শুধুই কাজ? নাকি খানিকটা দুষ্টুমিও হল?
খোঁজ নিলেন শতরূপা বসু। সঙ্গে শুটিংয়ের এক্সক্লুসিভ ছবি। একমাত্র পত্রিকার পাতায় |
আমার ট্যাগ হয়ার |
আর কেনাকাটা? পত্রিকার পাতাতেই বলেছিলাম না, নিজের জন্য একটা ট্যাগ হয়ার ঘড়ি কেনার খুব ইচ্ছে আছে। ‘জয় মা’ বলে কিনেই ফেললাম। একটা স্বপ্ন-পূরণ হল বলা যায়। আর অনেক জ্যাকেট। মা-বাবার জন্য জ্যাকেট আর প্রচুর পুল-ওভার। পারফিউমের দিকে তাকাইনি। বাবা রে, ঘড়ি কিনেই যা খসেছে, আগামী তিন বছর ওয়ালেটে তালাচাবি দিয়ে দিয়েছি। আর সেই স্পেশ্যাল মানুষটার জন্য? আমি না কিনলেও সে নিশ্চয়ই নিজে কিছু কিনেছে।
চিজ আর বার্গার: প্রচুর চিজ খেয়েছি। ঠান্ডায় বেশ কাজ দেয়। আর প্যারিসের চিজ তো বিশ্ববিখ্যাত। সঙ্গে বার্গার আর পিৎজা। থাই খাবারও খেয়েছি বেশ। ওয়াইন খাই না। তাই বলতে পারব না।
|
প্রেম আর হল কোথায় |
|
কত্ত শুনেছি যে প্যারিস মানেই প্রেম। ধুর ধুর, শুটিংই তো সব সময় খেয়ে নিল! একটু ঘুরে দেখারও সময় পেলাম না। প্রেম তো দূরে থাক! নিশ্চয়ই ভাবছেন এমন আবেগের চুমুর দৃশ্য কি এমনি এমনি খোলে? আরে ওটা তো অভিনয়। ওর মধ্যে কোনও মশলা ছিলই না। আর এসকে মুভিজ-এর এই ছবিতে শুভশ্রী দু’বছর পরে ফিরেছে বলে শটের সময় বেশ টেনশনেই ছিল। তাতে অবশ্য ভালই হয়েছে। কাজটা খুব সুন্দর করেছে।
|
শুভর জন্মদিন |
|
জানেন তো, এই ট্যুরের মধ্যেই শুভর মানে শুভশ্রীর জন্মদিন ছিল। ব্যাটা কিচ্ছু খাওয়ায়নি। আমিও কোনও উপহার দিইনি। বলেছি, আগে খাওয়াক তার পর উপহার-টুপহার ভেবে দেখা যাবে!
|
আইফেল টাওয়ারের সামনে |
|
প্যারিস! দারুণ অভিজ্ঞতা। কী যে সুন্দর, সাজানো শহর! আর লোকজনও খুব সুন্দর স্বভাবের। তবে আমাদের শু্যটিং নিয়ে বেশ ভুগতে হল। ঠান্ডা আর বৃষ্টির জন্যে। বাপ রে! এক্কেবারে হি হি অবস্থা! এক দিন তো হোটেলে বন্দি হয়ে বসে ছিলাম পাক্কা তিন ঘণ্টা। কুয়াশা আর বৃষ্টির জন্য সব চৌপাট। খুব দুঃখ ছিল ‘পাগলু’র সময় পিসা’র হেলানো টাওয়ারের সামনে শু্যটিং করতে পারিনি বলে। প্যারিসে আইফেল টাওয়ারের সামনে শুটিংয়ের আনন্দ সে দুঃখ ঘুচিয়ে দিয়েছে এ বার। |
|