|
|
|
|
|
|
|
নানা রকম... |
|
গঙ্গাবক্ষে ওমর খৈয়াম |
বারীন মজুমদার |
ইতিহাসের পাতায় ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন ফ্লোটেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের ষষ্ঠ বার্ষিক প্রতিষ্ঠা দিবসে গঙ্গাবক্ষে। সে দিন নাচ, গান, নাটক, কবিতা সব কিছুর মিশ্রণে তাঁরা উপস্থাপনা করলেন একাদশ শতকের পারস্য দেশের কবি, দার্শনিক ওমর খৈয়ামের জীবন দর্শন। পরিচালক শুভা পাল। চোদ্দোটি ছোট ছোট দৃশ্যের মাধ্যমে ওমর খৈয়ামের জীবনের নানা দিক দেখাবার চেষ্টা করেছেন এবং তিনি যথেষ্ট সফল। কারণ তার পিছনে আছে সেই কবির প্রতি অনুরাগ ও একই সঙ্গে তাঁর অনুসন্ধিৎসু মন।
এই প্রযোজনায় গ্রন্থনা হয়েছে ইংরেজিতে। নাট্যাংশ বাংলায় ও গান ব্যবহৃত হয়েছে গজল ও নজরুলগীতির দু’টি পঙ্ক্তি। ডেকের উপর মঞ্চটির পরিসর খুব ছোট হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই সামগ্রিক প্রযোজনা ব্যাহত হয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠা দিবসে শুভা পাল ও মানব পালের উদ্দেশ্য ছিল সকলের সঙ্গে আদানপ্রদান। এই প্রযোজনার অন্যতম প্রাপ্তি বরুণ চন্দের পাঠ। পরিষ্কার উচ্চারণ ও ভরাট কণ্ঠে কবির জীবনপাঠে তিনি যে ব্যঞ্জনা ফুটিয়েছেন তা সচরাচর বিরল। একেবারে ঠিক নির্বাচন। |
|
নাট্যাংশে চরিত্রগুলির আনাগোনা ও সংলাপ এতটাই সংক্ষিপ্ত যে পাঠ অংশ না থাকলে দর্শকদের কাছে অধরা থাকত কবির জীবনকাহিনি। প্রধান দু’টি চরিত্র ওমর ও তার প্রেমিকা দারিয়ার চরিত্রে অংশ নেন তরুণ চক্রবর্তী ও রুবেনা চট্টোপাধ্যায়। তরুণকে মানিয়েছে চমৎকার। দেবাশিস রায়চৌধুরীও ঠিকঠাক। সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের চেহারার সঙ্গে সুলতান মালিক শা বেশ মানানসই।
আরও অনেক ছোট ছোট চরিত্র নিয়ে গড়া ওমর খৈয়াম আসলে এক দলবদ্ধ প্রয়াস। সঙ্গীত পরিচালনায় সুব্রত মুখোপাধ্যায় একটু অন্য ধরনের ভাবনা ভাবতে পারতেন। আবহ সঙ্গীত অনেকটাই সময়ের সঙ্গে খাপ খায়নি। |
|
|
|
|
|