শেষ পর্যন্ত ধরা পড়লেন গারো পাহাড়ের ত্রাস, মেঘালয় পুলিশের ‘বিদ্রোহী’ ডিএসপি তথা জিএনএলএ চেয়ারম্যান চ্যাম্পিয়ন আর সাংমা। বাংলাদেশে চ্যাম্পিয়ন ধরা পড়েছে বলে মেঘালয় পুলিশের কাছে খবর এসেছে। তবে পড়শি দেশ থেকে বিএসএফ-এর হাতে না আসা অবধি চ্যাম্পিয়নের গ্রেফতার হওয়া নিয়ে সরকারিভাবে মুখ খুলছে না বিএসএফ বা মেঘালয় পুলিশ।
পৃথক গারোল্যান্ডের জন্য জঙ্গি কাজকর্ম চালানো চ্যাম্পিয়ন ও সোহন ডি শিরার সংগঠন, জিএনএলএ গত এক বছর ধরে গারো পাহাড়ের তিনটি জেলায় একের পর এক নাশকতা চালাচ্ছে। পুলিশ কম্যান্ডো, সিআরপি, ব্যবসায়ী-সহ অন্তত ২০ জনকে এই বছর হত্যা করেছে জিএনএলএ। বিএসএফ, সিআরপিএফ-এর ‘কোবরা’ বাহিনী, সেনাবাহিনী ও পুলিশের ‘সোয়াট’ কম্যান্ডোরা বারবার হানা দিয়েও চ্যাম্পিয়ন
|
চ্যাম্পিয়ন সাংমা |
বা সোহনকে ধরতে পারেনি। বরং বার বারই জিএনএলএ-র পাতা ফাঁদে পা দিয়ে জওয়ানরা প্রাণ দিয়েছে। ৩১ অক্টোবর জিএনএলএর হানায় চার পুলিশকর্মী ও এক গাড়ি চালক মারা যান। জখম হন দু’জন।
বাংলাদেশের জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি অসমের পরেশপন্থী আলফা ও এনডিএফবি জঙ্গিদেরও আশ্রয় দিচ্ছে জিএনএলএ। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আমদানী করছে বিদেশি অস্ত্র, বিস্ফোরক। এখনও দাদেগ্রের বিডিও ও অসমের দুই ব্যবসায়ী জিএনএলএ হেফাজতে রয়েছে। এই অবস্থায় গত কাল খবর আসে, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন চ্যাম্পিয়নকে গ্রেফতার করেছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব (উত্তর-পূর্ব) শম্ভু সিংহ এ বিষয়ে কোনও নিশ্চিত তথ্য জানাতে পারেননি। পুলিশ সূত্রে খবর, জিএনএলএ নেতাদের ফোনে আড়ি পেতেও চ্যাম্পিয়নের গ্রেফতার হওয়ার সম্পর্কে সূত্র মিলেছে। এমন কী, জানা গিয়েছে চ্যাম্পিয়নকে ছাড়াবার জন্য প্রচুর টাকার বন্দোবস্তও করছে জিএনএলএ। পুলিশের আশঙ্কা, এখন অপহৃত বিডিও পি কে বড়ো ও দুই ব্যবসায়ীকে পণবন্দী হিসাবে ব্যবহার করতে পারে জিএনএলএ। মেঘালয় পুলিশ গত কাল জিএনএলএ সেনাধ্যক্ষ সোহনের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী জ্যাকুইস এ সাংমা-সহ চার গারো জঙ্গি ও দুই নাগা অস্ত্র পাচারকারীকে শিলং থেকে গ্রেফতার করেছে। তাদের গাড়ি থেকে ১১ লক্ষ ৯ হাজার টাকা ও ৪০০ রাউন্ড একে রাইফেলের কার্তুজ মেলে। জেরায় জ্যাকুইস জানিয়েছে, নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর থেকে আঙ্গাম ও হেমখোলুম নামে ওই দুই অস্ত্র পাচারকারী অস্ত্র ও কার্তুজ বেচতে এসেছিল। |