‘হাতি’র খোরাক জোগাতে গিয়েই উত্তরপ্রদেশের উন্নতি হচ্ছে না বলে নির্বাচনী জনসভায় মন্তব্য করলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গাঁধী। মায়াবতী সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে তাঁর দল বসপা-র প্রতীককেই প্রতীকী অর্থে ব্যবহার করেন রাহুল। বলেন, “রাজ্যের উন্নয়ন্যে কেন্দ্র থেকে টাকা আসছে। কিন্তু লখনউয়ে বিরাট এক হাতি সবই খেয়ে নিচ্ছে। রাজ্যের মানুষ কিছুই পাচ্ছে না। সে জন্যই এ বারের ভোটে হাতিটাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেবেন এ রাজ্যের মানুষ।” মায়াবতীকে সরাসরি আক্রমণ করে রাহুল বলেন, “উনি তো হেলিকপ্টার থেকে দুনিয়া দেখেন। গরিব মানুষের খাবার, পানীয় জলের কষ্ট ওঁর জানার কথা নয়। গ্রামের মানুষকে কাজের খোঁজে শহরে যেতে হচ্ছে। তা হলে গ্রামেই বা কেন কাজ নিয়ে আসা হচ্ছে না?” চাষিদের জন্য ইউপিএ সরকার যেখানে বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করছে, সেখানে উত্তরপ্রদেশের সরকার চাষিদের জমি কেড়ে নিচ্ছে এবং ক্ষতিপূরণ চাইলে গুলি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রাহুল। |
ভাট্টা পারসলের ঘটনার উল্লেখ করে রাহুল বলেন, ক্ষতিপূরণ চাইতে আসা চাষিদের মাওবাদী বলে চিহ্নিত করেছিল রাজ্য সরকার। রাহুল বলেন, “উত্তরপ্রদেশে এমন সরকার আসা উচিত যারা জাত-পাতের উপরে উঠে উন্নয়নে মন দেবে। তবেই পাঁচ বছরে রাজ্যের চেহারা বদলে যাবে এবং আগামী দশ বছরে কেউ আর এই রাজ্যকে পিছিয়ে পড়া রাজ্য বলতে পারবে না।” ‘ভারত উদয়’ প্রচার নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করে রাহুল বলেন, “২০০৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি ‘ভারত উদয়’ প্রচার চালিয়েছিল। তাদের নেতারা আপনাদের বাড়িতে আসেন না। আপনাদের মতো খাবার খান না, কুয়োর নোংরা জল পান করতে হয় না। তাই অবলীলায় ভারত উদয়ের বুলি আওড়াতে পারেন।” রাহুলের মতে, বিজেপি নেতাদের সাজানো বাড়িতে, এসি গাড়িতে ‘উদয়’ ঘটেছে কিন্তু গ্রামে ঘটেনি। দেশে যে দিন এক জন গরিবও থাকবেন না সে দিনই সত্যিকারের ‘ভারত উদয়’ ঘটবে। |