দেশের জাতীয় গড়কে বিভিন্ন দিক থেকে ছাপিয়ে যেতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এক দিকে তাঁর লক্ষ্য, বিহারকে সামনে নিয়ে আসা, অন্য দিকে এই উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই কেন্দ্রের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্পে আরও বেশি করে বরাদ্দ আদায় করা। কার্যত এই লক্ষ্যেই নীতীশ সরকার ‘মানব বিকাশ মিশন’ নামে একটি প্রকল্প চালু করার পরিকল্পনা করেছে। স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব অমরজিৎ সিংহ বলেন, “শিশু মৃত্যুর হার কমানো, জন্ম নিয়ন্ত্রণ, টীকাকরণ, নিরক্ষরতা দূরীকরণ, স্কুলছুটের সংখ্যা কমানো প্রভৃতি বিষয়ে এই প্রকল্প কাজ করবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, জাতীয় গড়ের থেকে এই রাজ্যকে আরও ভাল জায়গায় থাকতে হবে।”
এই প্রকল্পের সার্বিক লক্ষ্য, বিহারের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন। এই প্রকল্পের সঙ্গে ১৩ টি দফতরকে যুক্ত করা হচ্ছে। এই দফতরগুলির সমন্বয়েই এই প্রকল্প গড়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন মানবসম্পদ উন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব, অঞ্জনি কুমার। তিনি বলেন, “এই মিশনের আওতায় ১৩টি দফতরকে সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে এই দফতরগুলির সমন্বয় জরুরি।” একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যে সুশাসনও গড়ে উঠবে বলে আমরা আশা করছি।” মানব সম্পদ উন্নয়নের সঙ্গে থাকছে স্বাস্থ্য, সংখ্যালঘু কল্যাণ, তফশিলি জাতি ও উপজাতি কল্যাণ, সমাজ কল্যাণ, শ্রম, সংস্কৃতি এবং যুব কল্যাণ দফতর। সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, প্রতিটি দফতরের আলাদা করে এই কাজ করা কঠিন। সেই কারণেই ‘মিশন’ তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির সমন্বয়ের মাধ্যমে এই সমস্যাগুলির মোকাবিলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি কমিশনের কাজের নিয়মিত পর্যালোচনা করবেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে। প্রতিটি দফতরের মধ্যে ঠিক মতো সমন্বয় গড়ে তুলে সামগ্রিক উন্নয়নের ছবিটি যাতে আরও ভাল করা যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে বলে নীতীশ কুমার ইতিমধ্যে নির্দেশও দিয়েছেন। |