মূল্যবৃদ্ধি বা খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে মতান্তরে কার্যত টানা চার দিন অচল সংসদ। তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শরদ পওয়ারকে চড় মারার প্রতিবাদে আজ কিছু ক্ষণের জন্য এককাট্টা হল সব ক’টি রাজনৈতিক দল।
আজ লোকসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার পরে স্পিকার মীরা কুমার পওয়ারের ওপর হামলার নিন্দা করে বলেন, এ ধরনের অগণতান্ত্রিক আচরণ ও হিংসা মেনে নেওয়া যায় না। একই ভাবে রাজ্যসভাতেও বিবৃতি দেন চেয়ারম্যান হামিদ আনসারি। পরে লোকসভার নেতা প্রণব মুখোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা সুষমা স্বরাজ-সহ সব ক’টি রাজনৈতিক দলের নেতারাই পওয়ারের ওপর হামলার নিন্দায় মুখর হন।
পওয়ারের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে গতকাল অণ্ণা হজারে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “শুধু একটি চড় মেরেছে!” অণ্ণার সেই মন্তব্যের সমালোচনা করে সিপিআই নেতা গুরুদাস দাশগুপ্ত আজ লোকসভায় বলেন, “অণ্ণা খুব ভুল কাজ করেছেন।” |
সেই সঙ্গে চড় মারার ঘটনা বারবার টিভি চ্যানেলে দেখানোরও সমালোচনা করেন তিনি। একই মন্তব্য করেন সংযুক্ত জনতা দলের নেতা শরদ যাদব। শরদ পওয়ারকে চড় মারার ঘটনায় ধৃত হরবিন্দর সিংহকে আজ পাটিয়ালা হাউস কোর্টে পেশ করা হয়। আদালতে পুলিশ জানায়, হরবিন্দর ‘সমাজের পক্ষে বিপজ্জনক’। তাই তাঁকে ছাড়া উচিত নয়। ২৭ বছরের এই শিখ যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পওয়ারকে চড় মারার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি। তা ছাড়া, কৃপাণ বের করে নিজের কব্জি কাটার চেষ্টাও করেন। হরবিন্দরকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয় হরবিন্দরকে। শুনানি শেষে বেরিয়ে আসার সময় আদালত চত্বরেই তাঁকে হেনস্থার চেষ্টা করেন জনা পঁচিশেক এনসিপি সমর্থক। ‘শরদ পওয়ার জিন্দাবাদ’ স্লোগান তোলেন তাঁরা। রাস্তা অবরোধও করেন। এ দিকে, আদালত চত্বরেই ‘ভগৎ সিংহ জিন্দাবাদ, রাজগুরু জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন হরবিন্দর। এবং জানান, সুযোগ পেলে এ রকম কাজ আবার করতে তিনি পিছপা হবেন না। |