|
|
|
|
এ বছরেই শেষ হবে আরবান হাটের কাজ, সিদ্ধান্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
শেষ পর্যন্ত দুর্গাপুরে আরবান হাট নির্মাণের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এডিডিএ)। প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার সময় ঠিক করা হয়েছিল, এ বছর জুলাই মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে ফেলা হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। শেষ পর্যন্ত এ’মাসের মাঝামাঝি দিল্লিতে প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। শুক্রবার এডিডিএ’র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক অন্তরা আচার্য বলেন, “আরবান হাটের নির্মাণ কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা শেষ করে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।”
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে ‘দিল্লি হাট’-এর আদলে এই রাজ্যে প্রথম ‘আরবান হাট’ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয় দুর্গাপুরে। সে বছর ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সড়কের পাশে পলাশডিহায় প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তৎকালীন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়। মূলত পিছিয়ে পড়া এলাকার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের প্রকৃত বিপণনই এই হাট গড়ে তোলার উদ্দেশ্য। বাজেট ধরা হয় প্রায় ৪ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের হ্যান্ডিক্রাফটস ও হ্যান্ডলুম দফতর ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা এবং রাজ্য সরকার ২ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা দেবে বলে স্থির হয়। হাট গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় পাঁচ একর জমি এবং ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও জানায় এডিডিএ। নোডাল এজেন্ট তারাই। ক্ষুদ্র ও হস্তশিল্প সামগ্রী বিক্রির জন্য স্থায়ী স্টল, লোক সংস্কৃতির প্রসারে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য একটি মুক্ত মঞ্চ এবং শিশুদের বিনোদনের জন্য ‘চিলড্রেন্স কর্নার’ গড়ে তোলার কাজ শুরু হয় ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে। ২০১১ সালের ২০ জুলাই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয়নি। কাজ বিশেষ এগোয়ওনি। শেষ সাত-আট মাস নির্মাণ কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। চত্বরে চড়ে বেড়াচ্ছে গরু-ছাগল। অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে অর্ধসমাপ্ত নির্মাণও। চত্বরে গরু-ছাগল ঢুকে পড়ছে। অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে অর্ধসমাপ্ত নির্মাণগুলি। এর ফলে আরবান হাটের ভবিষ্যৎ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংশয় দেখা দেয়। পুরসভার ডেপুটি মেয়র শেখ সুলতান জানান, বিধানসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই আরবান হাটের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে আছে।
এডিডিএ অবশ্য ডেপুটি মেয়রের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয়। সংস্থার মতে, এটা ঠিক যে এ বার লাগাতার বর্ষার জন্য মাঝে কিছু দিন নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা যায়নি। তবে ইতিমধ্যেই প্রায় চার ভাগের তিন ভাগ কাজ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক অন্তরা আচার্য। এডিডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরবান হাটের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি নিয়ে দিল্লিতে ১৬ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে নিয়ে একটি বৈঠক আয়োজিত হয়। এর পরেই স্থির হয়, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ করে ফেলা হবে। |
|
|
|
|
|