উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার কলসুর থেকে জীবনপুর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১০ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। পিচের স্তর উঠে গিয়ে গোটা রাস্তাতেই আলগা হয়ে গিয়েছে পাথর। বেশিরভাগ জায়গাতেই সেই পাথর আবার সরে গিয়ে তৈরি হয়েছে ছোটবড় গর্ত। ফলে গাড় চলাচলের পাশাপাশি হাঁটাচলা করাও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় যে কোনও সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন ওই এলাকার মানুষ। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে রাস্তার সংস্কার করা হোক। যদিও এ ব্যাপারে বার বার সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েও কোনও সুফল পাওয়া যায়নি বলে তাঁদের অভিযোগ।
কলসুর থেকে জীবনপুরের মধ্যে ওই রাস্তার একদিকে পড়ে বাদুড়িয়া-মছলন্দপুর রাস্তা। জীবনপুর ও বাগজোলা বাজারে যেতে গেলে ওই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, সাত-আট বছর আগে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় ওই রাস্তার সংস্কার করা হয়েছিল। ব্যস ওই পর্যন্তই। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত মাঝে মধ্যে ইট ফেলে মেরামতির কাজ করা হলেও পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করা হয়নি। ওই রাস্তাতেই পড়ে বিএলআর দফতর। কলসুর এবং চৌরাসি---দু’টি পঞ্চায়েত, হাট-বাজার এবং চারটি হাইস্কুল। এ চাড়া দু’টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রও পড়ে ওই রাস্তায়। |
দক্ষিণ কলসুর, চৌরাসি, নসিমপুর, চিংড়িয়া, উত্তর কলসুর-সহ কিছু গ্রামের বেশ কয়েকটি প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও ওই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। থানায় যেতে গেলেও ওই রাস্তাই ভরসা। এত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হওয়া সত্ত্বেও রাস্তার পুরোপুরি সংস্কারের দিকে প্রশাসনের কোনও নজর নেই বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। রত্না মণ্ডল, সুফিয়া বিবি বলেন, “খারাপ রাস্তার জন্য অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ক্ষেত্রে তো অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে দাঁড়ায়।” স্থানীয় আর এক বাসিনদা মনিরুজ্জামান বলেন, “রাস্তার যা অবস্থা তাতে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় হয়। রাস্তার কারণে গাড়ির সংখ্যা কমে গিয়েছে। ফলে বাদুড়ঝোলা হয়ে ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাতায়াত করতে হয়।”
রাস্তা সারানোর দায়িত্ব যাদের হাতে সেই জেলা পরিষদের বক্তব্য, রাস্তা মাঝেমধ্যেই সারানো হয়। তবে এখনও টাকা না থাকায় পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করা যাচ্ছে না। টাকা পেলেই রাস্তার পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে। |