টুকরো খবর
মোহনপুরে সংঘর্ষ তৃণমূল-কংগ্রেসে
দু’দলের মধ্যে কিছু দিন ধরেই চাপানউতোর চলছিল। এ বার তা সংঘর্ষের চেহারা নিল। তৃণমূল ও কংগ্রেসের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুর থানার আঁতলা গ্রাম। সংঘর্ষে দু’দলের মোট ৫ জন জখম হয়েছেন। দু’পক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ স্থানীয় দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতারও করেছে। রবিবার দুপুরের সংঘর্ষের পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আঁতলা, শ্রীচন্দনপুর, বাড়শাহপুর গ্রামের কিছু মানুষ সিপিএম, সিপিআই এমনকী তৃণমূল ছেড়েও কংগ্রেসে যোগ দেন। তার পর থেকেই তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে আকচা-আকচি শুরু হয়। কয়েক জন ঘরছাড়াকে ফেরানো এবং তাদের কংগ্রেসে যোগদান নিয়েও উত্তেজনা তৈরি হয়। প্রশাসনিক বৈঠকে এবং দু’দলের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠকেও উত্তেজনা কমেনি। ফের বৈঠকের কথা ছিল সোমবার। তার আগেই দু’পক্ষ জড়িয়ে পড়ল সংঘর্ষে। কংগ্রেস নেতা পরেশ জানার অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন তাঁদের দুই সমর্থককে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। তৃণমূল নেতা প্রদীপ পাত্রের পাল্টা অভিযোগ, সিপিএম-সিপিআইয়ের সঙ্গে বোঝাপড়া করে সমাজবিরোধী ও বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্তদের দলে আশ্রয় দিচ্ছে কংগ্রেস। তারাই এলাকায় অশান্তি বাধাচ্ছে।

চন্দ্রকোনায় উত্তেজনা
বিজেপির সভা ঘিরে সোমবারও উত্তপ্ত রইল চন্দ্রকোনার বিভিন্ন এলাকা। রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানা এলাকার তাতারপুরে বিজেপির সভায় আসার পথে দলের কর্মী-সমর্থকদের তৃণমূলের লোকেরা বাধা দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। গণ্ডগোল মেটেনি তার পরেও। বিজেপি নেতা রামকুমার দে-র অভিযোগ, “রবিবার রাত থেকেই তাতারপুর, পুড়সুড়ি, আগর, মাংরুল, গোহালডাঙা, লিচনা, ন্যাকোরবাগ-সহ আশপাশের গ্রামগুলিতে তৃণমূলের লোকজন বিজেপি কর্মীদের মারধর করছে। ভয়ে দলের বহু সমর্থক ঘরছাড়া। পুলিশকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও অত্যাচার বন্ধ হয়নি।” যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল নেতা তথা ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই বলেন, “এলাকায় অশান্তি ছড়াতে সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে।” পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছু এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। ফলে পুলিশি টহল চলছে এখনও। সোমবার আগর থেকে এক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সভার আগে গণ্ডগোলে জড়িত অভিযোগে পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছিল।

শিশু দিবসে নানা অনুষ্ঠান
সোমবার নানা ভাবে শিশু দিবস পালিত হল মেদিনীপুর ও খড়্গপুর শহরে। কোথাও স্কুলে ছোটদের নিয়ে নাচগানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কোথাও শিশুদের চকোলেট ও হাতে পেন তুলে দেওয়া হয়। আবার কোথাও সাইকেল র্যালি হয়। উদ্যোক্তাদের কথায়, শিশুদের উৎসাহ দিতেই নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন। এ দিন বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতন, ডিএভি পাবলিক স্কুল-সহ বিভিন্ন স্কুলে শিশুদের নিয়ে নাচ, গান, ক্যুইজ, আবৃত্তি-সহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিধাননগরে শিশুদের হাতে চকোলেট ও পেন তুলে দেন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের নেত্রী মৌ রায়। এই উপলক্ষে পিয়ারলেসের উদ্যোগে মোটরসাইকেল র্যালি শহর পরিক্রমা করে। ঘাটালের সুলতানপুর থেকে মেদিনীপুরের হবিবপুর পর্যন্ত সাইকেল র্যালি করা হয় সচেতনতা ও রুদ্রবীণা সঙ্ঘের উদ্যোগে। তাদের প্রচার মূলত শিশু-শ্রমিক নিয়োগের বিরুদ্ধে। শিশুদিবস উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ে উওম্যানস্ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের খড়্গপুর শাখাও। সাউথসাইড এলাকার অঙ্কুর বিদ্যালয়ে এই উপলক্ষে নানা প্রতিযোগিতারও আয়োজন ছিল। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মানসী কুলশ্রেষ্ঠ। প্রতিযোগিতা শেষে সফলদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তিনি।

বিজয়া সম্মিলনী
বেলদা ফেডারেশন অব ট্রেডার্স অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে বিজয়া ও দীপাবলি সম্মিলনীর আয়োজন করা হল রবিবার। এ দিন সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১০টি স্কুলের গরিব ছাত্রছাত্রীদের হাতে কাগজ, পেন, জ্যামিতি বক্স, অভিধান তুলে দেওয়া হয়। তারই পাশাপাশি গরিব মানুষকে শীতবস্ত্রও বিতরণ করা হয়। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। সংস্থার সম্পাদক দেবদুলাল মিশ্র জানান, বেলদার ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে প্রতি বছরই এই ধরনের অনুষ্ঠান হয়।

বার্ষিক অনুষ্ঠান
আইআইটি-র নেতাজি অডিটোরিয়ামে সম্প্রতি হয়ে গেল খড়্গপুরের ডিএভি মডেল স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আইআইটি-র ডেপুটি ডিরেক্টর অরুণ মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন রেল-আধিকারিক মনোজ খান, বায়ুসেনার কম্যান্ড্যান্ট আর রবি প্রমুখ। উদ্বোধনী সঙ্গীতের পরে নাচ-গান-আবৃত্তি হয়। রবীন্দ্রজন্মের সার্ধ-শতবর্ষে নৃত্য-আলেখ্য ‘কবিপ্রণাম’ পরিবেশিত হয়। সবশেষে কিশোর শর্মা রচিত নাটকে যোগ দেয় স্কুলেরই ছাত্রছাত্রীরা। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন লোপা চট্টোপাধ্যায়।

ঝুমুর গানের অনুষ্ঠান
খড়্গপুরের কৌশল্যায় সম্প্রতি এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় সঙ্গীত পরিবেশন করলেন ঝুমুর-শিল্পী বিজয় মাহাতো ও তাঁর সম্প্রদায়। আয়োজক কৌশল্যা রিকশা-স্ট্যান্ড কমিটি। ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর বেলারানি অধিকারী, গৌতম ভট্টাচার্য, দেবদাস সরকার।

প্রৌঢ় খুনে ধৃত ৩
মদ্যপ অবস্থায় এক প্রৌঢ়কে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম সুবল মালিক (৫৯)। বাড়ি গোয়ালতোড় থানার কাদড়া গ্রামে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে কাদড়ার জঙ্গলঘেরা এক খালপাড়ে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রবিবার ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার আরও এক জনকে ধরেছে পুলিশ। ধৃতদের মেদিনীপুর সিজিএম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় আর এক অভিযুক্ত আদিত্য মাল আবার নিজেই আহত অবস্থায় গোয়ালতোড় ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সূত্রের খবর, মদ্যপদের মধ্যে প্রথমে বচসা বাধে। তার পরেই শুরু হয় মারপিট। এক জনের সঙ্গে ছিল শাবল। সেই শাবল দিয়েই সুবলবাবুকে মারা হয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

বসে আঁকো
বসে আঁকো প্রতিযোগিতা হল খড়্গপুরের সুভাষপল্লিতে। সোমবার স্থানীয় একটি সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় ১১-১৩ বছরের ৫০ জন যোগ দেয়। উপস্থিত ছিলেন দেবাশিস শিট, দেবব্রত সিংহ, বিদ্যুৎ গঙ্গোপাধ্যায়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.