কাগজ কুড়ানির মৃত্যু, কংগ্রেস ও তৃণমূলের সংঘর্ষ সাঁইথিয়ায়
বোমা ফেটে কাগজ কুড়ানির মৃত্যুকে ঘিরে কংগ্রেস-তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল সাঁইথিয়ায়। সোমবার সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ বীরভূমের সাঁইথিয়া পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের পার্টি অফিসের কাছে ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সিউড়ি থেকে র্যাফ ও পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হন ডিএসপি (ডিএনটি) প্রশান্তকুমার চৌধুরী, সিআই সঞ্জীব দে, সিউড়ি থানার আইসি অসিত ভট্টাচার্য। সঙ্গে ময়ূরেশ্বর থানার ওসি কার্তিক ঘোষ-সহ আরও অনেকে ছিলেন। ৪ জনের মতো আহত হয়েছেন। জেলা পুলিশ সুপার নিশাত পারভেজ বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তদন্ত চলছে।” এ দিন কংগ্রেস ও তৃণমূল উভয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, মৃতার নাম ভুষণী দাস (৬০)। তিন নম্বর ওয়ার্ডের ব্রহ্মদ্যুতি পাড়ায় তাঁর বাড়ি। এর পরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের পার্টি অফিস আক্রমণ করতে এসেছিল। তাদের ছোড়া বোমাতেই ওই প্রৌঢ়ার মৃত্যু হয়। কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই ওখানে বোমা রেখেছিল। কাগজ কুড়োতে গিয়ে এই বিপত্তি ঘটল। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের খবর ছড়িয়ে পড়তে দু’দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ঢিল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে যায়। প্রশান্তবাবু বলেন, “প্রথমে মৃতদেহ তুলতে একদল বাধা দেয়। পরে মৃতদেহ তুলে ময়না-তদন্তের জন্য সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে কোথা থেকে ওখানে বোমা এল এবং কী ভাবে ওই প্রৌঢ়ার মৃত্যু হল তা তদন্ত সাপেক্ষ।”
চলছে টহল। ছবি: অনির্বাণ সেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার থেকেই কংগ্রেস-তৃণমূলের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়েছিল। সংঘর্ষও হয়েছিল। দু’দিন চুপ থাকার পরে এ দিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোট শরিকের বিবাদ প্রকাশ্যে চলে এল। তৃণমূলের সাঁইথিয়া শহর সভাপতি মানস সিংহের দাবি, “ভুষণীদেবী কাগজ কুড়োতেন। এ দিন সকালে দলীয় কার্যালয়ের কাছে একটি ভাঙা বাড়ির পিছনে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমায় তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি আমাদের লোক।” কংগ্রেস নেতা তথা সাঁইথিয়ার পুরপ্রধান বীরেন্দ্রকুমার পারখের পাল্টা দাবি, “ভুষণীদেবী এবং তাঁদের পরিবারের লোকজন আমাদের দলের সমর্থক। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই ওখানে বোমা রেখেছিল। তৃণমূলের লোকেরা দলের এক সমর্থকের মাথা ফাটিয়ে দেয়।” মৃতার পুত্রবধু প্রমীলাদেবী ও মেজো ছেলে মোহন দাসরা বলেন, “আমরা চার ভাই। মা ছোট ভাই লিচুর কাছে থাকতেন। প্রতি দিনের মতো এদিনও মা ভোর ৫টা নাগাদ কাগজ কুড়োতে গিয়েছিলেন। তার পরেই এই ঘটনা।” পরিবারের তরফ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এ দিকে, এই সংঘর্ষের ঘটনার জেরে সাঁইথিয়ার ছাত্রছাত্রীদের জন্য সিউড়ির একটি স্কুল ছুটি ঘোষণা করেছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.