‘খাকি প্যান্ট সাদা শার্ট ভীমসেন যোশী’
মীরা বন্দ্যোপাধ্যায়
আমাদের ৮ নম্বর দেবেন সেন লেনের বাড়িতে প্রতিদিনই ছিল তৎকালীন নামী শিল্পীদের আড্ডা আর গানের আসরের আয়োজন। তবে রবিবার সেই আসরের সঙ্গে যোগ হত খাওয়া-দাওয়ার পর্ব। পাঁঠার মাংস তো হবেই, সঙ্গে নানান ব্যঞ্জন। আর আমার রবিবারে কোনও ছুটি ছিল না সেই বালিকা বয়েস থেকেই। আসলে আমিই ছুটি চাইতাম না। সেই শৈশব থেকেই গান আমার প্রাণ, আমার সারা জীবনের সঙ্গী। প্রেসিডেন্সি গার্লস স্কুলে পড়তাম। কিন্তু গানের প্রতি আকর্ষণে আমার স্কুল কামাই হত।
ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়, তারাপদ চক্রবর্তী, যামিনী গঙ্গোপাধ্যায়, বেগম আখতার, আলি আকবর খান, বড়ে গুলাম আলি খান, বিলায়েত খান, আমির খান, মালবিকা কাননের বাবা রবীন্দ্রলাল রায় এঁরা নিয়মিত আসতেন আমাদের বাড়ি। আর আসতেন হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের বাবা মহিম মুখোপাধ্যায়, সেতার বাদক নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা জিতেন বন্দ্যোপাধ্যায়, কাশীনাথ মুখোপাধ্যায় এবং উত্তমকুমার। সঙ্গীতের এই মহারথীদের পদধূলিতে আমাদের দেবেন সেন লেনের বাড়ি ছিল তীর্থক্ষেত্র। অথচ ওই বাড়িটি চলে গেল! বালিগঞ্জে বিজন সেতু তৈরির সময় সরকার নিয়ে নিল ওই বাড়ি। রবিবারের কত স্মৃতি যে ওই বাড়িকে ঘিরে!
আমার জন্ম মিরাটে, ১৯৩০ সালের ২৮ মার্চ। মামাবাড়িতে। এই জন্য বাবা নাম রেখেছিলেন মীরা। দু’তিন মাস বয়সেই আবার চলে এলাম কলকাতার বাড়িতে। আমরা দুই বোন, তিন ভাই। বাবা শৈলেন্দ্রকুমার চট্টোপাধ্যায় ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়, দবীর খানের ছাত্র ছিলেন। বাবার পাঁচ ঘরানার তালিম ছিল। বাবাই আমার প্রথম গুরু। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি আমার তীব্র আকর্ষণ। বাবা নিয়ে বসতেন। ১০-১২ ঘণ্টা তালিম নিতাম। বাবা বলতেন, শিল্পীদের আবার রবিবার কী, ছুটি কী! মুনি-ঋষিরা সাধনায় সিদ্ধিলাভ করতেন কী ভাবে? একাগ্রতা আর ঈশ্বরের প্রতি নিষ্ঠা। গান তোমার ঈশ্বর।
মাত্র এগারো বছর বয়সে ‘অল বেঙ্গল মিউজিক কম্পিটিশন’ প্রতিযোগিতায় ধ্রুপদ, খেয়াল, ভজন, টপ্পা প্রতিটি বিষয়েই আমি প্রথম স্থান অধিকার করি। তেরো বছর বয়সে নৃপেন মজুমদারের ডাকে অল ইন্ডিয়া রেডিয়োতে গান করি। সেই ১৯৪৩ সাল থেকেই রেডিয়োতে প্রোগ্রাম করা শুরু। সেই কিশোরী বয়সেই রেডিয়োতে প্রোগ্রাম করার সুযোগ প্রভূত আনন্দ দিয়েছিল।
আমার জীবনের স্মরণীয় রবিবার সঙ্গীতগুরু জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের বাড়িতে। সেখানেই আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের দেবতুল্য সঙ্গীতগুরু ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খান সাহেবের সঙ্গে। আমার গান শুনে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি আমাকে গান শেখাতে রাজি হন এবং সঙ্গীতগুরু হিসেবে তাঁর কাছেই নাড়া বাঁধি। খান সাহেব কলকাতায় থেকে সঙ্গীত শিক্ষাদানের আগ্রহ প্রকাশ করলে জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ মহাশয় তাঁর নিজের বাড়িতেই খান সাহেবের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এর পর ১৯৪৫ সালে গয়া এবং ইলাহাবাদ কনফারেন্সে গান গেয়েছি। কেশরীবাঈ, হীরাবাঈ বরোদেকার, রৌশনারা বেগম, বেগম আখতার এঁরা সকলেই আমাকে খুব ভালবাসতেন। ১৯৪৮-এ স্বর্ণপদক পুরস্কার পেয়েছি তানসেন সঙ্গীত সম্মেলনে। কুমার বীরেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর হাত থেকে পদক পেয়েছিলাম। ওই আসরেই অনুষ্ঠান করেছিলেন পণ্ডিত রবিশঙ্কর। ওই মহান শিল্পীর সঙ্গে একই আসরে আমিও শিল্পী, এ কথা ভাবলে আজও গা শিউরে ওঠে। প্রণাম করতে গেলাম বললেন, ‘এত দিন নাম শুনেছিলাম। আজ গান শুনলাম। বেঁচে থাকো।’ ১৯৪৪-এ ঘটল আরও এক স্মরণীয় ঘটনা। সঙ্গীতাচার্য গিরীজাশঙ্কর চক্রবর্তী আমাকে ‘গীতশ্রী’ উপাধিতে ভূষিত করেন। আমার সঙ্গীত জীবনের কথা বলতে গেলে আমার ছোট ভাই চন্দ্রকুমার চট্টোপাধ্যায়ের কথা বলতেই হয়। সেই ছোটবেলা থেকেই আমার রেওয়াজে ও তবলা সঙ্গত করে আমাকে সাহায্য করত। দেশ-বিদেশের নানান অনুষ্ঠানে ও আমার সঙ্গে সঙ্গত করেছে। ভাইও তৈরি হয়েছিল বাবার ছত্রচ্ছায়ায়। ১৯৫২ সালে শুরু হল ডোভার লেন মিউজিক কনফারেন্স। গাইলাম। একই আসরে গাইলেন বড়ে গুলাম আলি খান।
আমার প্রিয়

রং: নীল
পোশাক:
শাড়ি
খাবার:
মাটন বিরিয়ানি, মাছের মাথা দিয়ে চচ্চড়ি, মটরের বড়া
গায়ক/গায়িকা: বড়ে গুলাম আলি খান, রৌশনারা বেগম, বেগম আখতার
পরিচালক: সত্যজিৎ রায়, তপন সিংহ
ব্যক্তিত্ব: সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন, পণ্ডিত নেহরু, ইন্দিরা গাঁধী
পণ্ডিত নেহরুজি কোনও এক অনুষ্ঠানে আমার গান শুনেছিলেন। তাঁরই আগ্রহে ১৯৫৪ সালে রাশিয়ায় যে সাংস্কৃতিক সফর হয়েছিল তাতে আমি অংশ নিই। সারা ভারতের শিল্পী সমন্বয়ে গঠিত বিরাট দল। এই সফরে ছিলেন পণ্ডিত রবিশঙ্কর, জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ, ওস্তাদ শকুর খান (সারেঙ্গি), নৃত্যশিল্পী আশা সিংহ মাঞ্জার সহ বড় বড় শিল্পীরা। এর পরেই ডাক পেলাম গ্রামোফোন কোম্পানির তরফ থেকে। ১৯৫৫ সালে আমার তিনটি এল পি রেকর্ড প্রকাশিত হয়। ১৯৫৭ সালে পটনা কনফারেন্সে প্রোগ্রাম করতে গিয়ে খুঁজে পেলাম জীবনসঙ্গীকে। আমার গান শুনে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় আমার সঙ্গে আলাপ করতে এলেন। সেই আলাপ ঘনিষ্ঠ হল ওই সালেরই ২১ ফেব্রুয়ারি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে। বিবাহের পর বাবার ইচ্ছেয় ও অনুমতিতে প্রসূন আমাদের বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন। এতে আমাদের সঙ্গীত চর্চায় খুব সুবিধে হয়েছিল। প্রসূনও খুব বড় শিল্পী হয়েছিল, খুব নামডাক। ওস্তাদজি বড়ে গুলাম খান সাহেবেরই ছাত্র। চলচ্চিত্রে গান গাইলাম তপন সিংহেরই অনুরোধে ‘অতিথি’ ছবিতে। এর পর ‘বৃন্দাবনলীলা’, ‘মেঘমল্লার’ ছবিতে গান গেয়েছি। প্রসূন তো ‘যদুভট্ট’ ছবিতে গান গেয়ে খুব নাম করেছিল।
১৯৫৬ সাল, গান গাইতে গিয়ে পুণেতে ক’দিনের জন্য নিরিবিলিতে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। খাকি প্যান্ট আর সাদা শার্ট গায়ে এক যুবক এসে আমাকে বলল, ‘এ ভাবে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন, গান না শুনিয়ে আপনি যেতে পারবেন না।’ পরে পরিচয় পেলাম সে হল ভীমসেন যোশী। সে দিন এক হাজার গোলাপ দিয়ে আমাকে বরণ করেছিলেন ওঁরা। ঘরোয়া আসরে গাইলাম। বড় বড় শিল্পী সব শ্রোতা মানিক বর্মা, প্রভা আত্রে, যোশী সাহেব, ছিলেন হীরাবাঈ বরদেকার। উনি নিজের হাতে আমাকে মালা পরালেন। রোগশয্যায় শুয়ে সে-দিনের কথাগুলি, রোমন্থন করি। হাঁটতে-চলতে পারি না, অথর্ব হয়ে পড়ে আছি। মেয়ে দেবযানীই এখন আমার সারাক্ষণের সঙ্গী।

সাক্ষাৎকার: পিয়ালী দাস
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের
‘দক্ষিণ কলকাতা’ কেন্দ্রে এ মাসে আবার ভোট-‘ব্রত’ নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। এখন দেখার, ফলটা তৃণমূলের পক্ষেই ‘সু’ হয়, নাকি বামেদের পক্ষে ‘ঋত’-সংবাদ শুভ হয়ে হৃতসম্মান কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়!
আশামঞ্জরী।

বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তারবাবু স্ট্রেট জানিয়েছেন, তিনি ছুটি চেয়েও পাননি। তা ছাড়া তাঁর গাঁটে-গাঁটে একটু ব্যথা ছিল বলে মদ খেয়ে ডিউটিতে এয়েছিলেন! সচেতন জনতার হাতে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে ‘ছুটি’ পেয়ে গেলেন আর গাঁটের ব্যথাও বোধ করি সেরে যাবে! ডাক্তারবাবু হেব্বি চালাক! আর লালবাগ হাসপাতালের মেডিক্যাল স্টাফরা কেমন বোকা দেখুন। যখন দেখলেন অ্যাসিড দিয়ে রোগিণীর পা পুড়িয়ে দিয়েছেন, তখন সঙ্গে সঙ্গে একটু ‘অ্যান্টাসিড’ দিয়ে দিলেই শাস্তির মুখে পড়তে হত না!
বাপী। ব্যান্ডেল

ডাক্তারবাবুদের নিয়ে একটা রসিকতা চালু ছিল ডাক্তার হতে গেলে আগে ডেথ সার্টিফিকেট লেখা শিখতে হয়! কিন্তু এখন এক নতুন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, রোগী দেখা (না দেখা) মাত্রই তাঁরা যেখানে সেখানে ‘রেফার’ করে দিচ্ছেন। তবে এ বার এঁদের ডাক্তার না বলে ‘রেফারি’ বলাই উচিত!
সুশান্ত ঘোষাল। কালনা

রাজ্যে সরকারি হাসপাতালের বর্তমান চিত্র: একা ‘রেফার’-এ রক্ষে নেই, ‘অ্যাসিড’ তার দোসর!!
অনুশ্রী দত্ত। রবীন্দ্রপল্লি

সরকার ক্লাস এইট পর্যন্ত পাশ-ফেল প্রথা তুলে দিয়ে প্রকারান্তরে এই বার্তা দিতে চাইছেন যে তাদের কাজের মূল্যায়ন প্রথম অষ্ট বছর করা যাবে না!
শাশ্বত গুপ্ত। কলকাতা

কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে নস্টালজিয়া বিভাগে ‘স্মৃতিটুকু থাক’ ছবিটি কি কমরেডদের দেখানো হবে?
অরূপরতন আইচ।

মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে নিমন্ত্রণ করা সত্ত্বেও বুদ্ধবাবু কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আসতে রাজি হননি। অর্থাৎ দিদি ‘আপনজন’ করতে চাইলেও উনি ‘শত্রু’ হয়েই থাকলেন!
রঞ্জন মিত্র। লেক গার্ডেন্স

বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা জল চুক্তি নিয়ে জল ঘোলার পর তেলের দাম নিয়ে মন কষাকষি। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্কটা কি তা হলে তেল জলের সম্পর্কে দাঁড়িয়েছে? তবে কে কার ওপর ভাসে বা ভাসায়, সেটা ভাবায়!
গৌতম মুখোপাধ্যায়। খড়দহ
ময়দানে দু’দিনের শিশু।
তবুও তোমারই বলে ক্রুশবিদ্ধ ক্রিকেটের যিশু।
দিল্লির স্টেডিয়াম কোটলা সেখানে পাকাও তুমি ঘোটলা।
বাকি ছিল চব্বিশ হায়, বিষাক্ত ডেলিভারি তাঁহার চরণে ছোবলায়।
মোদের হৃদয়ে ঢিঁসু ঢিঁসু, ঘুঁটে মালা নাও তুমি বিশু।
ঘিরে থাকা রূপকথারা ...
দেবশ্রী মুখোপাধ্যায়
ছোটবেলা থেকেই চেহারার যত্ন বা নিজের জিনিসপত্রের প্রতি যত্ন কোনওটাই ছিল না। বি এ পাশের পর যথারীতি বিয়ের ব্যবস্থা হয়ে গেল। শ্বশুরমশাই দেখে পছন্দ করে গেলেন। বাবা পাত্র দেখে এলেন। শুনলাম পাত্র ইঞ্জিনিয়ার, সুপুরুষ। রাজপুত্র না হলেও সদাগরপুত্র বা কোটালপুত্রের পর্যায়ে ফেলা যায়। এবং কলকাতায় চাকুরিরত। আমরা তখন থাকি রায়গঞ্জে। কলকাতা থেকে অনেকদূরে। পাত্রের সঙ্গে চাক্ষুষ দেখা তো দূরের কথা, তার কোনও ফটোও দেখতে পেলাম না। সেই সময় বিয়ের আগে পাত্রপাত্রীর আলাপ পরিচয় হওয়ার তেমন রেওয়াজ ছিল না। গুরুজনেরা দেখেশুনে সব ঠিক করে দু’হাত এক করে দিতেন।
এক গোধূলি লগ্নে বিয়ে হয়ে গেল। চেঁচামেচি হইহল্লার মধ্যে শুভদৃষ্টি যে কি হল, বুঝতেই পারলাম না। পরের দিন খুব সকালে এক দঙ্গল বরযাত্রীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি রওনা হলাম। রায়গঞ্জ থেকে ট্রেনে যাব কাটিহার। হাতে মঙ্গলচিহ্ন সূচক গাছকৌটোটি নিয়ে রওনা হলাম। মনে মনে খুব ভয় কী জানি কেমন মানুষ। রাগী বদমেজাজি না ভাল মনের মানুষ কে জানে। ভুল ভাল কাজ করলে হয়তো বকুনি খেতে খেতেই জীবন কাটবে। এ সব ভাবতে ভাবতে চোখ দিয়ে অনর্গল জল ঝরে পড়ছে। কাটিহার যাওয়ার পথে এক স্টেশনে ট্রেন বদল করতে হয়। ট্রেন বদল করার সময় কখন আমার হাতের ‘গাছকৌটোটি’ পড়ে গেছে বুঝতে পারিনি। ভয়ে ভয়ে পিছন ফিরে তাকাতেই বর মশাই গাছকৌটোটি কুড়িয়ে নিয়ে অত্যন্ত কোমল দৃষ্টিতে ইশারায় আশ্বাস দিয়ে জানালেন, ভয়ের কিছু নেই, তাঁর কাছে আছে। সঙ্গে সঙ্গে সেই ভিড় স্টেশনে অনেক লোকের মাঝে বিশেষ মানুষটি আমার পর প্রিয় হয়ে গেল। আমার সমস্ত ভয় ভাবনা এক মুহূর্তে দূর হয়ে গেল। সেই কোমল ভালবাসার দৃষ্টিটি চিরন্তন হয়ে রইল।
তার পর দীর্ঘ চল্লিশ বছর কেটে গেছে। একসঙ্গে সংসার করতে করতে ভুলভ্রান্তি রাগ অভিমান সব কিছুই হয়। কিন্তু সব কিছুর মাঝখানেও সেই কোমল আশ্বাসের দৃষ্টিটি কখনও ম্লান হয়নি। আজও জানি ভয়ের কিছু নেই।
সাতশো কোটি মানুষের ভারে পৃথিবীর ওজন
বাড়ছে, কিন্তু ‘ওজোন’ কমছে!

জয়ন্ত ঘোষ, বোলপুর
ক্ষমা করিনি
নানা কারণে গ্র্যাজুয়েশনের পর আর এগোনো যায়নি। অবশেষে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য এক নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হই। সেখানে এক স্যরকে ভাল লেগে যায়। স্যর তখন পিএইচ ডি করছেন। প্রথমেই তাঁকে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা জানিয়ে দিই। আমাদের মধ্যের এই ফারাকটিকে তিনি তখন কোনও গুরুত্বই দিলেন না। আমাদের সম্পর্কের প্রথম ক’টা দিন বেশ ভালই কাটল। আবেগে ভেসে গিয়ে প্রায় ঠিক হয়ে যাওয়া একটি বিয়ের সম্বন্ধ ভেঙে দিলাম। তার পর হঠাৎই স্যরের ফোন আসা কমতে লাগল। ক্রমশ বুঝতে পারলাম সবটাই তাঁর অভিনয় ছিল। কিন্তু স্যর এখানেই থেমে থাকলেন না। আমার ফোন নম্বর বন্ধুবান্ধবদের দিয়ে দিলেন। বিভিন্ন অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসতে লাগল। কেউ বন্ধুত্বের প্রস্তাব দিল তো কেউ ‘ডার্লিং’ বা সিনেমার নায়িকাদের নাম ধরে সম্বোধন করতে লাগল। তাই মানুষটিকে ক্ষমা করতে পারি না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, হুগলি

মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
নতুন বিভাগ। চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের।

ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১

নিজের বা আশেপাশের মানুষের জীবন
থেকে কুড়িয়ে পাওয়া ভালবাসার বাস্তব
কাহিনি আমাদের পাঠান, যে কাহিনি এই
কঠিন সময়েও ভরসা জোগাতে পারে।

২৫০ শব্দের মধ্যে লিখুন।
চিঠি পাঠান এই ঠিকানায়:
যদিদং, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.