সংস্কৃতি যেখানে যেমন |
সংস্কৃতির তথ্য ভাণ্ডার |
|
সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় |
কোথাও সম্যক আত্মপ্রকাশ নেই তাঁর। তিনি কবি, সাহিত্যিক, আবৃত্তিকার, অভিনেতা, চিত্রশিল্পী কিছুই নন। অথচ সংস্কৃতির হালহকিত সম্পর্কে তিনি নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন। তিনি সিউড়ির রবীন্দ্রপল্লির প্রবীণ বাসিন্দা সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। সংস্কৃতি কর্মীদের কাছে সবুদা বা সবু বলে পরিচিত স্কুলে পড়ার সময়ে কয়েকটি নাটক করেছেন। বছর কয়েক বেহালা বাজানোর প্রশিক্ষণও নিয়েছেন এক সময়। কেন্তু সে সব তথ্য বিস্মৃত প্রায়। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ কর্মী সব্যসাচীবাবু চাকরির সময়টুকু বাদে নিমগ্ন থাকেন বিভিন্ন বই ও সঙ্গীতের মধ্যে। বিশিষ্ট ছড়াকার আশিসকুমার মুখোপাধ্যায় ছন্দে বীরভূম বিষয়ক ‘বীরভূমের পদাবলী’ গ্রন্থটি প্রকাশের সময় বিশিষ্ট কবিগন লম্বোদর চক্রবর্তীর একটি লেখার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেছেন। শেষ পর্যন্ত মুশকিল আসান সব্যসাচী বাবু। আশিসবাবুর কথায়, “সবুদার বাড়ি যেতেই তিনি আলমারি থেকে বের করে দিয়েছিলেন কবিয়াল লম্বোদরের সেই কাঙ্খিত কবিতাটি। অনর্গল মুখস্ত বলতে পারেন প্রচুর কবির কবিতা। নাটকল এমনকী প্রবন্ধের সময়ে উপযোগী নানা স্তবক ও কোটেশন বলতে পারেন।” তাঁর দেওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, জীবিতকালে কবি জীবনানন্দ দাশের কট্টরক সমালোচক ছিলেন শনিবারের চিঠির সম্পাদক সজনীকান্ত দাশ। কিন্তু দুর্ঘটনায় মৃত জীবনানন্দের ময়নাতদন্ত হয়নি সজনীকান্তের সহমর্মিতায়। তেমনি সজনীকান্তের নিজস্ব প্রকাশনা সংস্থা ‘রঞ্জন পাবলিসিং হাউস’ থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়েছে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘পথের পাঁচালি’। আবার জঙ্গীপুর সংবাদ দয়ের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক দাদাঠাকুরকে কলকাতায় তাঁর পত্রিকা ফেরি করার জন্য নিজের পকেট থেকে পয়সা দিয়ে লাইসেন্স করে দিয়েছিলেন কলকাতা কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সিউড়ির বিশিষ্ট প্রবীণ আবৃত্তিকার, নাট্য পরিচালক ও অভিনেতা মুকুল সিদ্দিকী বলেন, “সবুদা ভাল দর্শক। শ্রোতা, সমালোচক ও পাঠক। সংস্কৃতির যে কোনও বিষয়ে তাঁর দ্বারস্থ হতে হয় আমাদের।”
|
লিটল ম্যাগাজিন |
সিউড়ি থেকে প্রকাশিত বাংলা ও সাঁওতালি ভাষার দ্বিভাষিক ষাম্মানিক সাহিত্য পত্রিকা ‘জানামহাসা জন্মভূমি’র ‘দাঁশাই-শারদ’ সংখ্যাটি পাঠকদের প্রশংসা পেয়েছে। বেশ কিছুূ সাঁওতালি ও বাংলা কবিতা, গল্পের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কয়েকটি নিবন্ধ ও দু’টি অনু নাটক প্রকাশিত হয়েছে। যেমন লেখক ও গবেষক কার্তিক হাঁসদা সাওতাল গৃহবধূদের ডাইনি আখ্যা দিয়ে গ্রামছাড়া করা, নির্যাতন চালানো-সহ আর্থিক জরিমানার দিক উল্লেখ করেছেন। তাঁর নিবন্ধের তথ্য অনুযায়ী বর্ধমান, হুগলি ও মেদিনীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি এই ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে নিবন্ধকারের অভিমত, ‘সরকার বাহাদুর ডাইনি বিরোধী আইন চালু রাখলেও তা পুরোপুরি চালু রাখতে পারেনি। কেন চালু করা সম্ভব হয়নি তা অধরাই থেকে গিয়েছে।... আইন করে ডাইনি সমস্যা মেটানো কতটা কার্যকর হবে, তা এই মুহূর্তে জোর করে বলা না গেলেও শিক্ষার মান যথেষ্ট বাড়াতে হবে এটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’ একই নিবন্ধে ওই পত্রিকার সম্পাদক লক্ষ্মণচন্দ্র হাঁসদা সাঁওতালি ও বাংলাতে অভিমত ছেপেছেন, ‘খুবই সত্য যে আদিবাসী সমাজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলে বিখ্যাত কবিগুরু রয়েছেন তা খুব কম জনই জানেন। .... সেই জন্যই সাঁওতালিতে রবীন্দ্রনাথের সব ধরনের লেখাই অনুবাদ ও ব্যাপক প্রচার হোক। ’ ২টি অনু নাটকে পালস পোলিও টিকা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ নেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন যথাক্রমে মঙ্গল হাঁসদা ও নিমাই সেন।
|
সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা |
|
রঘুনাথপুর মহকুমা সেরা শারদ সম্মান কমিটির উদ্যোগে ‘সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা’ হল রেল শহর আদ্রায়। সম্প্রতি এই অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন দুই শিল্পী মনোজ মুরলী নায়ার ও মনীষা নায়ার। শারদ সম্মান কমিটির তরফে রঘুনাথপুর মহকুমা জুড়ে সেরা পুজো, সেরা মণ্ডপ ও সেরা প্রতিমা নির্বাচিত করা হয়েছিল। আদ্রার বাঙালি সমিতির মাঠে এই অনুষ্ঠানে নির্বাচিত পুজোগুলির উদ্যোক্তাদের হাতে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। কমিটির তরফে এসডিপিও (রঘুনাথপুর) দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানান, অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছিলেন আদ্রার ডিআরএম অমিতকুমার হালদার। উপস্থিত ছিলেন এডিআরএম রাহুল গৌতম, ডিভিসি’র সহকারী মুখ্যবাস্তুকার প্রভাত কিরণ। অনুষ্ঠানের শুরুতে আবৃত্তি পরিষদ ও স্থানীয় শিল্পীরা আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করেন। পরে রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন দুই রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী।
|
উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতানুষ্ঠান |
উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের অনুষ্ঠান হল রঘুনাথপুরে। সম্প্রতি রাজেশ সংঘের উদ্যোগে রঘুনাথপুর শহরের একটি প্রেক্ষাগৃহে ওই অনুষ্ঠানটি হয়। উদ্যোক্তারা জানান অনুষ্ঠানে কণ্ঠ শিল্পী হিসেবে গান পরিবেশন করেছেন অনল চট্টোপাধ্যায়, সরোদ ও তবলা লহরাতে উচ্চাঙ্গ পরিবেশন করেছিলেন অভিষেক লাহিড়ি ও রূপক ভট্টাচার্য। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে অনুষ্ঠান চলে। এলাকার সাংস্কৃতিক পরিবেশ আরও প্রসারের লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠান বলে আয়োজকদের দাবি।
|
জয়চণ্ডী উৎসব |
জয়চণ্ডী পাহাড় পর্যটন উৎসবের প্রস্তুতি সভা হল রঘুনাথপুরে। বুধবার রঘুনাথপুর মহকুমা স্টেডিয়ামে এই সভা হয়। এ বছর ষষ্ঠতম পর্যটন উৎসব হচ্ছে। জয়চণ্ডী পাহাড়কে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গঠনের লক্ষ্যে ২০০৬ সালে এই উৎসব শুরু হয়েছিল। কমিটির সম্পাদক ও সভাপতি হয়েছেন সুকুমার মণ্ডল ও স্থানীয় সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া। সুকুমারবাবু জানান, এ বার উৎসব শুরু হবে ২৭ ডিসেম্বর। চলবে পাঁচ দিন। অন্যান্য বছরের মতো এ বারেও পাঁচ দিন ধরে স্থানীয় লোক সংস্কৃতিমূলক অনুষ্ঠান ও এলাকার শিল্পী গোষ্ঠীগুলি ও কলকাতার শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠান হবে।
|
স্মরণে অজিতেশ |
বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব ও অভিনেতা অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বহু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে পুরুলিয়ার। তাই তাঁর নামে পুরুলিয়া শহরে একটি রাস্তার নামকরণ করা ও রবীন্দ্রভবনের একটি ঘর তাঁর নামে রাখার আর্জি জানানো হয়েছে। একটি শিল্পী গোষ্ঠী সম্প্রতি এ ব্যাপারে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছে। শহরের মধ্যবর্তী এলাকায় অজিতেশবাবুর একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপনেরও দাবি জানানো হয়েছে।
|
রাস উৎসব মানবাজারে |
মানবাজারের রাধাগোবিন্দ মন্দির চত্বরে, মাঝপাড়ায় ও ঝাড়বাগদা গ্রামে রাস উৎসব শুরু হয়েছে। উৎসব কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, পোদ্দা গ্রামে তিন দিনের উৎসব যাত্রা-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে। মাঝপাড়াতে লীলাকীর্তন, রাধাকৃষ্ণের জীবনীপাঠ, সঙ্গীত প্রতিযোগিতা হয়েছে। ঝাড়বাগদা গ্রামেও রাস উৎসব উপলক্ষে যাত্রার আসর বসেছে।
|
শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বাঁকুড়ায় |
সুধাকর সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনুষ্ঠান হয়ে গেল রবিবার। বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে অনুষ্ঠানটি হয়। অনুষ্ঠানে সংস্থার প্রায় ১০০ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ধারা অব্যাহত রাখতেই এই অনুষ্ঠান বলে জানিয়েছেন ওই মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বাসুদেব ঘোষাল।
|
নাট্য প্রতিযোগিতা |
|
বাঁকুড়ার ‘মিলন তীর্থ’ সাংস্কৃতিক সংস্থার নাটক প্রতিযোগিতা শুরু হল। বৃহস্পতিবার রবীন্দ্রভবনে এই প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য বিভাগের অধ্যাপক সৌমিত্র বসু। মিলন তীর্থের সাধারণ সম্পাদক অশোক পাত্র জানান, প্রতিযোগিতায় মোট ১১টি নাটকের দল অংশগ্রহণ করেছে। রবিবার পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতা চলবে। সেরা তিনটি নাটকের দলকে পুরস্কৃত করা হবে।
|
ঐচিবার্তা |
সম্প্রতি প্রকাশিত হল ‘ঐচিবার্তা’ পত্রিকা। সেই উপলক্ষে বাঁকুড়ার জয়পুরে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল। স্থানীয় ভাস্করানন্দ মঞ্চে অনুষ্ঠানটি হয়। সেখানে কয়েক জন কবি, সাহিত্যিককে সর্ম্বধনা জানানো হয়। প্রকাশিত করা হয় কয়েক জন কবি ও লেখকের গ্রন্থ।
|
সাহিত্য সম্মেলন |
বাঁকুড়ার নড়রা গ্রামে ‘ভোরাই’ সাহিত্য পত্রিকার প্রকাশ হল। সেই উপলক্ষে একটি সাহিত্য সম্মেলন হয়ে গেল সম্প্রতি। উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলার নবীন ও প্রবীন কবি-লেখকরা।
|
লিটল ম্যাগাজিন |
সিউড়ি থেকে প্রকাশিত বাংলা ও সাঁওতালি ভাষার দ্বিভাষিক ষাম্মানিক সাহিত্য পত্রিকা ‘জানামহাসা জন্মভূমি’র ‘দাঁশাই-শারদ’ সংখ্যাটি পাঠকদের প্রশংসা পেয়েছে। কিছুূ সাঁওতালি ও বাংলা কবিতা, গল্প ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে নিবন্ধ ও দু’টি অনু নাটক প্রকাশিত হয়েছে।
|
উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত |
উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের অনুষ্ঠান হল পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে। সম্প্রতি রাজেশ সংঘের উদ্যোগে রঘুনাথপুর শহরের একটি প্রেক্ষাগৃহে ওই অনুষ্ঠানটি হয়। উদ্যোক্তারা জানান অনুষ্ঠানে কণ্ঠ শিল্পী হিসেবে গান পরিবেশন করেছেন অনল চট্টোপাধ্যায়, সরোদ ও তবলা লহরাতে উচ্চাঙ্গ পরিবেশন করেছিলেন অভিষেক লাহিড়ি ও রূপক ভট্টাচার্য। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে অনুষ্ঠান চলে। এলাকার সাংস্কৃতিক পরিবেশ আরও প্রসারের লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠান বলে আয়োজকদের দাবি।
|
রাস উৎসব |
পুরুলিয়ার মানবাজারের রাধাগোবিন্দ মন্দির চত্বরে, মাঝপাড়ায় ও ঝাড়বাগদা গ্রামে রাস উৎসব শুরু হয়েছে। উৎসব কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, পোদ্দা গ্রামে তিন দিনের উৎসব যাত্রা-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে। মাঝপাড়াতে লীলাকীর্তন, রাধাকৃষ্ণের জীবনীপাঠ, সঙ্গীত প্রতিযোগিতা হয়েছে। ঝাড়বাগদা গ্রামেও রাস উৎসব উপলক্ষে যাত্রার আসর বসেছে। |
|