বর্তমানে গ্রামে-গঞ্জে সড়ক ও পরিবহনের নিত্য নতুন দিগন্ত যখন খুলছে তখন আহিরণ ব্যারাজ (পোশাকি নাম জঙ্গিপুর ব্যারাজ) দিয়ে চার চাকার গাড়ি যাতায়ায় বন্ধ করে দিয়েছে সিআইএসএফ। ফলে ফিডার ক্যানালের পূর্ব দিকের বেশ কয়েকটি জনবসতির মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন ফিডার ক্যানালের পূর্ব দিকের ওই এলাকা পিছিয়ে পড়েছে। আহিরণ ব্যারেজকে বলা হয় ‘গেট ওয়ে অব’ গিরিয়া। কেবল গিরিয়া নয়, সাদিকপুর ও নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দু’টির হাজার হাজার মানুষকে ওই ব্যারেজের উপর দিয়ে জঙ্গিপুর মহকুমা শহর রঘুনাথগঞ্জে যাতায়াত করতে হয়। লালগোলা ও জঙ্গিপুরে ট্রেন ধরতে, চিকিৎসা পরিষেবা পেতে, অফিস-আদালত ও স্কুল-কলেজে যেতে ফিডার ক্যানালের পূর্ব দিকের জনবসতির লোকজনের ভরসা ওই আহিরণ ব্যারেজ। কিন্তু ‘ফরাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজারের পারমিশান নেই’ জানিয়ে পাহারায় থাকা সিআইএসএফ-এর জওয়ানেরা ওই ব্যারাজ দিয়ে অসুস্থ মানুষের গাড়িও আটকে দেয়। অথচ একই প্রযুক্তিতে তৈরি ও একই মডেলের ফরাক্কা ব্যারাজ দিয়ে কিন্তু মিনিটে অসংখ্য গাড়ি যাতায়াত করে। এলাকার সাংসদ ও বিধায়করা যদি ফরাক্কা ব্যারাজের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে আলোচনা করে ওই সমস্যার নিরসন করেন তবে ওই এলাকার মানুষ তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে।
সাধন দাস, ভৈরবটোলা-লবনচোয়া, সুতি
|
দুর্গাপুজো ও কালীপুজো বিসর্জনের শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ, দুই জেলার বিভিন্ন ক্লাব ও বারোয়ারি পুজো কমিটি নানান ধরণের বাদ্যযন্ত্র যথা তাসা, টগর, ব্যান্ড জাতীয় বাদ্যযন্ত্রের পাশাপাশি উচ্চশব্দ যুক্ত দশ-বারোটি বড় বড় সাউন্ড বক্স এক সঙ্গে বেঁধে ‘শব্দব্রহ্ম’ তৈরি করে। ওই ‘শব্দব্রহ্ম’ শোভাযাত্রার একে বারে পিছনের সারিতে রাখা হয়। শব্দ দূষণের ন্যূনতম মাত্রার কয়েকশো গুণ ছাড়িয়ে যাওয়া সাউন্ড বক্স গুলির ওই শব্দতরঙ্গ থেকে উৎপন্ন কম্পন মাত্রা অনায়াসে সোনোমিটারে মাপা যায়। পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় শব্দবাজির দৌরাত্ম্য কমেছে। তার ফলে মনটা উৎফুল্ল হলেও বিসর্জনের শোভাযাত্রা সফল করতে ‘শব্দ-ব্রহ্মাস্ত্র’-এর সামনে পিছনে পুলিশের নীরব প্রহরা দেখে মনটা বিষাদে ভরে ওঠে। পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ, বিষয়টি নিয়ে আন্তরিক ভাবে ভাবুন ও প্রকৃত পদক্ষেপ করুন।
সুরজিৎ মণ্ডল, ধুবুলিয়া বাজার।
|
রঘুনাথগঞ্জ শহরে খড়খড়ির নদীর উপর নির্মীত রাম-সেন সেতুর পাশেই ওই একই নদীর উপর রয়েছে ব্রিটিশ আমলে নির্মীত আরও একটি সেতু। রাম-সেন সেতু নির্মানের আগে যেটি ‘খড়খড়ি ব্রিজ’ নামে পরিচিত ছিল। ওই সেতুটির আজ বেহাল অবস্থা। উপযুক্ত রক্ষনাবেক্ষণ এবং সংস্কারের অভাবে সেতুটির উপরের রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ও গর্ত দেখা দিয়েছে। রাম-সেন সেতুটির উপর বেশি ভারি যানবাহন চলাচল করলেও পুরোনো সেতুটি কিন্তু পরিত্যক্ত নয়। ওই সেতুটির উপর দিয়ে এখনও হাল্কা যানবাহন ও যাত্রীসাধারণ প্রতিনিয়তই যতায়াত করে থাকে। এমতাবস্থায় হয় সেতুটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ। অন্যথায় যে কোনও দিন সেতুটি ভেঙে পড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।
কাশীনাথ ভকত, রঘুনাথগঞ্জ। |