|
|
|
|
দিঘার পথে গাড়িতে খুন যুবতী, আটক চালক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক ও ভাঙড় |
গাড়ি চলছিল। পিছনের আসনে শ্বাসরোধ করে ও অ্যাসিড ঢেলে ‘খুন’ করা হচ্ছিল এক যুবতীকে। আর সে দৃশ্য ‘দেখে ফেলা’ চালকের মাথায় ধরা হয়েছিল পিস্তল। বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড় থেকে দিঘাগামী একটি ভাড়া-গাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন গাড়ির চালক সঞ্জয় মণ্ডল। গভীর রাতে কোলাঘাটের বাড়বড়িশার কাছে জাতীয় সড়কের ধারে ওই গাড়ি থেকেই বছর তিরিশের ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার আগে গাড়ি থামিয়ে সঞ্জয় চিৎকার করছিলেন। তবে ‘আততায়ীদের’ হদিস মেলেনি। একটি পিস্তল ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে গাড়ির চালককে। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ি থেকে একটি ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে। সেই ব্যাগের মধ্যে মেলা কাগজপত্রে মধুমিতা মণ্ডল নামে এক মহিলা এবং তাঁর স্বামী সুব্রত মণ্ডলের উল্লেখ রয়েছে। তবে নিহত যুবতীই মধুমিতা কি না, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, গাড়ির চালক জানিয়েছেন, মনিরুল মোল্লা বলে পরিচয় দিয়ে ভাঙড় থেকে গাড়িটি ভাড়া করেছিলেন এক যুবক। যাওয়ার কথা ছিল দিঘা। মনিরুলের বাড়ি ভাঙড়ের কাশীপুরে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর সঙ্গে আরও এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবক ওঠেন গাড়িতে। পরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘটকপুকুর থেকে গাড়িতে ওঠেন ওই যুবতী।
চালক সঞ্জয় কাশীপুরেরই চিলেতলা গ্রামের বাসিন্দা। আর গাড়ির মালিক এক পেট্রোল-পাম্প ব্যবসায়ী। সঞ্জয় জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ কোলাঘাটে ধাবায় খেয়ে রাত ৯টা নাগাদ ফের দিঘার পথে রওনা দেন। পিছনের আসনে বসেছিলেন ওই যুবতী ও মনিরুল। অন্য যুবক বসেছিলেন চালকের পাশে। গাড়ি হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পথে মনিরুল ওই মহিলাকে ঠান্ডা পানীয়ের বোতলে কিছ পান করতে দেন। যুবতী রাজি না হওয়ায় ‘ক্ষেপে যান’ মনিরুল। পুলিশের কাছে সঞ্জয়ের দাবি, তার পরেই গলায় তোয়ালের ফাঁস দিয়ে ওই যুবতীকে খুন করে তাঁর মুখ ও শরীরে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয়। এই ‘দৃশ্য’ দেখে আতঙ্কিত সঞ্জয় নন্দকুমারের কাছে গাড়ি ঘুরিয়ে ফের কোলাঘাটের রাস্তা ধরেন। মনিরুল ও তার সঙ্গী অবশ্য ভেবেছিলেন, গাড়ি দিঘার পথেই যাচ্ছে। এই সময় মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাঁকে ‘চুপ’ থাকতে বলা হয় বলেও জানিয়েছেন সঞ্জয়। শেষ পর্যন্ত বাড়বড়িশার কাছে সঞ্জয় চিৎকার করতে থাকেন। |
|
|
|
|
|