কী নেই কী চাই
দক্ষিণ
জলসঙ্কটের অবসান
কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা স্মরণাতীত কাল থেকে পানীয় জলের তীব্র সঙ্কটে ভুগছেন। মহিলা, শিশু, প্রবীণ-সহ মানুষকে প্রাণ হাতে নিয়ে রেললাইন অতিক্রম করে পানীয় জল সংগ্রহ করতে হয়। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে বহু মানুষের প্রাণসংশয় ঘটতে পারে। কলকাতার মহানাগরিকের কাছে অনুরোধ, তিনি এই সমস্যার দ্রুত নিরসনে উদ্যোগী হন।
বর্জ্য অপসারণে ব্যবস্থা
কালীঘাট অঞ্চলে অলিগলির অধিকাংশ অনুষ্ঠানবাড়ির ভুক্তাবশেষ ও রান্নার বর্জ্য যত্রতত্র ফেলায় পচে দুর্গন্ধ বেরয়। পথচলা দায় হয়ে পড়ে। পুরসভাও যেন অনুষ্ঠান বাড়িগুলির লাইসেন্সের টাকা আদায় করেই দায়িত্ব শেষ মনে করে। সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
পর্যাপ্ত যান চলাচল
বেহালা চৌরাস্তা থেকে শিবরামপুর পর্যন্ত নিকাশির কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই ‘৭৭’, ‘১৮বি/১’, ‘১৮এ’ এবং ‘ব্যানার্জিহাট’ ও ‘বজবজ’-এর মিনিবাসদুটি চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে নিত্যযাত্রী ও রোগীদের অবস্থা শোচনীয়। ১৮বি/১ রুটের যাত্রীরা বিশেষ দুর্গতিতে পড়েছেন। রুবি হাসপাতাল থেকে ময়নাগড় পর্যন্ত বাস ৩০ মিনিট অন্তর চলাচল করে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হোক।

পূর্ব
রাসমণি বাজার মোড়ে ট্র্যাফিক ব্যবস্থা
ভি আই পি রোড, সি আই টি রোড এবং ই এম বাইপাস সংযোগকারী জনবহুল এলাকা বেলেঘাটা। দিন-রাত নানা যানবাহন-সহ বহু দূরপাল্লার যাত্রী-বাস চলাচল করায় রাসমণি বাজার মোড়ে অসংখ্য বাসযাত্রী ও পথচারীকে রাস্তা পার হতে বেগ পেতে হয়। রাস্তার দু’ধারে সাইকেল রিকশা, মোটরসাইকেল এবং অন্যান্য যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকায় মাঝে মাঝে ট্রাফিক জ্যাম হয়ে যায়। গাড়িগুলি বিপজ্জনক ভাবে চলাচল করায় যে কোনও সময়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ওই মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও যথাযথ পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না।
বাংলায় বাস-নির্দেশিকা
সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন প্রশাসনিক ভাবে বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। সে ক্ষেত্রে কলকাতার বাস রুট, নম্বর ও গন্তব্যস্থল বাংলায় লেখা হলে ভাল হয়। কারণ সর্বস্তরের মানুষ ইংরাজি রুট নির্দেশিকা পড়ে বুঝে তাড়াতাড়ি বাস ট্রামে নাও উঠতে পারেন। বিষয়টি বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
প্রাণী সংরক্ষণ
কীটনাশক, ডিডিটি, গাড়ির ধোঁয়া, শব্দদূষণ, বহুতল বাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে শালিক, বুলবুল, ছাতারে ইত্যাদির মতো ছোট পাখি এবং কাঠবিড়ালি, বুনো খরগোস, বনবিড়াল ইত্যাদির মতো ছোট প্রাণীর সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। বন দফতরের কাছে অনুরোধ এই প্রাণীগুলির সংরক্ষণ ও সংখ্যাবৃদ্ধিতে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
ডাক বিভাগীয় তথ্য
আমি ভিন রাজ্যে চিঠি পাঠাতে চাই। কিন্তু পিন কোড না জানায় কোনও ডাকঘর থেকে চিঠিটি পাঠাতে পারছি না। কোথাও পিন কোড-এর কোন সূচি নেই যা ডাকঘর থেকে সহজেই পাওয়া উচিত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ ডাকঘরগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলির পিন কোড-সহ সূচি থাকলে সর্বসাধারণের সুবিধা হয়।
টাকায় পরিবর্তন
সম্প্রতি দু’ টাকার কয়েন ও পাঁচ টাকার কয়েনের পরিবর্তন হয়েছে। দু’ টাকাটি এখন এক টাকার মতো এবং পাঁচ টাকাটি পঞ্চাশ পয়সার মতো দেখতে লাগে। ফলে পথে-ঘাটে, যানবাহনে, জিনিসপত্র বেচা-কেনার সময় বহু মানুষ বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছেন। বিবাদেরও সৃষ্টি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জনস্বার্থে এই বিভ্রান্তি এড়াতে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
জলাশয়ের সংস্কার
দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এম এম ঘোষ রোড। একটি পুকুরকে মাঝখানে রেখে দু’টি রাস্তা দু’দিকে গেছে। বাঁ দিকের প্লটটি ১ এম এম ঘোষ রোড বা রাবার ফ্যাক্টরি নামে পরিচিত। পুকুরটির পাড় ঘেঁষে দু’দিকে ঘরবাড়ি উঠেছে। এই বিরাট এলাকায় একটি মাত্র জলাশয়। শান-বাঁধানো সিঁড়ির ঘাট একটি শিবমন্দির সংলগ্ন। ঘাটে বসার জায়গায় ছাদ আছে। এই পাড়ে এক সারি গাছও জায়গাটা ঠান্ডা রাখে, সুন্দর লাগে। কিছু দিন আগেও পুকুরের ঘাটে স্নান করা, কাপড় কাচা চলত সকাল থেকে সন্ধ্যা। লোকে একটু বিশ্রাম করত হাত-মুখ ধুয়ে। এখন তা ভাবাও যায় না। পুকুরটি একটি দূষিত ডোবায় পরিণত হয়েছে। প্লাস্টিক, থার্মোকল, ময়লায় ভর্তি। গত পুজোতেও প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে, কিন্তু ডুবে যাওয়ার মতো জল নেই। এ অঞ্চলের পুরবাসীরা চান, জলাশয়টি সংস্কার ও রক্ষাণাবেক্ষণ করা হোক।

আমাদের লিখুন আপনার পাড়ার নাগরিক সমস্যা জানিয়ে
অনধিক ১৫০ শব্দে লিখে পাঠান। ঠিকানা:
কী নেই কী চাই,
কলকাতা উত্তর/ দক্ষিণ/ পুর্ব,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১।

আপনার নাম, ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর অবশ্যই লিখবেন।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.