তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং তার জেরে মারামারি নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে আরামবাগ মহকুমায়। বৃহস্পতিবার রাতেও দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম হয়েছেন গোঘাট ২ ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি-সহ ৬ জন। দলের আর এক নেতা ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এই ঘটনায়। দু’পক্ষই নালিশ জানিয়েছে থানায়। এই পরিস্থিতিতে আরামবাগ মহকুমার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা তথা চুঁচুড়ার বিধায়ক তপন মজুমদার বলতে বাধ্য হয়েছেন, “দলবাজির সঙ্গে যুক্তদের কোনও মতেই বরদাস্ত করা হবে না। সর্বত্র পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে, গোষ্ঠী-রাজনীতি করা যাবে না।”
বুধবারও দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে আরামবাগে। তপনবাবু তখন বলেছিলেন, “দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। সিপিএমের লোকজনই আমাদের পতাকা নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে গোলমাল পাকাচ্ছে।” বিধানসভা ভোটের পর থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে অশান্তিই আরামবাগ পুলিশের মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের এক কর্তার কথায়, “তৃণমূল নেতৃত্বের বিভিন্ন স্তরে জানিয়েছি। তাঁরা বলেই দিচ্ছেন, দলের অন্দরে গোলমাল নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিক।”
তপনবাবু বলেন, “পুলিশ কর্তাদের বলে দেওয়া হয়েছে, পতাকার রং দেখবেন না। আইন হাতে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নিন।” বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে গোঘাট ২ ব্লকের অনুপনগর, সুন্দরপুর, রামানন্দপুর, ভাতশালা প্রভৃতি গ্রামে। দুই মহিলা-সহ ৬ জন জখম হন। শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি আতাউল হকের পা ভেঙেছে। আতাউল বলেন, “গ্রামে লুঠতরাজ, মহিলাদের নির্যাতন চালিয়ে তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে দলেরই সদস্য ফরিদ খান। ফরিদের দাবি, আতাউলের দলবল সিপিএম-ছুট লোকজনকে নিয়ে হামলা চালিয়েছে। |