টুকরো খবর
যাত্রীদের মত নিয়ে বাড়ানো হতে পারে রেলের ভাড়া

ফের যাত্রী-ভাড়া বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করলেন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী। তবে সরাসরি নয়। মন্ত্রক দেখেছে, বর্তমানে একটি টিকিটের যা দাম তার প্রায় তিরিশ শতাংশ ব্যয় হয় ‘ফুয়েল চার্জ’-এর খরচ মেটাতে। পরোক্ষে রেলমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন, আগামী দিনে ডিজেলের ভাড়া বৃদ্ধি পেলে টিকিটে ‘ফুয়েল চার্জ’-এর যে অংশ থাকে তা বৃদ্ধি করা হবে। এই পদ্ধতিতে তেলের দাম কমলে টিকিটের দাম কমানো হবে বলেও অবশ্য যুক্তি দিয়েছে মন্ত্রক। মন্ত্রক এই যুক্তি দিলেও, দলনেত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে দীনেশ এই সিদ্ধান্ত নেবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে সব মহলেই।গত কয়েক বছর ধরেই যোজনা কমিশন, অর্থ মন্ত্রক লাগাতার ভাবে যাত্রী-ভাড়া বৃদ্ধি করার জন্য রেলমন্ত্রকের উপর চাপ দিয়ে আসছে। বর্তমানে রেলের যা নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা, তাতে অবিলম্বে যে ভাড়া বৃদ্ধি করা প্রয়োজন তা বিলক্ষণ জানেন রেলমন্ত্রী। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি স্বীকারও করে নেন, “রেলের জ্বালানি ও অন্যান্য খরচ যে ভাবে লাগাতার বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে যাত্রী-ভাড়া বাড়ানো ছাড়া আর কোনও রাস্তাও খোলা নেই মন্ত্রকের কাছে।” কিন্তু তৃণমূল শিবিরের বক্তব্য, আপত্তি রয়েছে অন্যত্র। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ বিষয়ে নীতিগত আপত্তি থাকায় ওই অপ্রিয় সিদ্ধান্ত দীনেশের পক্ষে এখনই নেওয়া সম্ভব নয়। কেননা মমতা মনে করেন, ভাড়া বাড়িয়ে রেলের আর্থিক সুরাহা হবে না। তার চেয়ে রেলের বিকল্প আয়ের রাস্তায় হাঁটা উচিত। এই পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে ভাড়া বৃদ্ধি করার যুক্তি হিসেবে ডিজেলের দাম বৃদ্ধিকে হাতিয়ার করেই এগোতে চাইছেন দীনেশ। ভাড়া বাড়ানোর পক্ষে দীনেশের যুক্তি, ভবিষ্যতে ডিজেলের দাম বাড়লে প্রতি টিকিটে তেলের দাম হিসেবে যা খরচ হয় তা ডিজেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ানো হবে। তবে ওই বৃদ্ধির আগে বিষয়টি নিয়ে যাত্রীদের মত কী, তা জানার জন্য নতুন ভাড়ার বিন্যাস রেলের ওয়েবসাইটে দেওয়া থাকবে বলে জানান রেলমন্ত্রী। সেখানে ভাড়া বৃদ্ধি করা উচিত কি অনুচিত সে বিষয়ে সাধারণ মানুষ মতামত দেওয়ার পরেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রেলমন্ত্রক। আজ বাজেটে ঘোষিত ২৬টি নতুন ট্রেন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রক। এর মধ্যে রাজ্যের ভাঁড়ারে রয়েছে মাত্র দু’টি ট্রেন। হাতিয়া-পুণে (সপ্তাহে দু’দিন) ও পোরবন্দর-সাঁতরাগাছি কবিগুরু এক্সপ্রেস (সাপ্তাহিক)। যে আটটি ট্রেনের যাত্রা সম্প্রসারণ হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে রাজ্যের একটি ট্রেন। মন্ত্রক জানিয়েছে, জম্মু-তাওয়াই-হাতিয়া এক্সপ্রেস এখন থেকে রৌরকেল্লা পর্যন্ত যাবে।

পোস্টারে সনিয়ার চেয়েও ‘বড়’ রাহুল
গালে খোঁচা দাড়ি। মুখের অভিব্যক্তিতে চাপা ক্রোধ। আর তার নীচে বড় হরফে লেখা, ‘জবাব হাম দেঙ্গে’। সোমবার থেকে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করতে চলেছেন রাহুল গাঁধী। তার আগে রবিবার থেকে এমনই পোস্টারে উত্তরপ্রদেশ ছেয়ে দিতে চলেছে কংগ্রেস। কিন্তু বড় কথা হল, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের পোস্টারে রাহুলের ছবিই সব থেকে বড়। সনিয়া-মনমোহন রয়েছেন, কিন্তু তুলনায় অনেক ছোট আকারে। কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাহুলের ভূমিকা যে দলে বাড়ছে, পোস্টারে তার প্রতিফলন ঘটেছে। ক’দিন আগেই সব জল্পনা থামাতে চেয়ে দল বলেছিল, আপাতত সনিয়াই সভানেত্রী থাকবেন। রাহুল কবে দলের সভাপতি পদের দায়িত্ব নেবেন, তা স্থির করবেন সনিয়াই। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে নিচুস্বরে এ কথাও জাননো হয়েছিল, উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে কংগ্রেস ভালো ফল করলে রাহুলের সেই রাজনৈতিক উত্তরণ স্বাভাবিক নিয়মেই হবে। দলের একাংশের বক্তব্য, এই মুহূর্তে রাহুল যুব কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু যুব কংগ্রেসের দায়িত্বের থেকে অনেক বড় ভূমিকায় অবতীর্ণ তিনি। ফলে যুব কংগ্রেসের পদ ছাড়তে পারেন রাহুল। যুব কংগ্রেসের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে কোনও তরুণ নেতাকে।

তৎকালে টিকিট এক দিন আগে
রেলের তৎকাল ব্যবস্থায় দুর্নীতি রুখতে এক দিন আগে ওই টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রেল মন্ত্রক। রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী আজ এ কথা জানিয়ে বলেন, “দুর্নীতি রুখতে তৎকালে একটি পিএনআর-এ চার জন যাত্রীর বেশি টিকিট দেওয়া হবে না।” আগামী ৭ থেকে ১০ দিনে এই নিয়ম চালু হবে বলে জানিয়েছে রেল মন্ত্রক। অভিযোগ, এজেন্টরা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে তৎকাল টিকিট কেটে নিয়ে পরে বেশি দামে সেগুলি বিক্রি করে। নতুন নিয়ম চালু হলে, সকাল আটটা থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত রেল মন্ত্রক স্বীকৃত এজেন্ট তৎকাল টিকিট কাটতে পারবেন না। রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, আগে টিকিট পরীক্ষককে তৎকাল টিকিটের যাত্রী নিজের ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট-এর মতো যে কোনও একটি সচিত্র পরিচয় পত্র দেখিয়ে যাত্রা করতে পারতেন। কিন্তু নতুন নিয়মে তৎকাল টিকিট কাটার সময় যাত্রী যে পরিচয়পত্রের কথা উল্লেখ করবেন, যাত্রার সময়ে টিকিট পরীক্ষককে সেটাই দেখাতে হবে। না হলে তাঁকে ‘বিনা টিকিটের যাত্রী’ হিসেবে গণ্য করা হবে।

পাল্টা জেরা নয়, রাজার আর্জিতে বিস্ময়
নাটকীয়তার মধ্যে দিয়ে শুরু হল টুজি স্পেকট্রাম মামলার বিচারপর্ব। প্রথম দিনেই মামলার প্রধান অভিযুক্ত, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী এ রাজা আর্জি জানালেন, আপাতত সরকার পক্ষের সাক্ষীদের পাল্টা জেরা তাঁর কৌঁসুলি করবেন না। সিবিআই তদন্ত শেষ করলে এবং সব সাক্ষীর লিখিত জবানবন্দি পাওয়ার পরই তাঁর কৌঁসুলি পাল্টা জেরার প্রক্রিয়া শুরু করবেন। বিশেষ আদালতের বিচারক ও পি সাইনি অবশ্য এই আর্জি নাকচ করে দেন।
রাজার এই আর্জিতে বিস্মিত অন্য অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। তাঁদের বক্তব্য, টুজি নিয়ে দুর্নীতি, ষড়যন্ত্র, ক্ষমতার অপব্যবহারের যাবতীয় অভিযোগের উৎস খোদ প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী। অথচ তিনিই অভিযোগকারীদের পাল্টা প্রশ্ন করার অধিকার থেকে অব্যাহতি চাইছেন। তা হলে যাঁদের বিরুদ্ধে রাজাকে সাহায্য করার অভিযোগ উঠছে, তাঁদের হয়ে আইনজীবীরা লড়াই চালাবেন কী করে? মামলা এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁদের অসুবিধা হবে। শুক্রবার সকালে দিল্লির বিশেষ আদালতে টুজি মামলার বিচারপর্ব শুরু করেন বিচারক ও পি সাইনি। আদালতকক্ষে এ দিন এত ভিড় হয়েছিল যে বিরক্তি প্রকাশ করেন স্বয়ং বিচারক সাইনিও।

জঙ্গি-জওয়ান গুলির লড়াই ধলাইয়ে
পাবর্ত্য ত্রিপুরায় জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ক্রমশই বাড়ছে। কাল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন এনএলএফটি-র সদস্যদের সঙ্গে রাজ্যের টিএসআর জওয়ানদের তুমুল গুলির লড়াই চলে বেশ কিছুক্ষণ ধরে। ধলাই জেলার মানিকপুর থেকে ২০-২৫ কিমি দূরে জঙ্গলাকীর্ণ পার্বত্য এলাকায় টিএসআর জওয়ানেরা টহল দিতে বেরিয়েছিলেন। সীমান্তবর্তী সোনারামপাড়া এলাকায় জওয়ানেরা পৌঁছলে হঠাৎ গুলি শব্দ শুনতে পান। স্বল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের লক্ষ্য করে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ছুড়তে থাকে জঙ্গিরা। আত্মরক্ষার্থে জওয়ানেরাও পাল্টা গুলি চালান। লড়াই চলে বেশ কিছুক্ষণ। শেষ পর্যন্ত জঙ্গিরা পিছু হটতে থাকে। শেষে গভীর জঙ্গলে গা ঢাকা দেয়। পরে জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে জওয়ানেরা বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেন। পাওয়া গিয়েছে জঙ্গিদের প্রয়োজনীয় নথি সহ চাঁদার কুপন। সীমান্ত পেরিয়ে ৫-৭ জনের একটি জঙ্গি দল জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই ঘটনা মানিকপুর এলাকায় চাউর হওয়ার পরেই গ্রামবাসীরা তীব্র আতঙ্কে ভুগছেন। মানিকপুর থানার পুলিশকর্মী রতনমণি দেববর্মা জানান, হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তল্লাশি চলছে। কোনও জঙ্গি ধরাও পড়েনি।

বাস উল্টে মৃত্যু চার পুণ্যার্থীর
তীর্থযাত্রীদের বাস উল্টে মারা গেলেন তিন মহিলা-সহ চার যাত্রী। জখম হয়েছেন ৩০ জন। আজ ভোরে মেঘালয়ের জয়ন্তিয়া পাহাড়ে ক্লেরিয়েট এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মূলত, বয়স্ক তীর্থযাত্রীদের নিয়ে ফিরছিল বাসটি। সাড়ে ৫টা নাগাদ, তীব্র বেগে থাকা বাসটি মেন্দিহাতির কাছে বাঁকের মুখে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান জয়মায়া পাল (৫৮), কল্পনা বিশ্বাস (৬০), শুভা নন্দী (৭০) ও রোহিত দাস মুহুরি (৬৮)। জখম অবস্থায় ৩০ জনকে ক্লেরিয়েট স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।

সুরক্ষা-প্রচারে সচিন, আমির
প্রহরাবিহীন লেভেল ক্রসিং-এ দুর্ঘটনা এড়াতে এখন সচিন তেন্ডুলকরকে প্রচারে নামাবার কথা ভাবছে রেল মন্ত্রক। তবে তালিকায় শুধু সচিনই নয়। রয়েছেন আমির খান ও জ্যাকি শ্রফও। সাধারণ প্রচারে কাজ না হওয়ায় তারকাদের প্রচারেই ভরসা রাখতে চাইছেন রেলমন্ত্রী। আজ তিনি বলেন, “লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা এড়াতে আমরা তারকাদের দিয়ে প্রচার চালাব বলে ঠিক করেছি।” কবে থেকে তা শুরু হবে বা সচিন-আমিররা মত দিয়েছেন কি না, তা জানাননি তিনি।

প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
দেশের মানবাধিকার কর্মীদের কটাক্ষ করল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের বক্তব্য, মানবাধিকার কর্মীরা আইনভঙ্গকারীদের হয়ে সওয়াল করেন। অথচ অনাহারে মৃত্যু, ঋণ জর্জরিত চাষির আত্মহত্যা বা সন্ত্রার্সে নিহত নিরাপত্তা রক্ষীদের বেলায় তাঁরা উদাসীন কেন?


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.