|
|
|
|
সাহায্যে তৈরি, রবীন্দ্র-কেন্দ্রের প্রকল্প-রিপোর্ট চায় দিল্লি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
রবীন্দ্রনাথের নামে কলকাতায় আন্তর্জাতিক মানের সংস্কৃতি কেন্দ্র গড়ে তুলতে রাজ্যকে সব রকম সাহায্য দিতে প্রস্তুত কেন্দ্র।
রবীন্দ্রসদন, নন্দন এবং অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস চত্বর মিলিয়ে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা অনুদানে যে ‘টেগোর ইন্টারন্যাশনাল কালচারাল সেন্টার’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়েছেন, তা বাস্তবায়িত করতে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী কুমারী শৈলজা। আজ তিনি বলেছেন, “এটি অত্যন্ত ভাল পদক্ষেপ। আমার মন্ত্রক এ বিষয়ে রাজ্যকে সব সাহায্য করতে প্রস্তুত।”
কলকাতার রবীন্দ্রসদন, নন্দন, অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের মতো সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ‘টেগোর ইন্টারন্যাশনাল কালচারাল সেন্টারে’র অভিন্ন ছাতার তলায় এনে একটি আন্তর্জাতিক মানের সংস্কৃতি কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। এ মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী কলকাতায় দেখা করতে গেলে তাঁর কাছে ওই কেন্দ্র গঠনের জন্য অনুদান চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে সময়ে শৈলজার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনাও করেন মমতা। পরে শৈলজা ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, কলকাতাকে সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসাবে দেখতে চায় কেন্দ্রও। এই কাজে সংস্কৃতি মন্ত্রক সব সহায়তা দেবে। কেন্দ্রটির সামগ্রিক পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার একটি উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করেছে। তবে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছে রাজ্যের তরফে একটি লিখিত প্রস্তাব ছাড়া এখনও আর কিছু আসেনি। বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট পাওয়া গেলে তবেই সংস্কৃতি মন্ত্রক অনুদান দেওয়ার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করবে।
রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রক এমনিতেই চার খণ্ডের রবীন্দ্র চিত্রাবলী প্রকাশ করেছে। তা ছাড়াও আজ শৈলজা বলেন, “কেন্দ্রীয় অনুদানে রবীন্দ্রনাথের ১৩টি কবিতার উপর ১৩টি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি বানাবেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। এ ছাড়া রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র করার দায়িত্বে রয়েছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। শ্যাম বেনেগালের নেতৃত্বে থাকা বাছাই কমিটি ওই ছবিগুলির নির্মাণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুমোদন দিয়েছে।” এ বছরে সুইৎজারল্যান্ডের পাশাপাশি ইজরায়েল ও কলম্বিয়াতে রবীন্দ্রনাথের আবক্ষ-মূর্তি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
স্বামী বিবেকানন্দের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষেও একাধিক পদক্ষেপ করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রক। শিক্ষার মাধ্যমে বিবেকানন্দের ভাবধারাকে ছড়িয়ে দিতে ইতিমধ্যেই বেলুড় মঠকে ১০০ কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রক। এ ছাড়া বিবেকানন্দের স্মৃতিবিজড়িত ৪টি পুরাকীর্তিকে সংরক্ষণের জন্য আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে ১২ কোটি ৪২ লক্ষ টাকার অনুদান, বৃন্দাবনের রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রমের হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়নে ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা, কালাহান্ডির রামকৃষ্ণ মিশনের জন্য ৩ কোটি ১ লক্ষ টাকা, ব্যারাকপুরের রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনে প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা দেওয়ার বিষয়েও সম্মত হয়েছে কেন্দ্র। মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০ কোটি ২১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কলকাতায় রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে একটি কার্ডিয়াক কেয়ার ও ডায়াগনস্টিক কেন্দ্র, গোলপার্কের ইনস্টিটিউট অফ কালচারকে বিবেকানন্দ বিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠান করার জন্য ৬ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে। শৈলজা বলেন, “বিবেকানন্দ যে মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউশনে পড়াশুনা করেছেন সেই স্কুলের সংস্কারে এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার বিষয়টিও মন্ত্রকের বিবেচনাধীন।” |
|
|
|
|
|