|
|
|
|
|
|
|
বেড়ানো ১... |
|
বাঘ চাই বাঘ |
শীতের ছুটিতে জঙ্গলে হলদে-কালো ডোরার দেখা পেতে চান? কিন্তু দেখানোর
গ্যারান্টি দেবে কে? বনের পথে গাইড হলেন বাঘ বিশারদ জয় মজুমদার |
অমাবস্যার সন্ধ্যা। খাটো, রোগা গাছগুলোর ঝাঁকড়া জঙ্গলে পথ করে নিতে রুক্ষ কাঁটাজমি ছেড়ে খোলা জিপ হঠাৎ নেমে পড়ল এক পাথুরে নালায়। বছরের এ সময়টা জল থাকার কথা নয়, নেইও। কিন্তু পেল্লাই-সাইজের সব বোল্ডার আর এবড়ো খেবড়ো চাট্টানের ‘রাস্তায়’ জিপসির পিছনে দাঁড়িয়ে ক্যামেরা হাতে নিজের ব্যালেন্সের আর মারুতির অ্যাক্সেলের পরীক্ষা নিতে নিতে এক বার মনে হল এর চেয়ে নেমে পড়লে হয়তো এগোনো সহজ হত।
হঠাৎ কানের পাশে বাঁ-দিকের জঙ্গলটা খানখান হয়ে গেল একটা প্রায় অশরীরী চিল-চিৎকারে। ভালুকের ঘোঁত-ঘোঁত আগে অনেক শুনেছি, কিন্তু গলা ছেড়ে তার এমন আর্ত ডাকের অভিজ্ঞতা সেই প্রথম। কী কারণে ভালুকভায়া এত বিচলিত সেটা ঠাউরে ওঠার আগেই ওই তারস্বর চমকে দিল আরেক বার। আমাদের উপস্থিতি নিরাপদ কি না ভাবছি, ডান দিকের জঙ্গল থেকে, যেন প্রত্যুত্তরেই হেঁকে উঠল এক গমগমে বাঘ। ক’মুহূর্তের নীরবতার পর আবার সেই স্নায়ু পঙ্গু করে দেওয়া হা-লু-ম, এ বার আরও কাছে।
বাঘ-ভালুকের এমন কানফাটানো যুগলবন্দিতে ফ্রন্ট-রো সিট পেয়ে যাব কে জানত! দুই মেজাজি ওস্তাদের মাঝখানে এ ভাবে কতক্ষণ কেটেছে খেয়াল নেই (পরে হিসেব করেছিলাম মাত্র মিনিট ১৫)। এক সময় সওয়াল-জবাবের একটু বিরতিতে খানিক সম্বিৎ ফিরতে দেখি গাড়ির হেডলাইটের চৌহদ্দির বাইরে সব মুছে দেওয়া ঘুরঘুট্টি রাত।
অন্ধকারে শুখা নালার বোল্ডার ডিঙিয়ে জিপসি এগোবার ভণিতা করছিল। হঠাৎ পাথরে জবর ঠোক্কর খেয়ে ইঞ্জিনে একটা করুণ গোঙানির শব্দ আর গাড়ি বেমক্কা পিছলে সামনের দু’চাকা আকাশে। এক হাতে আঁকড়ে ধরা খোলা জিপসির হুড-বাঁধার রড-এর জোড়-ঝালাই খুলে এল গোটা শরীরের ভারে। |
|
প্রায় পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রি-তে খাড়া হয়ে যাওয়া জিপসির হেডলাইটের আলো নালা ছেড়ে উঠে গিয়েছিল মাথার ওপরের জঙ্গলে। চিত হয়ে পড়তে পড়তে আমার চোখও স্বভাবত ছিল আকাশে। জানি না কোনও কোরিওগ্রাফারের পক্ষে এতগুলি ভিন্ন মুহূর্তের এমন অলৌকিক সমন্বয় সম্ভব কিনা। অসহায় চিৎপটাং হতে হতে মাথার ওপরে দেখলাম লাফিয়ে নালা পার হয়ে যাচ্ছে বাঘ, গাড়ির আলো ঠিকরে পড়ছে তার দুধ-সাদা জোয়ান পেটে, গাঢ় অন্ধকারের প্রেক্ষাপটে ঝলসে উঠছে সোনালি-কালো ডোরার ইঙ্গিত।
ওই একটি-দু’টি মুহূর্তই, কিন্তু স্মৃতিতে রয়ে গেছে স্লো-মোশনে, যেন নালার এ পার থেকে ও পারে হাওয়ায় ভেসে পার হচ্ছেন জঙ্গলের রাজা। গল্পের বাকিটা না-বলাই থাক। ঘাড়ের ওপর বাঘ আর কাছেপিঠেই ভালুক নিয়েও আমরা ওই লটকানো জিপসিকে নালাছাড়া করে যে ফিরেছিলাম সে তো বোঝাই যাচ্ছে।
তা বলে ভাববেন না যেন নিয়মিত জঙ্গলে যাই বলে বাঘেরা পক্ষপাতদুষ্ট বা তাদের খুঁজে পাওয়ার কোনও মোক্ষম ফর্মুলা আয়ত্ত করেছি। অনেক ছোট-বড়, দেশি-বিদেশি ওস্তাদকে জানি যারা বছরের বেশির ভাগটাই বনেবাদাড়ে কাটান। তাদের কাউকেই কখনও আজ-বাঘের-দেখা-পাবই এই গ্যারান্টি দিতে শুনিনি। আমার নিজের রেকর্ডও কিছু আহামরি নয়, পাঁচ বার বাঘ-বনে গেলে হয়তো এক বার দর্শন জোটে।
বাঙালির এ ব্যাপারে একটু অভিমান স্বাভাবিক। যে বাঘকে তামাম দুনিয়া বাংলার নামে চেনে, তার উপর বাঙালির এতটুকু অধিকার থাকতে নেই? বাংলার দু’-দুটো টাইগার রিজার্ভ, তবু বাঙালিকে কিনা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার দেখতে ভিন্ রাজ্যে যেতে হয়? অবশ্য বিশ্বায়নের যুগে ঘরের-বাঘ-ঘরেই-দেখব এই গোঁ ধরা যায় না। তবে ঘর ছেড়ে বেরোলেই যে দর্শন মিলবে, তারই বা গ্যারান্টি কী? নইলে সরিস্কা থেকে কাজিরাঙা আর রাজাজি থেকে পেরিয়ারঅবাধ গতি বাঙালি ভ্রমণার্থীর অযুত ক্যামেরায় ওই গাইড-প্রতিশ্রুত সোনালি-কালো ডোরা কী করে বছর-বছর অধরা থেকে যায়?
আবার এর উল্টো দিকটাও ভেবে দেখুন। তেনার মর্জি হলে আপনাকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে তিনি হেঁটে যেতে পারেন একেবারে নাকের ডগা দিয়ে। এমনকী টাইগার রিজার্ভের বাইরেও।
এ বছরই মে মাসের কথা। কলকাতার এক পুরনো বন্ধু সপরিবারে দক্ষিণ ভারত ঘুরতে যাবার আগে বি আর হিলস আর বান্দিপুরে বাঘ দেখার অনেক সুলুকসন্ধান জেনে নিয়ে গেল। কিন্তু দু’-দু’টি নামজাদা টাইগার রিজার্ভে হপ্তাখানেক অনেক সাফারি হাঁকিয়েও যখন শিকে ছিঁড়ল না, দার্শনিক-গোছের মুখ নিয়ে বাক্স-প্যাঁটরা গুছিয়ে তারা গুটিগুটি রওনা হয়েছিল বান্দিপুর থেকে কুর্গের পথে। পথে নাগারহোলে ন্যাশনাল পার্কের কাবিনিতে খাওয়া। লেট লাঞ্চের পর একটু ঝিমুনি মতো এসেছিল বোধহয়। তন্দ্রা ছুটে গেল ড্রাইভারের উত্তেজিত গলায়। চোখ খুলতেই গোধূলি আলোয় রাস্তা পার হয়ে অলস হেঁটে যাওয়া বাঘ। |
|
আমার বন্ধুজনের মধ্যে এমনও দেখেছি যারা কুড়ি-পঁচিশ বছর নিয়মিত জঙ্গল ঢুঁড়ে ফেলেও বাঘের ন্যাজটি অবধি স্পট করতে পারেনি। আবার এমনও ক্ষণজন্মাদের জানি যারা কপালে যেন বাঘ লিখিয়ে এসেছিল, না হলে জীবনের প্রথম সাফারিতেই দশ মিনিটের মধ্যে বাঘের ক্লোজ-আপ ফটো? তাও আবার করবেটের ঝোপঝাড়ে চোখ চলে না এমন জঙ্গলে?
এই অনিশ্চয়তাই আপনার বাঘ-খোঁজের আসল রোমাঞ্চ। এ যে শুধু চোখের দেখায় সীমাবদ্ধ তা-ও নয়। যেমন ধরুন, রাজস্থানের রণথম্বর টাইগার রিজার্ভের শুখা, খোলামেলা পর্ণমোচী বনে বাঘ দেখার সুযোগ অন্যান্য টাইগার রিজার্ভের চেয়ে অনেকটাই বেশি। কিন্তু এই অসাধারণ জঙ্গল থেকে শুধু ট্যুরিজম জোনে সকাল-বিকেল সাফারি করে ফিরে এলে, বাঘের দেখা পান বা না পান, জঙ্গলের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ থাকবে না।
তার জন্য জিপসি ভাড়া করে একবেলা চলে যেতে হবে বানাস-এর কূলে। নদীতে বা পাড়-ঘেঁষে দেখতে পেয়ে যেতে পারেন চম্বলের বিখ্যাত মগর কুমির। না পেলে, অপেক্ষায় বিকেল গড়াবে। বানাসের ওই পারে জঙ্গলমোড়া আরাবল্লির বুক থেকে খসে পড়বে অবসন্ন দিন, গহন সবুজ ধীরে নিভে যাবে এক স্বর্গচ্যুত, শিরশিরে সন্ধ্যায়। কান পাতুন, হয়তো দূর থেকে ভেসে আসবে ক্রমে আরও দূরে চলে যেতে থাকা কোনও নিঃসঙ্গ বাঘিনির অধৈর্য ডাক। জঙ্গলে এমনটা হয়ে থাকে। |
মাথায় রাখুন |
• গাড়ি বা হাতিতে সাফারির সময় একই দিকে লাগাতার তাকিয়ে থাকলে বোঝা যায় না কোনখানে বাঘ জঙ্গলের রং-এ মিশে আছে। যে কারণে গাইড বা ড্রাইভার আঙুল দিয়ে দেখালেও অনেক ট্যুরিস্টেরই খুঁজে পেতে বেশ সময় লেগে যায়। তাই বারবার জঙ্গলের বিভিন্ন অংশে নজর ফেলতে হবে যাতে চোখ অভ্যস্ত না হয়ে যায় আর সামান্য নড়াচড়াও ধরা পড়ে।
• জঙ্গলে শুধু দেখতে জানাই যথেষ্ট নয়। না-বলা বা কম বলাটাও জরুরি। বাঘমামা চোখে পড়লে অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য হাতের ইঙ্গিত বা কাঁধে টোকাই যথেষ্ট।
• দেখা আর বলা ছাড়া, জঙ্গলে শুনতে জানাও জরুরি। অনেকেই জানেন যে অ্যালার্ম কল বা ত্রস্তডাক বাঘ বা অন্য শিকারি জানোয়ারের উপস্থিতি জানান দেয়। টাটকা পায়ের ছাপ ছাড়া বাঘের হদিস পেতে অ্যালার্ম কল-এর চেয়ে ভাল হাতিয়ার কিছু নেই। কিন্তু অ্যালার্ম কল মাত্রেই নির্ভরযোগ্য নয়। অনেক জংলি জানোয়ারই সহজে ভয় পায়। চিতল হরিণ এমনকী ট্যুরিস্ট গাড়ি দেখেও অ্যালার্ম কল দিয়ে থাকে। বাঘের বা লেপার্ডের খোঁজে সব চেয়ে নির্ভরযোগ্য অ্যালার্ম কল বাঁদর বা শেয়ালের। কারণ? জঙ্গলে বাঁদর আর শেয়ালকে ভয় দেখায় বাঘ ছাড়া কার সাধ্যি?
• বাঘের দেখা পেলে উত্তেজনায় শোরগোল বা কাছে যাওয়ার জেদ করবেন না। ড্রাইভার বা গাইডকে নিজের বিবেচনায় চলতে দিন।
• বাঘিনির সঙ্গে বাচ্চা থাকলে বাড়তি দূরত্ব বজায় রাখুন।
• শিকারে বা মিলনে ব্যস্ত বাঘ এড়িয়ে চলুন।
• কোনও অবস্থাতেই জিপ/হাতি থেকে মাটিতে নামবেন না। অভয়ারণ্যের ভেতর পায়ে চলা নিষিদ্ধ এবং বিপজ্জনক।
• শাটারে তীক্ষ্ন শব্দ হয় এমন ক্যামেরা ব্যবহার করবেন না। আর জঙ্গলে ফ্ল্যাশ ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
• জঙ্গলে ভোর থেকে দুপুরে আর দুপুর থেকে সন্ধ্যায় তাপমাত্রা অনেকটাই বদলে যায়। বিভিন্ন স্তরে হাল্কা পোশাক পরুন যাতে প্রয়োজন মতো সহজেই খুলতে/পরতে পারেন। শীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম তবে রোদ্দুরের জন্য চাই টুপি।
• পেটরোগা হলে লোপামাইড ট্যাবলেট সঙ্গে রাখুন। আর পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচতে ওডোমস জাতীয় হাতিয়ার। |
|
|
বাঘপীঠ |
পাঁচটি খাস বাঘের বাসা। স্পটিংয়ের সম্ভাবনা অনুযায়ী সাজানো। তবে মোলাকাত
হোক না হোক জঙ্গল এই শীতে আপনাকে নিরাশ করবে না। |
১) রণথম্বর ন্যাশনাল পার্ক, রাজস্থান
দুনিয়ার সব চেয়ে বিখ্যাত বাঘ-বন। শুখা পর্ণমোচী অরণ্যে স্বভাবতই আড়াল কম। দীর্ঘ দিন ধরে ট্যুরিস্টে অভ্যস্ত এখানকার বাঘেরা এমনিতে একেবারেই লাজুক নয়। মা ষষ্ঠীর আশীর্বাদে বছর তিনেক হল তারা আবার স্বমহিমায় জঙ্গল ছেয়ে ফেলতে শুরু করেছে। |
দু’রাত/তিন দিন দু’জনের খরচ (সোয়াই মাধোপুর থেকে): ১২,০০০ থেকে ৪৫,০০০ টাকা।
সেরা এলাকা: রাজবাগ, বেরদা, কচিদা।
সেরা সময়: নভেম্বর-মার্চ।
পছন্দের ড্রাইভার: রইস খান (০৯৪১৩১১৯৬১৫)।
পছন্দের আস্তানা
ক্ষেমবিলাস ৯১-৯৪১৩৩৮০০৯৯।
রণথম্বর বাগ ০৭৪৬২-২২১৭২৮।
ঝুমরবাউরি (রাজস্থান ট্যুরিজম) ০৭৪৬২-২২০৪৯৫/৯১-৯৪১৪২৭০৪৪। |
|
২) বান্ধবগড় ন্যাশনাল পার্ক, মধ্যপ্রদেশ
সরকারি হিসেবে বান্ধবগড় ন্যাশনাল পার্কের ট্যুরিজম জোনে প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাঘের সংখ্যা দেশের যে কোনও জঙ্গলের চেয়ে বেশি। জঙ্গলের ধরনটাও কিছুটা রণথম্বর ধাঁচের, খোলামেলা। বান্ধবগড়ে হাতির পিঠে “টাইগার শো”-এর বন্দোবস্ত হয়। কিন্তু প্রাচীন দুর্গ, বনপাহাড়ি, গুম্ফা আর শিলালিপির এই জঙ্গলকে অনুভব করতে হলে জিপ সাফারিই ভাল। |
দু’রাত/তিন দিন দু’জনের খরচ (উমরিয়া থেকে): ১২,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা।
সেরা এলাকা: মিরচানি, রাজবেহরা, চক্রধারা।
সেরা সময়: নভেম্বর-মার্চ।
পছন্দের ড্রাইভার: সলিম খান (০৯৪২৫৩৪৪১৮৬)।
পছন্দের আস্তানা
হোয়াইট টাইগার ফরেস্ট লজ ০৭৬২৭-২৬৫৩৬৬/২৬৫৪০৬।
নেচার হেরিটেজ রিসর্ট: ০৭৬২৭-২৬৫৩৫১/৯১-৯৮১০১৯২১৯২।
ট্রি-হাউস হাইডওয়ে ৯১-৯৮১০২৫৩৪৩৬/০১১-২৫৮৮৫৭০৯/৯৫১৬। |
|
৩) করবেট ন্যাশনাল পার্ক, উত্তরপ্রদেশ
দেশের সব চেয়ে বাঘবহুল অরণ্য। নদী, পাহাড়, ঘাসজমি, গহন বনকরবেটের শতাধিক বাঘের সর্বত্রই অবাধ গতি। টাইগার রিজার্ভের গভীরে অনেকগুলো ফরেস্ট রেস্ট হাউস-এ ট্যুরিস্টদের থাকার ব্যবস্থা আছে। লোকমুখে জনপ্রিয় ঢিকালা বা সর্পদুলির বাইরে বাঘদর্শনের চান্স নিন বিজরানি রেঞ্জে। থাকার জন্যও বিজরানির সাবেকি রেস্টহাউস চমৎকার। |
দু’রাত/তিন দিন দু’জনের খরচ (রামনগর থেকে): ১০,০০০ থেকে ২৫,০০০।
সেরা এলাকা: বিজরানি, ঢিকালা।
সেরা সময়: ডিসেম্বর-এপ্রিল।
পছন্দের ড্রাইভার: মহম্মদ নাসের (০৯৯১৭১৮০৮৪৫)।
অভিজ্ঞ গাইডের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন সুমন্ত ঘোষ-এর (৯১-৯৭১৯২৪৩৯৩৯) সঙ্গে।
পছন্দের আস্তানা
বিজরানি ফরেস্ট রেস্ট হাউস (বুকিং অফিস) ০৫৯৪৭-২৫১৪৮৯/২৫৩৯৭৭/ফ্যাক্স ০৫৯৪৭-২৫১৩৭৬।
ক্যাম্প: ফর্কটেইল ক্রিক ৯১-৯৪১১১০৭৭৪৯ |
|
৪) তাডোবা ন্যাশনাল পার্ক, মহারাষ্ট্র
তাডোবায় বাঘ ইদানীং বেশ বাড়ন্ত, তাই স্পটিং-এর সম্ভাবনাও। তা ছাড়া এখানে ট্যুরিস্টের সংখ্যা খুব বেশি না হওয়ায় সাফারির, প্রবেশমূল্য বা থাকা-খাওয়ার খরচসবই কেমন মন-ভাল-করে-দেওয়া। সাফারির গাড়ি পাবেন মোহারলি রেঞ্জের গেটে। তবে সাফারি ও থাকাদুইয়ের জন্যই চলে যান নিরিবিলি কোলসা রেঞ্জে। মোহারলিতে গাড়ির ভিড়ে অভ্যস্ত বন্যপ্রাণী অনেক সময় হয়তো সহজেই দেখা দেবে, কিন্তু কোলসার শুনশান জঙ্গলে তাদের খুঁজে পাওয়ার মজাই আলাদা। |
দু’রাত/তিন দিন দু’জনের খরচ (চন্দ্রপুর-ভায়া নাগপুর থেকে): ৬০০০ থেকে ১০,০০০।
সেরা এলাকা: কোলসা।
সেরা সময়: নভেম্বর-জুন। বিভিন্ন সুলুকসন্ধানের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন
তরুণ ফটোগ্রাফার শালিক জগুয়ের (৯১-৯৫৯৫৯৩৬৩৬৯) সঙ্গে।
পছন্দের আস্তানা
কোলসা ফরেস্ট রেস্ট হাউস (সি এফ/ এফ ডি, চন্দ্রপুর) ০৭১৭২-২৫১৪১৪, ফ্যাক্স ২৭৭১১৬।
এমটিডিসি হলিডে রিসর্ট, মোহারলি ০৭১২-২৫৩৩৩২৫ (নাগপুর অফিস)।
টাইগার ট্রেইল, খুটওয়ান্ডা গেট ০৭১২-৫৬৪১৩২৭। |
|
৫) নাগারহোলে ন্যাশনাল পার্ক, কর্নাটক
বিখ্যাত টাইগার বায়োলজিস্ট ড. উল্লাস কারান্থের হিসেবে নাগারহোলেতে এখন বাঘের সংখ্যা উদ্বৃত্ত। তবে পশ্চিমঘাটের এই ঘন জঙ্গলে যদি তাদের একটিরও দেখা না পান, মনে রাখবেন নাগারহোলে হাতিদর্শনের জন্য ভারতের সেরা জায়গা। খাস জঙ্গুলে অভিজ্ঞতার জন্য চলে যান বনের গভীরে সুনকরকাট্টে ফরেস্ট রেস্ট হাউসে। অথবা কাবিনি নদীর তীরে। আজকাল নাগারহোলের সমস্ত সাফারিই (শুধু টাটা জিপ, হাতির ব্যবস্থা নেই) জঙ্গল লজেসের মাধ্যমে হয়। |
দু’রাত/তিন দিন দু’জনের খরচ (মহীশূর থেকে): ৮,০০০ থেকে ৪০,০০০।
সেরা এলাকা: টাইগার ট্যাঙ্ক, বিসলওয়ারি, মস্তিগুড়ি।
সেরা সময়: নভেম্বর-মে।
পছন্দের গাইড: কার্তিক/প্রসন্ন (৯১-৯৪৪৯৫৯৯৭৭৭)।
পছন্দের আস্তানা
সুনকরকাট্টে ফরেস্ট রেস্ট হাউস (ডিসিএফ, হুনসুর) |
|
|
লেখক এক জন সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ,
সাংবাদিক ও তথ্যচিত্র নির্মাতা |
|
|
|
|
|