গণপ্রহারে জখম চার ছিনতাইকারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হল। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ-লক্ষ্মীকান্তপুর শাখায় সূর্যনগর স্টেশনের কাছে। পলিশ জানিয়েছে, ধৃত চার দুষ্কৃতীর নাম হবিবুর শেখ, তোয়েব নাইয়া, লাল্টু মোল্লা ও আবু বক্কর খান। হবিবুরের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর খেড়িয়াগ্রামে। বাকি তিনজন ওই এসাকারই পেটুয়াখালির বাসিন্দা।
রেলপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার নবদ্বীপের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মাঝি মুম্বইয়ের জহুরিবাজারে একটি সোনার দোকানে কাজ করেন। রবিবার রাতে তিনি মুম্বই থেকে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছন। এর পরে বাড়িতে না গিয়ে তিনি ক্যানিংয়ের ঝড়খালিত কাকর বাড়িতে যাওয়ার জন্য রাত ১২টা নাগাদ হাওড়া থেকে একটি ট্যাক্সি নিয়ে শিয়ালদহ স্টেশনে আসেন। বছর চব্বিশের বিশ্বজিৎবাবুর রাতে স্টেশনের বাইরে বসেছিলেন। পুলিশকে তিনি জানান, সেই সময় জনাছয়েক দুষ্কৃতী তাঁকে কিছুটা দূরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে দু’টি সোনার আংটি এবং নগদ ১০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। পরে দু’জন চলে গেলেও বাকি চারজন তাঁকে সোমবার ভোরে ক্যানিং লোকালের বদলে লক্ষ্মীকান্তপুরের ট্রেনে উঠতে বাধ্য করে। ট্রেনে তাঁর সঙ্গেই ছিল ওই চারজন। ট্রেন সূর্যপুর স্টেশনে দাংড়ানোর পরে ওই চারজন নেমে যাওয়ার সময় তিনি চিৎকার-চেঁচামেটি শুরু করেন। চিৎকারে লোকজন জড়ো হয়ে যায় এবং ওই চারজনকে ধরে ফেলে। এর পরে সব ঘটনা শোনার পরে জনতা ওই চার দুষ্কৃতীকে মারধর শুরু করে। মারের চোটে গুরুতর জখম চারজনকে জনতার মধ্যে থেকেই কয়েকজন বারুইপুর হাসপাতালে ভর্তি করান। খবর দেওয়া হয় রেল পুলিশকে। পরে তাদের কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একটি ছিনতাইয়ের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। |