টুকরো খবর
তেরো বছর আগে দক্ষিণ ত্রিপুরায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষিতাকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল গৌহাটি হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে ওই অর্থ দিতে বলা হয়েছে। ওই মেয়েটির পরিবার ও ত্রিপুরা মহিলা কমিশনের তরফে আদালতে যৌথ ভাবে আবেদন জানানো হয়েছিল ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দানের দাবি জানিয়ে। ওই আবেদনের সূত্রেই গত সপ্তাহের শেষ দিকে গৌহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি অরুণচন্দ্র উপাধ্যায় কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণদানের আদেশ দেন। ১৯৯৮ সালে দক্ষিণ ত্রিপুরার কাকরবন এলাকায় জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় ধর্ষণের শিকার হয় মেয়েটি। তদন্তে দোষী হিসাবে উঠে আসে ওই স্কুলের তদানীন্তন অধ্যক্ষ এইচ এস তিওয়ারির নাম। মেয়েটি পরে একটি সন্তানের জন্ম দেয়। স্থানীয় জেলা ও দায়রা আদালত ধর্ষণের দায়ে তিওয়ারিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছিল। গৌহাটি হাইকোর্টও ২০০৫ সালের জুনে ওই রায়ই বহাল রাখে। তিওয়ারি এখন জেলে।

ঘন কুয়াশায় থমকে গেল ট্রেন ও বিমান
হিম-হিম ভাব। কিন্তু শীত এখনও দূরেই। তা সত্ত্বেও কুয়াশার জন্য বিমান ও ট্রেন চলাচলে বিপত্তি শুরু হয়ে গিয়েছে। রবিবার রাত থেকে উত্তর ভারতে কুয়াশার জন্য ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়। সোমবার ভোরেও ঘন কুয়াশার জন্য বিমান চলাচল ব্যাহত হয় কলকাতায়। রবিবার রাত থেকে এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কুয়াশার দাপট চলে মহানগরীতে। কুয়াশার জন্য চলতি মরসুমে এ দিনই প্রথম বিমান ও ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটল। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এ দিন ভোর ৩টে ৪৫ মিনিট থেকে দৃশ্যমানতা কমতে থাকে। ৪টে ৩০ মিনিট নাগাদ দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারে নেমে যায়। এই অবস্থা চলে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। ওই সময়ে কলকাতা থেকে কোনও বিমান ওড়েনি। নামতেও পারেনি। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় একটি আন্তর্জাতিক এবং সাতটি অভ্যন্তরীণ বিমানকে দীর্ঘ ক্ষণ চক্কর কাটতে হয় আকাশে। সকাল পৌনে ৯টার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তার পরেই কলকাতা থেকে প্রথম ওড়ে জেটের রায়পুর উড়ান। উত্তর রেল জোনে কুয়াশার জন্য হাওড়ামুখী ট্রেনগুলি অনেক দেরিতে স্টেশনে পৌঁছেছে। অনেক দেরিতে চলাচল করেছে হাওড়া ও শিয়ালদহ রাজধানী, উপাসনা, লালকিলা, পদাতিক, কাঞ্চনকন্যা ও পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস এবং অন্য কয়েকটি ট্রেন। রাজধানী দু’টি এক ঘণ্টা দেরিতে এসেছে হাওড়া ও শিয়ালদহে। অন্যান্য ট্রেন গড়ে দু’ঘণ্টা গন্তব্যে দেরিতে পৌঁছেছে।

ইম্ফলে গ্রেনেডে জখম ৪ শ্রমিক
জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেডে মণিপুরে চার শ্রমিক জখম হলেন। পুলিশ জানায়, ইম্ফলের ডিংকু রোডে আন্তঃরাজ্য বাস স্ট্যান্ড তৈরির কাজ চলছে। যেখানে ওই নির্মাণকার্য চলছে তার কাছেই অস্থায়ী শিবিরে বাস করছিলেন ছয়জন শ্রমিক। কাল বিকেলেই শিবিরটি তৈরি করা হয়েছিল। রাতে দুই শ্রমিক জল আনতে বাইরে গিয়েছিলেন। তখনই, শিবির লক্ষ্য করে জঙ্গিরা গ্রেনেড ছোড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি চলন্ত জিপ থেকে গ্রেনেডটি ছোড়া হয়েছিল। বিস্ফোরণে জখম হন মাইবেম নবি, থংজাম রঘু, খুমাংথেম যুগল ও নিংথৌজাম মাংলেম। কোনও জঙ্গি সংগঠন ঘটনার দায় স্বীকার না করলেও ‘মাওয়িস্ট কমিউনিস্ট পার্টি’র তরফে ঘটনার কড়া ভাষায় নিন্দা করা হয়েছে। মণিপুরী মাওবাদীরা, এক বিবৃতিতে ‘তথাকথিত’ বিপ্লবী সংগঠনগুলিকে সতর্ক করে জানিয়েছে, ‘সাধারণ শ্রমিকদের উপরে আক্রমণের চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না।’

পরিত্যক্ত জোড়া শিশু মিলল স্টেশনে
রেল স্টেশনে সদ্যোজাত দুই কন্যাকে রেখে মা চলে গেছিলেন। কাগজের বাক্সর ভিতর থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পেয়ে সকলে জানতে পারে তাদের অস্তিত্ব। চার দিনের বাচ্চা দু’টিকে রেল পুলিশ কটক এসসিবি মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাচ্চা দু’টির অবস্থা সঙ্কটজনক। এ দিকে, জোড়া বাচ্চার খবর চাউর হতেই ওড়িশার বিভিন্ন এলাকা থেকে দম্পতিরা এসে মেডিক্যাল কলেজে ভিড় জমিয়েছে। সকলেই বাচ্চা দু’টিকে দত্তক নিতে চায়।

৭ মাস ধরে গণধর্ষণ
চোদ্দো বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল চার যুবকের বিরুদ্ধে। গত সাত মাস ধরে তারা ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে চলেছে বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। এর পর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তারা গর্ভপাত করার জন্য মেয়েটিকে চাপ দিতে থাকে। মেয়েটির পরিবারের তরফে ওই চার যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।

কানে মোবাইল, বহুতল থেকে পড়ে মৃত্যু ছাত্রীর
রাস্তা বা রেললাইন পার হওয়ার সময় মোবাইল ব্যবহার নিয়ে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা, রয়েছে জরিমানাও। কিন্তু বাড়িতেও মোবাইলে মগ্ন হয়ে পড়লে কত বড় বিপদ হতে পারে, তা দেখিয়ে দিল মুম্বইয়ের ছাত্রী শর্মী দেশাইয়ের (২৩) মৃত্যু। আজ সকালে আইনের এই ছাত্রী মুম্বইয়ের গমদেবী এলাকার ১২ তলার ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে কথা বলছিলেন মোবাইলে। তখনই অন্যমনস্ক হয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান তিনি। তাঁর পরিবারের লোকজন তখন ঘরেই ছিলেন। শর্মীর দেহটি দেখতে পান বহুতলের রক্ষী। হাসপাতালে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

তুষার ধসে সেনার মৃত্যু উত্তর কাশ্মীরে
তুষার ধসে মৃত্যু হল ৩ সেনার। উত্তর কাশ্মীর সীমান্তে কর্মরত ওই তিন সেনা গত রাতে বরফ পরিষ্কারের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সে সময় হঠাৎই ধস নামে। তাঁদের দেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.