তারাপীঠে গাড়ি পার্কিংয়ের নামে সিপিএম পরিচালিত জেলা পরিষদের টোল আদায় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী রচপাল সিংহ। সোমবার তারাপীঠে এসে তিনি বলেন, “মন্ত্রী হওয়ার আগে বছরে দু’বার তারাপীঠে এসেছি। তখনও গাড়ি পার্কিংয়ের নামে যে ভাবে জেলা পরিষদ টোল আদায় করত এখনও সে ভাবে করছে। এটা ঠিক নয়। তারাপীঠের রাস্তাঘাট খুব ছোট। গাড়ি রাখা বা ঘোরানোর জায়গা নেই। রাস্তার হালও খারাপ। অথচ জেলা পরিষদ কোনও সুবিধা করে না দিয়ে টোল আদায় করে।” তাঁর দাবি, “এটা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। তারাপীঠের উন্নয়নে ওই টাকার একটা বড় অংশ জেলা পরিষদ ব্যয় করে কি না সেটা আমার জানা নেই।”
এ দিন দুপুরে তারাপীঠে পুজো দেন মন্ত্রী রজপাল সিংহ-সহ পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। তবে সকালের দিকে বোলপুরের কঙ্কালিতলা, নানুরের বিশালাক্ষ্মী মন্দির, দুপুরে সাঁইথিয়ার নন্দিকেশ্বরীতলা, ময়ূরেশ্বরের বীরচন্দ্রপুরের বাঁকারাই মন্দির পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। বিকেলে নলহাটিতে নলাটেশ্বরী মন্দিরে যাওয়ার কথা ছিল পর্যটনমন্ত্রীর। সেই সফর বাতিল করে তিনি বক্রেশ্বর, পাথরচাপুড়ির জয়দেব কেঁন্দুলীর দিকে রওনা দেন। সব ক্ষেত্রেই অব্যবস্থা চোখে পড়ে মন্ত্রীর। |
তিনি বলেন, “কঙ্কালিতলায় প্রত্যেকদিন বিশেষ করে মঙ্গল ও শনিবার প্রচুর দর্শনার্থী পুজো দিতে আসেন। অথচ এখানে শৌচাগারের সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই। পানীয় জলেরও অভাব আছে। এখনও পর্যন্ত কোনও যাত্রীনিবাস গড়ে ওঠেনি। খুব শীঘ্রই এ সব ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে নানুরের বিশালাক্ষ্মী মন্দিরের কাছে যাত্রীনিবাস গড়ে তোলা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সেটা জনসাধারণের জন্য উদ্বোধন করে দেওয়া হবে।”
এ দিন সাঁইথিয়ার নন্দিকেশ্বরী তলায় ঘোরার সময়ে স্থানীয় বাসিন্দারা মন্ত্রীর কাছে সাঁইথিয়া স্টেশনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের জন্য রাস্তার দাবি জানিয়েছেন। মন্ত্রী জানান, এলাকাবাসীর দাবি যুক্তি সঙ্গত। সে ব্যাপারে রেল দফতরের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করবেন যাতে একটি ওভারব্রিজ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি নন্দিকেশ্বরীতলা সংলগ্ন একটি প্ল্যাটফর্ম ও টিকিট কাউন্টার খুলে দেওয়ার আবেদন জানাবেন। এটা না করলে পর্যটন শিল্প মার খাবে বলে দাবি মন্ত্রীর। এই বিষয়টিও তিনি রেল দফতরকে জানাবেন। পাশাপাশি অনেকে চাইছেন জয়দেব কেঁন্দুলীতে সব সময়ের জন্য নোঙরখানা খোলা। এ ব্যাপারে প্রশাসনিক দিক থেকে কতটা কী করা যায় সেটা দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পর্যটন মন্ত্রী।
এ ছাড়া, শান্তিনিকেন থেকে বীরভূমের অন্য পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বাসের ব্যবস্থা করার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন মন্ত্রী রচপাল সিংহ। |