আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অবশেষে ইস্তফা দিতে রাজি হলেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপান্দ্রিউ। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করবেন পাপান্দ্রিউ এবং বিরোধী নেতা অ্যান্টনিস সামারাস। রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে গত রাতে প্রেসিডেন্ট ক্যারোলোস প্যাপুলিয়াসের উপস্থিতিতে বৈঠকে বসেন পাপান্দ্রিউ এবং সামারাস। সেখানেই নতুন সরকার গড়তে সম্মত হয়েছেন দুই নেতা। ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের প্রাক্তন কর্তা লুকাস প্যাপাডেমোস প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচন করার ব্যাপারেও একমত হয়েছেন পাপান্দ্রিউ এবং সামারাস। যদিও গ্রিসের এই চটজলদি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে জানানো হয়েছে, সরকার গঠনের ব্যাপারে সুস্পষ্ট তথ্য না পেলে কোনও আর্থিক প্যাকেজই দেওয়া হবে না তাদের। |
বৈঠকে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপান্দ্রিউ, প্রেসিডেন্ট
ক্যারোলোস প্যাপুলিয়াস ও অ্যান্টনিস সামারাস। ছবি: এএফপি। |
দুই নেতার ঐকমত্যকে অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার দিকে প্রথম সদর্থক পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছে গ্রিসের বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র। কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়ে দিয়েছিল অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সঙ্কট না মিটলে কোনও রকম আর্থিক সাহায্য করা হবে না গ্রিসকে। এবং এই ঘরের দ্বন্দ্ব মেটানোর জন্য সোমবার পর্যন্তই সময় ছিল গ্রিসের কাছে। এই পরিস্থতিতে কী ভাবে এগোনো উচিত তা নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে চাপানউতোর চলছে সরকার ও বিরোধীপক্ষের। সামারাসের প্রস্তাব ছিল, এই মুহূর্তেই সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতা নির্বাচন করা হোক।
কিন্তু পাপান্দ্রিউ পাল্টা যুক্তি দেন, এমনিতেই আর্থিক সঙ্কটে দেশ দিশাহারা। এর মধ্যে নির্বাচনের অর্থ আরও অনিশ্চয়তা। দেশকে ‘নেতৃত্বহীন’ অবস্থায় ছাড়তে পারবেন না, এই যুক্তিতে পদত্যাগ করতেও রাজি হননি পাপান্দ্রিউ। দেশের নেতাদের ‘সিদ্ধান্তহীনতা’য় ক্ষোভ বাড়ছিল জনসাধারণের মধ্যে। কারণ, ত্রাণ প্যাকেজ না পেলে ডিসেম্বরের মধ্যেই গ্রিসের দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তা ঠেকাতে তড়িঘড়ি সন্ধির পথেই হাঁটতে বাধ্য হলেন পাপান্দ্রিউ এবং সামারাস। |