জেলা সদর হাসপাতালে ৩ মাস আগে চালু হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। তিন মাস কেটে গেলেও খাতায় কলমে জেলা সদর হাসপাতাল মালদহ মেডিক্যালে যুক্ত না হওয়ায় চরম অস্বস্তিতে সদর হাসপাতালের সুপার ও অধ্যক্ষ দুজনেই। মেডিক্যাল কলেজে বসে থাকা ১৩ জন শিক্ষক চিকিৎসককে মালদহ সদর হাসপাতালে কাজ করতে পাঠানো যাচ্ছে না। চকিৎসকের অভাবে জেলা সদর হাসপাতাল ধুঁকছে। মেডিক্যাল কলেজের পরিচালন কমিটির চেয়ারপার্সন তথা নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “জেলা হাসপাতালকে দ্রুত মালদহ মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে অন্তভুর্ক্ত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছি। আশা করছি শীঘ্রই সমস্যা মিটবে।” পয়লা অগস্ট মালদহ মেডিক্যাল কলেজ চালু হয়েছে। রাজ্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজের জন্য প্রথম দফায় ২২ জন শিক্ষক নিয়োগ করে। প্রথম বর্ষে এখন ক্লাস নিচ্ছেন ৯ জন শিক্ষক। বাকি ১৩ জন শিক্ষক কার্যত বসে বসেই তাঁরা বেতন তুলছেন। ৬৬ জন শিক্ষক চিকিৎসককে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। গত বুধবার থেকে সেই শিক্ষক চিকিৎসকরাও মেডিক্যাল কলেজে কাজে যোগ দিতে শুরু করেছেন। সদর হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি আড়ি বলেন, “মালদহ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষকদের বেতনের বিল আমি করছি। মেডিক্যাল কলেজের বসে থাকা শিক্ষকদের জেলা হাসপাতালে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। কেউই রাজি হননি। ওই শিক্ষকরা জেলা হাসপাতালে কাজ করলে মানুষ উপকৃত হতেন।” মালদহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, “এখনও সদর হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশনকে দ্রুত মালদহ সদর হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অনুরোধ করেছি।” বতর্মানে মেডিক্যাল কলেজে প্রথম বর্ষে অ্যানাটমি, বায়োকেমিষ্ট্রি ও ফিজিওলজি বিষয়ে ৯ জন চিকিৎসক শিক্ষক পড়াচ্ছেন। বাকিদের দ্বিতীয় বর্ষ থেকে ক্লাস শুরু হবে। প্রথম বর্ষে ক্লাস না থাকায় শিক্ষকরা চলে যাচ্ছেন। তবে যে সমস্ত শিক্ষক ছুটি না নিয়ে বাইরে ছিলেন তাঁদের ইএল কাটার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষ বলেন, “আমিও চাই মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষকরা জেলা হাসপাতালে কাজ করুন। তাদের জেলা হাসপাতালে কাজ করালে যদি অঘটন ঘটে তবে ওই শিক্ষক এবং আমি, দুজনেই বিপদে পড়ব।” এ দিকে যে ১৩ জন শিক্ষক চিকিৎসক কাজ না করে বেতন তুলছেন তাদেরই এক জন প্যাথোলজি বিভাগের প্রধান সুবোধ ভট্টাচার্য বধর্মান থেকে টেলিফোনে বলেন, “আমার ক্লাশ দ্বিতীয় বর্ষ থেকে। এখন দ্বিতীয় বর্ষের কোনও ছাত্র নেই। মালদহে থেকে কী করব? তাই যাচ্ছি, আবার ঘুরে বাড়ি ফিরে আসছি। ক্লাস শুরু হলে তো আর বের হতে পারব না।” |