পাহাড়ে পুরভোট: বৈঠকে সিপিএম, কংগ্রেস, গোর্খা লিগ, সিপিআরএম
মোর্চার বিরুদ্ধে মঞ্চ গড়ে লড়ার উদ্যোগ
পাহাড়ের পুর নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই মোর্চা বিরোধী পাহাড়ের ৪টি প্রধান দল মঞ্চ গড়ার প্রচেষ্টা শুরু করেছে। ১১ ডিসেম্বর পাহাড়ে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং এবং মিরিকে পুরভোটের দিন ধার্য করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রত্যাশিতভাবেই মোর্চা প্রার্থীরা ভোটে লড়াই করলেও গত বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে একা লড়াই করার পক্ষপাতী নয় দলগুলি। শুক্রবার দার্জিলিং শহরে সিপিএম, কংগ্রেস, গোর্খা লিগ এবং সিপিআরএম নেতারা নিজেদের মধ্যে একটি বৈঠক করেছেন। সেখানে একটি মঞ্চ তৈরি ভোটে লড়াই করা যায় কি না তা নিয়ে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে। বৈঠকে সব দলই পাহাড়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই অভিযোগ তুলে দ্রুত প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার পরেই ভোট হওয়া উচিত বলে তাঁরা দাবি জানাবেন বলে ঠিক করেছেন। ফের আগামী সপ্তাহে আরেকটি বৈঠক করার পরিকল্পনাও নিয়েছে ওই দলগুলি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা সাংসদ সমন পাঠক। তিনি বলেছেন, “পাহাড়ে ভোটের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। নির্বাচন কমিশন তো বটেই পুলিশ-প্রশাসনকে তা আগে সুনিশ্চিত করতে হবে। আমরা চারটি দল নিজেদের পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। সব মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করা যায় কি না তা দেখা হচ্ছে। আগে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা তার পরেই ভোট।” সবাই মঞ্চ গড়ে লড়াই করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন গোর্খা লিগের সহকারী সভাপতি লক্ষণ প্রধান। তিনি বলেছেন, “পাহাড়ে কী হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না। মোর্চা আগে ভোটের কথা ঘোষণা করছে। তার পরে নির্বাচন কমিশন দিনক্ষণ বলছে। গণতন্ত্র বলে কিছুই নেই। এখন ভোটের পরিবেশ নেই। তবে একসঙ্গে লড়াই করা যায় কি না তাও চিন্তাভাবনা রয়েছে। সমস্ত কিছু নিয়েই একসঙ্গে আলোচনা করেছি।” দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি (পাহাড়) কৃষ্ণ বাহাদুর ছেত্রী মন্তব্য করতে চাননি। আর সিপিআরএমের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র গোবিন্দ ছেত্রী বলেন, “আমরা ৬ নভেম্বর দলীয় বৈঠকে বসব। সেখানে সব কিছু আলোচনা করে তা পরে যা বলার বলব।” মোর্চার উত্থানের পর থেকে পাহাড়ের চারটি পুরসভার আজ অবধি নির্বাচন হয়নি। এর আগে প্রতিটি পুরসভাই সুবাস ঘিসিং-এর জিএনএলএফের দখলে ছিল। পরবর্তীতে ৪ পুরসভার অধিকাংশ কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান মোর্চায় যোগ দেন। নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পর পূর্বতন বাম সরকারের তরফে প্রতিটি পুরসভা ভেঙে দিয়ে তার কাজ দেখভালের জন্য প্রশাসক নিয়োগ করে। দীর্ঘদিন মহকুমাশাসকরা প্রশাসকের ভূমিকা পালন করে আসছেন। নতুন রাজ্য সরকার গঠনের পর ফের পাহাড়ের পঞ্চায়েত এবং পুরসভা ভোট নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। জিটিএ চুক্তির পর মোর্চা তাতে সায়ও দেয়। কিন্তু পাহাড়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই বলে বরাবরই সরব হয়েছে ওই দলগুলি। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা পুর নির্বাচন নিয়ে বৈঠক সেরে ফেলেছেন। প্রতিটি আসনে প্রার্থী দিয়ে লড়াই করার কথা ঠিক করে ফেলেছেন মোর্চা নেতারা। প্রচার সচিব হরকা বাহাদুর ছেত্রী বলেন, “আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। ভোট আসলেই বিরোধীরা নানা কথাবার্তা বলে। ওসব নিয়ে ভাবছি না।” এদিন জেলা প্রশাসনেও পুর নির্বাচনকে নিয়ে বৈঠক হয়। ৮ নভেম্বর থেকে মনোনয়ন জমার শুরুর দিন ধার্য হয়েছে। দার্জিলিং পুরসভায় ৩২টি, কালিম্পঙে ২৩টি, কার্শিয়াঙে ২০টি এবং মিরিকে ৯টি আসনে ভোট হবে। জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেছেন, “শান্তিপূর্ণ ভাবে মানুষ তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার যাতে প্রয়োগ করতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.