|
|
|
|
আদিবাসী বিকাশ পরিষদে ‘দ্বন্দ্ব’ |
রাজ্য নেতৃত্বকে এ বার কড়া বার্তা দিলেন শো-কজ হওয়া নেতারা |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
অভ্যন্তরীণ ‘দ্বন্দ্বের’ ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে আদিবাসী বিকাশ পরিষদে। রবিবার সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্বকে ‘কড়া বার্তা’ দিলেন তরাই ও ডুয়ার্সের ‘শো-কজ’ হওয়া নেতারা।
মালবাজারে এ দিন এক বৈঠকের পরে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘গোর্খাল্যান্ড আদিবাসী টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিএটিএ) গড়ার ব্যাপারে নিজেদের অবস্থানে কার্যত ‘অনড়’ই রয়েছেন জন বার্লা, তেজকুমার টোপ্পোরা। জন বার্লা বলেন, “রাজ্য নেতৃত্বকে আমাদের কথা শুনতে হবে। আমাদের সঙ্গে তরাই ও ডুয়ার্সের সর্বস্তরের আদিবাসীরা রয়েছেন। আগে একাধিক বার রাজ্য কমিটি আমাদের কথা মানতে বাধ্য হয়েছে। এ বারেও ব্যতিক্রম হবে না। যাঁরা আমাদের বিরোধিতা করছেন, তরাই ও ডুয়ার্সের আদিবাসীরা তাঁদের জবাব দেবেন।”
পক্ষান্তরে, বিকাশ পরিষদের রাজ্য সভাপতি বীরসা তিরকি বলেছেন, “সারা দেশের ১১ কোটি আদিবাসী ভাইবোনেদের নিয়ে পরিষদের সংবিধান গড়া হয়েছে। কেবল তরাই ও ডুয়ার্সের কয়েকজন নেতা তা বদলাতে পারবেন না।
রাজ্য কমিটিও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে। তরাই-ডুয়ার্স কমিটি বেশি বাড়াবাড়ি করলে ওই কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে। তার পরে ওঁরা যেখানে ইচ্ছে যান। রাজ্য কমিটিকে এড়িয়ে কিছু করা যাবে না।”
সম্প্রতি পরিষদের তরাই-ডুয়ার্স কমিটির কয়েকজন নেতা মোর্চার সঙ্গে চুক্তি করে ‘জিএটিএ’ গড়ার দাবিতে আন্দোলনে নামার কথা ঘোষণা করেন। কী ভাবে এমন একটি বৈঠক হল তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে সংগঠনের রাজ্য কমিটি। ক্ষুব্ধ হয়ে তারা তরাই ও ডুয়ার্সের পাঁচ নেতাকে এ ব্যাপারে শো-কজ করে। ১১ নভেম্বরের মধ্যে ওই পাঁচ নেতাকে শো-কজের জবাব দিতে হবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই পাঁচ নেতা কলকাতায় রাজ্য সভাপতির সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু বীরসা তিরকি তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি। এই পরিস্থিতিতে ওই পাঁচ নেতা এ দিন মালবাজারে বৈঠকে বসেন।
মোর্চার সঙ্গে ‘অনভিপ্রেত সখ্যতা’র অভিযোগকে কেন্দ্র করে এর আগেও দু’বার পরিষদে ‘ভাঙন’ হয়েছে। ২০১০-এর মার্চে গরুবাথানে মোর্চার সঙ্গে মত-বিনিময় বৈঠকের জেরে পরিষদের তরাই-ডুয়ার্স কমিটির তৎকালীন সম্পাদক রাজেশ লাকড়াকে সংগঠন ছাড়তে হয়। একই ভাবে ওই বছরের জুলাইয়ে চালসায় মোর্চার সঙ্গে সম্প্রীতি-বৈঠক করায় দল ছাড়তে হয় অন্যতম উপদেষ্টা কিরণ কালিন্দিকে।
এ দিন মালবাজারের বৈঠকে পরিষদের নেতারা আগামী ১০ নভেম্বর বীরসা মুণ্ডার জন্মদিবস উপলক্ষে নাগরাকাটায় জনসভার ডাক দেন। ঘটনায় বিরক্ত সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সঞ্জীবভাই দামোর। তিনি বলেন, “শো-কজ হওয়া ওই নেতারা ডুয়ার্সে ফিরে ফের কেন পরিষদের নাম
করে জিএটিএ কিংবা জনসভার প্রচার করছেন, তা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সভাপতির কাছে জানতে চাইব।” |
|
|
|
|
|