|
|
|
|
বালি পাচার রুখতে প্রশাসনিক উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
নদীর পাড় থেকে অবৈধ ভাবে বালি কেটে নেওয়ার অভিযোগ আগেও উঠেছে। এর জেরে গঙ্গা-পদ্মার পাড় বিপন্ন হয়ে পড়েছে। অবৈধ ভাবে ওই পাড় কাটা রুখতে উদ্যোগী হয়েছে জঙ্গিপুরের প্রশাসন। গত দু’সপ্তাহ ধরে বালি বোঝাই লরি আটক করে পৌনে তিন লক্ষ টাকা জরিমানাও আদায় করেছেন প্রশাসনিক কর্তারা।
সম্প্রতি পদ্মার ভাঙনে তলিয়েছে ময়া, মিঠিপুর, ইসলামপুরের বেশ কিছু জমি। ময়া গ্রাম ও মিঠিপুরের এই ভাঙনের মূলে রয়েছে নদী পাড় থেকে অবৈধ ভাবে বালি কেটে নেওয়া। সেচ দফতরের ভাঙন প্রতিরোধ শাখার অবর সহকারী বাস্তুকার দীপক দেবনাথ বলেন, “ময়ার ভাঙন এলাকার পাড় বরাবর একাধিক জায়গায় সাদা বালি কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই জায়গায় পুকুরের মত গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে দুর্বল হয়ে নদী পাড় ধসে পড়েছে। একই অবস্থা মিঠিপুরেও। স্থানীয় মানুষকে এই অবৈধ খনন রুখতে উদ্যোগী হতে হবে। এলাকার সব জায়গায় পুলিশি নজরদারি রাখা সম্ভব নয়।”
জঙ্গিপুরের মহকুমাশাসক এনাউর রহমান বলেন, “নদীর পাড় থেকে বালি কাটা একেবারেই নিষিদ্ধ। অথচ রঘুনাথগঞ্জ শহরে প্রতি দিনই বহু বালি বোঝাই লরি ঢুকছে। বীরভূম থেকেও সাদা ও লাল বালি কেটে নিয়ে আসা হচ্ছে। এ সবই চলে যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটা ও নির্মাণ সংস্থার কাছে। এই অবৈধ খনন রুখতেই প্রশাসন বালি ভর্তি লরি দেখলেই তা আটক করে মোটা টাকা জরিমানা আদায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা বাবদ আদায় করা হয়েছে।” জঙ্গিপুরের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের মহকুমা আধিকারিক মন্টুকুমার রায় বলেন, “এই মহকুমায় প্রায় ৬০টি ইটভাটা রয়েছে। তারাই এখন বিভিন্ন এলাকা থেকে মাটি ও বালি কেটে এনে ইটভাটায় সংরক্ষণ করে রাখছে। অবৈধ ভাবে নদী পাড় কেটে বালি আনছে তারা। এই বেআইনি কাজ বন্ধের জন্যই এই অভিযান। ইটভাটায় হানা দিলেই নানা অজুহাত তৈরি করছে ইটভাটার মালিকেরা। বেআইনি খনন আটকাতেই বালিবোঝাই লরি দেখলেই আটক করা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|