|
|
|
|
পাঁশকুড়ায় জখম ৮ |
সিপিআইয়ের সম্মেলনে হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
সিপিআইয়ের লোকাল কমিটির সম্মেলনে সশস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার চকগোপাল গ্রামে এই ঘটনায় ৮ সিপিআই সমর্থক জখম হন। তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে মেচগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় পরে তিন জনকে আবার তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল যুব নেতা কুরবান শাহের নেতৃত্বে এ দিন হামলা করা হয় বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কুরবান শাহের দাবি, “এ দিন সম্মেলনের নামে সিপিআই সমর্থকেরা কয়েক জন তৃণমূলকর্মীকে মারধর করছিল। এর পরে তৃণমূল সমর্থকেরা মিছিল করলে গোলমাল বাধে।” আর তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেনের দাবি, “এর সঙ্গে আমাদের যোগ নেই। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করে ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করুক।” |
|
পড়ে রয়েছে ভাঙা মোটরবাইক। চকগোপাল গ্রামে। —নিজস্ব চিত্র |
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাইশোরা এলাকার চকগোপাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিপিআইয়ের কেশাপাট লোকাল কমিটির সম্মেলন চলছিল এ দিন। মাইশোরা ও কেশাপাট পঞ্চায়েত এলাকার ৭০ জন দলীয় প্রতিনিধি ছাড়াও সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা প্রাক্তন বিধায়ক চিত্তদাস ঠাকুর, জোনাল সম্পাদক অমল দে, জেলা কমিটির সদস্য হাসমৎ আলি প্রমুখ ছিলেন। সিপিআইয়ের দাবি, দুপুর ১২টা নাগাদ কুরবান শাহের নেতৃত্বে প্রায় ২৫ জন তৃণমূল সমর্থক লাঠি, টাঙি হাতে মিছিল করে এসে সম্মেলনস্থলে ‘হামলা’ চালান। সিপিআই নেতা অমল দে-র অভিযোগ, “বিনা প্ররোচনায় কুরবানের নেতৃত্বে এক দল তৃণমূলকর্মী আমাদের উপরে হামলা করে। প্রাথমিক স্কুলের একটি ঘরে আমাদের সম্মেলন চলছিল। ঘরের দরজায় শিকল তুলে আমাদের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বেদম মারধর করে ওরা। ঘরে আটকে বাইরে থেকে আগুন লাগানোর হুমকি দেয়।” সিপিআই কর্মী-সমর্থকদের দাবি, হামলাকারীরা তাঁদের পাঁচটি মোটরবাইক এবং বেশ কিছু সাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। গণ্ডগোলের খবরে স্থানীয়রা জড়ো হতে ‘হামলাকারীরা’ পালিয়ে যায়। |
|
|
|
|
|