|
|
|
|
জনজাগরণ মঞ্চের জমায়েতে গুলি, ঝাড়গ্রামে জখম ১ |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
মাওবাদী-বিরোধী ‘জনজাগরণ মঞ্চ’-এর জমায়েতে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল মাওবাদীদের বিরুদ্ধে। রবিবার ঝাড়গ্রাম থানার মাসাংডিহি গ্রামের ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন মঞ্চের এক সমর্থক। রূপচাঁদ সরেন নামে ওই ব্যক্তিকে প্রথমে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে পাঠানো হয় কলকাতায়।
পুলিশের দাবি, মাওবাদীরা ১০-১৫ রাউন্ড গুলি চালায়। ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার সুপার গৌরব শর্মা বলেন, “মাওবাদীরাই হামলা চালিয়েছে। পরে মাসাংডিহি ও লাগোয়া জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে ৪টি ডিরেকশনাল মাইন, ডিটোনেটর, একটি মোটরবাইক, গুলিভর্তি একটি ৯ এমএম পিস্তল, প্রচুর বোমা ও বোমার মশলা, মাওবাদী পুস্তিকা-প্রচারপত্র মিলেছে।” |
|
ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে রূপচাঁদ সরেন। ছবি: দেবরাজ ঘোষ |
এ দিন দুপুরে নেদাবহড়া অঞ্চলের মাসাংডিহি গ্রামে জমায়েত করেছিল তৃণমূল সমর্থিত ‘জনজাগরণ মঞ্চ’। জেলা তৃণমূলের নেতা নির্মল ঘোষের বক্তব্য, “১২ নভেম্বর যুব-তৃণমূলের পদযাত্রা রয়েছে আগুইবনি থেকে বিরিহাঁড়ি পর্যন্ত। এ দিন তারই প্রস্তুতি-সভা ছিল মাসাংডিহিতে।”
গ্রামের বটতলায় প্রস্তুতি-সভায় জড়ো হয়েছিলেন সাপধরা ও নেদাবহড়া অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আচমকাই আঁধারিশোল জঙ্গলের দিক থেকে তিন যুবক এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে ছুড়তে সভাস্থলের দিকে এগিয়ে আসে। আতঙ্কে জমায়েত ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তখনই গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় গিরা গ্রামের বাসিন্দা বছর বিয়াল্লিশের রূপচাঁদ। গুলি তাঁর পিঠে লেগে বুক ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। মঞ্চের লোকজন পাল্টা প্রতিরোধ করলে হামলাকারীরা জঙ্গলে গা ঢাকা দেয়। পরে যৌথ বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে জঙ্গলে তল্লাশি শুরু করে। ‘জনজাগরণ মঞ্চ’-এর নেতা নিশীথ মাহাতোর অভিযোগ, “স্থানীয় কয়েকজন যুবক যারা এখনও মাওবাদীদের দলে রয়েছে, তারাই গুলি চালায়। প্রথমে জঙ্গলের দিক থেকে গুলি চালানো হয়। পরে গ্রামের একটি মাটির দোতলা বাড়ি থেকেও গুলি ছোড়া হয়।” স্থানীয় সূত্রের খবর, মাস দেড়েক আগে ওই বাড়ির মালিক মন্মথ রানাকে তৃণমূল নেতা লালমোহন মাহাতো খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ দিনই মাওবাদী-বিরোধী ‘নারী সম্মান রক্ষা কমিটি’র নামে কিছু লিফলেট মিলেছে মেদিনীপুর সদর ব্লকের ধেড়ুয়া ও চাঁদড়ায়। এর আগে পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় এই কমিটির নামাঙ্কিত পোস্টার মিলেছিল। লিফলেটে ‘নারী ইজ্জত বাঁচাও কমিটি’র বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগ রয়েছে। ‘ইজ্জত কমিটি’র নেত্রী জ্যোৎস্না মাহাতো অবশ্য বলেন, “এ সব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার।” আর পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠির বক্তব্য, “নারী সম্মান রক্ষা কমিটির নামে কিছু লিফলেট মিলেছে। এই সংগঠনের নেতৃত্বে কারা রয়েছে, তাদের উদ্দেশ্যই বা কী, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|