|
|
|
|
বনপুরায় গোষ্ঠী সংঘর্ষ তৃণমূলের, জখম ৯ জন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ক’দিন আগেই মেদিনীপুরে দলের জেলা সম্মেলনে ‘দল-বিরোধী’ কার্যকলাপ রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। তারপরেও অবশ্য শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দাঁড়ি পড়েনি।
রবিবার সকালে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে মেদিনীপুর সদর ব্লকের বনপুরা অঞ্চলের খাঙারডিহিতে। আহত হন দু’পক্ষের ৯ জন। তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি। বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছি।” আর পুলিশের বক্তব্য, খাঙারডিহিতে একটা গোলমাল হয়েছিল। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এ দিন থেকেই গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছে।
মেদিনীপুর কোতওয়ালি থানার আইসি পবিত্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে। ওই এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।” স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় দু’পক্ষের একদফা সংঘর্ষ হয়। রবিবার সকাল হতেই ফের সংঘর্ষ বাধে। দলীয় বৈঠক নিয়েই গোলমাল। |
|
হাসপাতালে আহতেরা। নিজস্ব চিত্র। |
শনিবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামে বৈঠক করতে যান তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। সম্প্রতি দলে এসেছেন, এমন কয়েক জন তাঁদের বাধা দেন বলে অভিযোগ। এই গোষ্ঠীর বক্তব্য, তাদের অনুমতি ছাড়া এখানে বৈঠক করা যাবে না। পুরনো তৃণমূলী ও নব্য তৃণমূলীদের বচসার জেরে যে এই ঘটনা, তা মানছেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বও। দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”
এ দিকে, চন্দ্রকোনার কৃষ্ণপুরে স্কুল-পরিচালন সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র গত শুক্রবার মারামারির ঘটনা ঘটে। আবদুল রহমান খান নামে এক তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। অভিযোগ, নব্য তৃণমূলীরাই এই কাজ করেছে। |
|
|
|
|
|