খাদ্য দফতরের অফিস সরল মন্ত্রীর নির্দেশে
রেশন ডিলারদের ভাড়ার টাকায় চলা বাড়ি ছেড়ে দিল খাদ্য দফতর।
হাওড়ার আমতা ১ ব্লক খাদ্য দফতরের কার্যালয় চলছিল একটি ভাড়া বাড়িতে। সেই বাড়ির ভাড়ার টাকা চাঁদা তুলে মেটাতেন রেশন ডিলারেরা। বছরের পর বছর ধরে চলছিল এই ব্যবস্থা। খবর জানাজানি হওয়ায় খাদ্য দফতরের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন। তিনি জেলা খাদ্য ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণককে নির্দেশ দেন, অবিলম্বে কার্যালয়টিকে সরিয়ে বিডিও অফিসে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সেই মতো, জেলা খাদ্য ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রক আমতা ১ ব্লক খাদ্য পরিদর্শককে নির্দেশ দেন, বিডিও অফিসে দফতর তুলে আনার জন্য। এখানে অবশ্য কোনও ঘর খালি না-থাকায় অফিস চত্বরে একটি ফাঁকা জায়গায় চেয়ার টেবিল পেতে কাজ চালাচ্ছেন খাদ্য পরিদর্শক এবং কর্মীরা।
এই ব্যবস্থা সাময়িক বলে জানিয়েছেন আমতা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মানবেন্দ্রনাথ রায়। তিনি বলেন, “আমতা খাদ্য সংক্রান্ত স্থায়ী সমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বিডিও অফিসের কাছেই রয়েছে আমতা পঞ্চায়েত অফিস। সেখানে একটি ঘর রয়েছে। পাকাপাকি ভাবে খাদ্য পরিদর্শককে সেখানেই বসার জায়গা করে দেওয়া হবে। বিষয়টি আমরা লিখিত ভাবে জেলা খাদ্য ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রককে জানিয়ে দেব।” তা হলে এত দিন সেই ব্যবস্থা করা হয়নি কেন? মানবেন্দ্রনাথবাবু বলেন, “জেলা খাদ্য দফতর বা আমতা ১ ব্লক খাদ্য পরিদর্শক আমাদের কাছে লিখিত ভাবে এই মর্মে কোনও আবেদন জানাননি। বরং আমরা নিজে থেকেই ওদের জন্য জায়গা খুঁজছিলাম। যে বাড়িটিতে এত দিন কার্যালয়টি চলছিল, তার ভাড়ার টাকা যে রেশন ডিলারেরা মেটাচ্ছিলেন, সে কথাও জানতাম না।” ব্লক খাদ্য পরিদর্শক ভক্তিপদ মণ্ডল বলেন, “সংবাদমাধ্যমের কাছে একটি কথাও বলব না।”
জেলা খাদ্য ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রক শ্বাশ্বতী ঘোষ বলেন, “আমতা পঞ্চায়েত অফিসে জায়গা রয়েছে বলে যদি পঞ্চায়েত সমিতি আমাদের চিঠি দিয়ে জানায়, তা-হলে প্রস্তাবটি বিবেচনা করে দেখব। যত দিন না সেই ব্যবস্থা হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত বিডিও অফিসেই বসবেন খাদ্য পরিদর্শক।”
বাউড়িয়ায় খাদ্য পরিদর্শকের কার্যালয়ের জন্য কোনও জায়গা এত দিন পাওয়া যায়নি। ফলে খাদ্য পরিদর্শক বসছেন উলুবেড়িয়া মহকুমা খাদ্য ও সরবরাহ দফতরেই। এতে সমস্যায় পড়েছেন বাউড়িয়ার বাসিন্দারা। তাঁদের অনেকটা পথ উজিয়ে রেশন কার্ড সংক্রান্ত কাজকর্ম করতে যেতে হচ্ছে। বাউড়িয়ার সমস্যা এ বারে মিটতে চলেছে বলে জেলা খাদ্য দফতরের দাবি। শ্বাশ্বতীদেবী বলেন, “উলুবেড়িয়া পুরসভা কর্তৃপক্ষকে আমরা এত দিন ধরে জায়গার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করছি। কিন্তু তারা জায়গার ব্যবস্থা করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত তারা জায়গার ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.