একশো দিনের কাজের প্রকল্পে নদীবাঁধ, সেচখাল সংস্কার-সহ বিভিন্ন কাজ হবে বলে জানালেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমানের সার্কিট হাউসে এ কথা জানান তিনি। মানসবাবু বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এ জন্য ৫০ কোটি টাকা দাবি জানানো হয়েছে। আপাতত হাতে মিলেছে ১৬ কোটি টাকা।” সেচ দফতরের কাজ একশো দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে করার ব্যাপারে পঞ্চায়েতমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের সঙ্গে তাঁর ইতিমধ্যে কথা হয়েছে বলে জানান মানসবাবু। এমন সিদ্ধান্তের কারণ প্রসঙ্গে মানসবাবু বলেন, “আমার দফতরের হাতে তেমন অর্থ নেই। অন্য দিকে, একশো দিনের মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা ফেরত যায়। তাই এমন সিদ্ধান্ত।” দুর্গাপুর, ময়ূরাক্ষী, কংসাবতী ইত্যাদি ব্যারাজগুলিতে বহু দিন কোনও সংস্কার না হওয়ায় সেগুলির জলধারণের ক্ষমতা কমে গিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারএই ব্যারাজগুলি সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছে।” একশো দিনের প্রকল্পে রাজ্য জুড়ে নদীবাঁধ নির্মাণ, মেরামতি, সেচখালের সংস্কার ইত্যাদির কাজ করতে একটি মনিটরিং কমিটি গড়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান। তাতে থাকবেন জেলাশাসক, সভাধিপতি ও জেলার বিধায়কেরা। মানসবাবু এ দিন আরও বলেন, “বিভিন্ন জেলার বিধায়কেদের বলেছি, এলাকার ভাঙন নিয়ে বিধানসভায় তথ্য পেশ করুন। মুখ্যমন্ত্রী এই তথ্য চেয়েছেন। তা ছাড়া কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বিধায়কদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় সরকার এই ভাঙন রুখতে অর্থ দেবে।”
|
ক্লাসঘর তৈরিতে সাহায্য করলেন স্কুলেরই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। শনিবার কালনার কৃষ্ণদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির দু’টি ঘরের দ্বারোঘাটন হয়। যার মধ্যে একটি ঘর তৈরির জন্য লক্ষাধিক টাকা অর্থ সাহায্য করেছেন ওই প্রাক্তন শিক্ষক তপনকুমার ঘোষ। তপনবাবু বলেন, “আমি এখানে শিক্ষকতা করার সময় দেখেছি ক্লাসঘরের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। তখনই ভেবেছিলাম অবসরকালীন টাকা পেলেই ক্লাসঘর তৈরি করব।” এ দিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, পূর্বস্থলী দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক স্বপন দেবনাথ প্রমুখ। তাঁরাও বিধায়ক তহবিল থেকে স্কুলকে সাহায্য করার আশ্বাস দেন। স্কুল কমিটির সভাপতি অনিমেষ দেবনাথ বলেন, “অবসর নিলেও তপনবাবু সারা জীবনই ছাত্রদের জন্য ভেবেছেন এটাই তার প্রমাণ। তাঁর এই কাজে স্কুল গর্বিত।”
|
এক প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার রাতে কাটোয়ার গাঁফুলিয়া গ্রামে তাঁর দেহ মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম কৃষ্ণচন্দ্র নন্দী (৫০)। বাড়ি ওই গ্রামেই। এ দিন বাড়ির কাছেই তাঁর দেহটি পড়েছিল। রবিবার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে দেহের ময়না-তদন্ত হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ বোঝা যাবে।
|
এলাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখা নিয়ে একটি আলোচনাসভা হল শনিবার বিকেলে। দাঁইহাটে কাটোয়া ২ ব্লক অফিসে ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিডিও নির্মলকুমার দাস, পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতগুলির কর্তারা। ওই সভায় ঠিক হয়, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অফিসগুলিতে ‘সাফাই অভিযান’ হবে। এছাড়া শৌচাগার তৈরির জন্য বাড়ি বাড়ি প্রচারও করা হবে। প্রচারের কাজটি স্কুল পড়ুয়ারাই করবে বলে জানান বিডিও। কাটোয়া ২ ব্লকের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ‘সাফাই অভিযান’ শুরু করেন কাটোয়ার মহকুমাশাসক দেবীপ্রসাদ করণম। |