কলকাতায় নিয়ে গিয়ে ভাতারের প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, এমনই ঘোষণা করলেন ক্র্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ভাতার একাদশের উদ্যোগে আয়োজিত ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনালে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমাকে ১৮ জন প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলার দিন। আমি তাদের কলকাতার বিভিন্ন ক্লাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। গ্রামের ছেলেদের বা ভাল ফুটবলারদের জন্য কলকাতার মাঠ অপেক্ষা করে আছে।” |
তিনি জানান, রাজ্যের সমস্ত ব্লকের ক্লাবগুলিকে নিয়ে ক্রীড়া দফতর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। জেলা স্তর থেকে মূল পবের্র্ ওঠা দলগুলিকে নিয়ে হবে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা। তিনি আরও জানান, ভাতারের ৬টি ক্লাবকে রাজ্য ক্রীড়া দফতরের পক্ষ থেকে দু’লক্ষ করে টাকা দেওয়া হবে। এই অর্থ দিয়ে ক্লাবগুলি খেলাধুলার মান উন্নয়নের কাজ করবে। এই ৬টি ক্লাবের তালিকা তৈরি করেছেন ভাতারের বিধায়ক বনমালী হাজারা। এ দিন ফাইনালে হুগলির আদান অ্যাথলেটিক ক্লাব ৪-২ গোলে হাওড়া বাউড়িয়া কোচিং সেন্টারকে হারায়। আদানের হয়ে দু’টি গোল করেন বাপন হেমব্রম। একটি করে গোল সনাতন সরেন ও হারাধন কোঁড়ার। বাউড়িয়ার হয়ে গোল দু’টি করেন রাজু দুসিত ও শ্যামল সাঁতরা। ম্যাচ ও প্রতিযোগিতার সেরা বাপন হেমব্রম। জয়ী দলকে রেনুকাবাল হাজরা স্মৃতি ট্রফি ও বিজিত দলকে রামকৃষ্ণ রায় স্মৃতি ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। মদনবাবু ঘোষণা করেন, ফাইনালের দুই দল ও ম্যাচের সেরা ফুটবলারকে ক্রীড়া দফতরের তরফে যথাক্রমে ১৫, ১০ ও ৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর। বল নিয়ে জাগলিং দেখানোর জন্য এ দিন ভাতার একাদশের তরফে সভাপতি পরেশনাথ হাজরা হাওড়ার বালির বাসিন্দা উত্তম দাসকে সংবর্ধনা দেন। |