৮ তারিখের ‘জেল ভরো’ কর্মসূচিতে একঘরে সিটু
গামী ৮ নভেম্বরের ‘জেল ভরো’ কর্মসূচিকে কৌশলে সিপিএমের ‘রাজনৈতিক স্বার্থে’ ব্যবহার করতে গিয়ে একঘরে হয়ে পড়ল সিটু। সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের শ্রমিক সংগঠন এআইসিসিটিইউ এবং এসইউসি-র শ্রমিক সংগঠন এআইইউটিইউসি বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ৮ নভেম্বর এ রাজ্যে তারা আলাদা ভাবে ‘জেল ভরো’ কর্মসূচি নেবে। তবে অন্যান্য রাজ্যে তারা ওই দিন সিটুর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ ভাবেই ‘জেল ভরো’ কর্মসূচিতে থাকবে।
সিটু, আইএনটিইউসি-সহ ১১টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনের ডাকে শ্রমিকস্বার্থের ৯ দফা দাবিতে আগামী ৮ নভেম্বর দেশ জুড়ে ‘জেল ভরো’ কর্মসূচি রয়েছে। কলকাতায় রানি রাসমণি রোডে ওই কর্মসূচি হবে। ১১টি সংগঠনের মধ্যে এআইসিসিটিইউ এবং এআইইউটিইউসি-ও রয়েছে। ফলে তারাও দেশ জোড়া কর্মসূচিতে থাকছে। কিন্তু ব্যতিক্রম কলকাতা। কারণ, ওই ‘জেল ভরো’ নিয়ে রাজ্য সিপিএমের মুখপত্রে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্দোলনের অন্যতম দাবি‘পশ্চিমবঙ্গে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসের’ বিরোধিতা। অথচ, কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির যুক্ত দাবিসনদে প্রসঙ্গটি ছিল না। এখানেই আপত্তি এআইসিসিটিইউয়ের। তাদের রাজ্য সম্পাদক বাসুদেব বসু বলেন, “তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন নিয়ে সিটু আলাদা বৈঠক ডাকলে আমরা যাব। কিন্তু এটা কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির যৌথ আন্দোলন। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের সন্ত্রাস প্রসঙ্গ ছিল না।” সিটু ‘সন্ত্রাস’-এর বিষয়টি জুড়ে দেওয়ায় কলকাতার ‘জেল ভরো’তে আইএনটিইউসি-ও যোগদান অনিশ্চিত। আইএনটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য ইতিমধ্যেই এ নিয়ে সিটুর নিন্দা করেছেন।
এসইউসি-র শ্রমিক সংগঠন অবশ্য অন্য কারণে কলকাতায় আলাদা ভাবে ‘জেল ভরো’ কর্মসূচি নিয়েছে। এআইইউটিইউসি-র রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ভট্টাচার্য বলেন, “এ রাজ্যে সিপিএমের শাসনকালে সিটুর ভূমিকা ছিল শ্রমিকবিরোধী। তাই আমরা ওদের সঙ্গে এ রাজ্যে যৌথ আন্দোলনে যাচ্ছি না।” আগামী ৮ নভেম্বর এআইসিসিটিইউয়ের মিছিল বেরোবে কলেজ স্কোয়ার থেকে এবং এআইইউটিইউসি মিছিল করবে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে। দু’টি মিছিল আলাদা ভাবে ফিয়ার্স লেনে পৌঁছবে। সেখানেই আলাদা ভাবে তাদের ‘জেল ভরো’ কর্মসূচি হবে।

মুখোমুখি বসুন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি অন্য অফিসারদেরও
প্রশাসনের সর্ব স্তরে আরও ‘সমন্বয়’ তৈরির যে প্রয়াস শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে ‘প্রত্যাশা’ বাড়ছে সরকারি আধিকারিকদের। সব ধরনের সরকারি কর্মী-অফিসারদের সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী এ বার থেকে মুখোমুখি বসুন, এই দাবি উঠতে শুরু করেছে। এসডিও ও বিডিও-দের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৃহস্পতিবারের বৈঠকের প্রেক্ষিতে দাবিটি জোরালো হয়েছে। বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য, রাজ্যের উন্নয়নের কাজ ‘নিশ্চিত’ করতে হলে এসডিও, বিডিও-দের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকই ‘যথেষ্ট’ নয়। রাজ্যের সরকারি আধিকারিকদের একটি সংগঠন ‘কনভেনশন অফ স্টেট সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’ দাবি করেছে, সরকারি ক্ষেত্রে ‘সমান কাজের সমান গুরুত্ব ও মর্যাদা’ দিতে হবে। ওয়েস্ট বেঙ্গল কর্মাশিয়াল ট্যাক্স সার্ভিস, এগ্রিকালচারাল ইনকাম ট্যাক্স সার্ভিস, এক্সাইজ সার্ভিস, লেবার সার্ভিস, এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিস, রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড স্ট্যাম্প রেভিনিউ সার্ভিস-সহ এমন ১০টি স্টেট সার্ভিসের আধিকারিকেরা ‘সমান গুরুত্বে’র দাবিতে সরব, যাদের অধিকাংশের উপরে রাজস্ব আদায় নির্ভর করে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.