বাসভাড়া নিয়ে বচসা জেরে পথ অবরোধ সাড়ে ৩ ঘণ্টা
ভাড়া নিয়ে বাস-কন্ডাক্টরের সঙ্গে বচসা। বৃহস্পতিবার তার জেরে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা রায়দিঘি-ডায়মন্ড হারবার রোড অবরোধ করলেন রায়দিঘি কলেজের প্রায় আড়াইশো ছাত্রছাত্রী। কাছারি মোড়ে ওই অবরোধের জেরে দুর্ভোগ পোহালেন নিত্যযাত্রীরা। শেষ পর্যন্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। ছাত্রছাত্রীদের দাবি, অর্ধেক ভাড়াতে বাসে যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এম-১০ রুটের বাসে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা অর্ধেক ভাড়ায় যাতায়াত করতেন। কিন্তু পুজোর আগে এতে রাশ টানেন বাস-মালিকেরা।
বাসে নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছেল, অন্য যাত্রীদের মতোই পড়ুয়াদেরও পুরো ভাড়া দিয়েই বাসে যাতায়াত করতে হবে।
এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ রায়দিঘি কলেজের প্রথম বর্ষের দুই ছাত্র জয়নাল মোড় থেকে বাসে চড়ে কলেজে আসছিলেন। তাঁরা অর্ধেক ভাড়া দিতে চান। কিন্তু কন্ডাক্টর পুরো ভাড়া দাবি করেন। এই নিয়ে বাসেই দু’পক্ষের বচসা হয়। ছাত্রদের অভিযোগ, কন্ডাক্টর তাঁদের সঙ্গে দুর্বব্যহার করেন। কলেজে গিয়ে বিষয়টি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের জানান ওই দুই ছাত্র। তার পরেই পড়ুয়ারা রাস্তায় নেমে আসেন। অবরোধের জেরে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায় ওই রাস্তায়।
ওই রুটের বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক রইচ মোল্লার দাবি, “মাস দু’য়েক আগে পুলিশের মধ্যস্থতায় ভাড়া নিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। বাস মালিকদের তরফে বলা হয়, অন্য যানবাহন ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে অর্ধেক ভাড়া নিলে বাসেও তাই নেওয়া হবে, নচেৎ নয়।
অন্যান্য যানবাহন যে হেতু ছাত্রছাত্রীদের থেকে অর্ধেক ভাড়া নেয় না, তাই বাসেও অর্ধেক ভাড়া নেওয়া হবে না। সেই কারণেই কন্ডাক্টর দুই ছাত্রকে পুরো ভাড়া দিতে বলেছিলেন।” পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষকে নিয়ে ফের আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিদ্যুতের দাবিতে অবরোধ। এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা বসিরহাটের পিঁফার রামনগরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। অবরোধের ফলে বসিরহাট এবং ন্যাজাটের মধ্যে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ গিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের দাবি নিয়ে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ ওঠে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় একটি গাড়ির ধাক্কায় ওই এলাকায় একটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে। বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকার বহু মানুষ বিদ্যুতের সাহায্যে মেশিন চালিয়ে কাপড় সেলাইয়ের কাজ করেন। কিন্তু বিদ্যুৎ না-থাকায় তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতরে পরিস্থিতির কথা জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.