হনুমানের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ ডেবরার ভবানীপুর অঞ্চলের বাঁকাকুল গ্রামের বাসিন্দারা। গত ক’দিন ধরেই এখানে একাধিক হনুমান এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে খবর। বৃহস্পতিবার বিকেলে হনুমানের কামড়ে দু’জন জখম হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এ দিন সকালে গ্রামে যান বনকর্মীরা। ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে হনুমানদের বাগে আনার চেষ্টা হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। বনকর্মীরা এলাকা ছাড়ার পরই দু’জন জখম হন। স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত কুইল্যার অভিযোগ, “গত ক’দিন ধরেই তাণ্ডব চলছে। গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত অথচ, বন দফতরের কোনও হুঁশ নেই।” খড়্গপুরের এডিএফও সোমনাথ সরকারের অবশ্য বক্তব্য, “হনুমান তাড়ানোর সব রকম চেষ্টা চলছে।”
|
ছুটির দিন বা রবিবার ছাড়া সাঁইথিয়া মেনরোড ও লাগোয়া রাস্তাগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু পাড়ার ভিতরের রাস্তাগুলি কোথাও সপ্তাহে এক দিন বা দু’দিন পরিষ্কার করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পুরকর্তৃপক্ষ আরও একটু নজর দিলে ভাল হয়। সাঁইথিয়া পুরপ্রধান বীরেন্দ্রকুমার পারখ বলেন, “কর্মীর অভাবে এই সমস্যা।”
|
কাঠচোর দুষ্কৃতীদের তাড়িয়ে কেটে ফেলা ১৩টি গাছের লগ উদ্ধার করে গ্রামবাসীদের একাংশ তা পুকুরে লুকিয়ে রেখেছিলেন। বৃহস্পতিবার সাত সকালে বন কর্মীরা ট্র্যাক্টর নিয়ে ওই কাঠ উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে বনকর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে যোদসাজশের অভিযোগ ওঠে। শেষ পর্যন্ত একটি সালিশি সভাও বসে। গ্রামবাসীদের ২ হাজার টাকা বকশিস দিয়ে বনকর্মীরা ওই কাঠ উদ্ধারে সক্ষম হন বলেও অভিযোগ। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের গোফানগর অঞ্চলের সুলপানিপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। বন দফতরের বালুরঘাটের রেঞ্জ অফিসার আবদুর রেজ্জাক বলেন, “গ্রামবাসীদের টাকা দিয়ে কাঠ উদ্ধারের কোনও বিষয় নেই। তা হয়ে থাকলে বিষয়টি দেখছি।” গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার রাতে ওই এলাকার জঙ্গল থেকে দুষ্কৃতীরা গাছ কাটা শুরু করতেই গ্রামবাসীরা সেখানে যান। দুষ্কৃতীরা ১৩টি ‘লগ’ ফেলে পালায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনের পর জঙ্গল থেকে গাছ কাটা হচ্ছে। বনকর্মীদের দেখা মেলে না। আর রাতে কাঠ আটকে রাখতেই তাঁরা খবর পেয়ে এলাকায় চলে আসেন। এটা কী করে সম্ভব তা নিয়ে সবার মনে প্রশ্ন উঠেছে।” |